জাতিসংঘের নিন্দা প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখায় এর প্রতি নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার ওই প্রস্তাব আনা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ সদস্যই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এর নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক। এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য শান্তিপ্রক্রিয়ায় মার্কিন প্রশাসনের গ্রহণযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। মুখ থুবড়ে পড়া শান্তি আলোচনা আবার শুরুর ব্যাপারে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কো-ন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর ওবামা প্রশাসন এই প্রথম এ ধরনের প্রস্তাবে ভেটো দিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এতে মধ্যপ্রাচ্য-সংকটের মোচন সহজেই হবে না। বরং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অব্যাহত সরকারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানের এই সময়ে ওয়াশিংটনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আরও ক্ষুব্ধ করে তুলবে।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আরব দেশগুলোর আনা ওই নিন্দা প্রস্তাবে বলা হয়, ১৯৬৭ সালে অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলি ইহুদি বসতি স্থাপন অবৈধ। অথচ ইসরায়েল সেখানে বসতি স্থাপন অব্যাহত রেখেছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলের এ ধরনের ভূমিকা সবচেয়ে বড় বাধা।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ দাবি জানিয়ে আসছে, শান্তি আলোচনা শুরুর পূর্বশর্ত হিসেবে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। তাঁদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল বলছে, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে শর্তহীনভাবে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে।
গত শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের ভোটের আগে ওই প্রস্তাবের পক্ষে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে সমর্থন প্রত্যাহারের আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে আব্বাস তা নাকচ করে দেন।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত সুসান রাইস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, দশকের পর দশক ধরে চলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে জাতিসংঘের এই প্রস্তাব যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন আক্ষেপের সঙ্গে ওই প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। ভেটোর পক্ষে ওয়াশিংটনের অবস্থান তুলে ধরে সুসান বলেন, এই খসড়া প্রস্তাব দুই পক্ষের (ইসরায়েল-ফিলিস্তিন) অবস্থানকে আরও জটিল করে তুলত। এই প্রস্তাব পাস উভয় পক্ষকে সমঝোতা না করার জন্য উস্কানি দিত।
যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এর নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক। এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য শান্তিপ্রক্রিয়ায় মার্কিন প্রশাসনের গ্রহণযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। মুখ থুবড়ে পড়া শান্তি আলোচনা আবার শুরুর ব্যাপারে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কো-ন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর ওবামা প্রশাসন এই প্রথম এ ধরনের প্রস্তাবে ভেটো দিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এতে মধ্যপ্রাচ্য-সংকটের মোচন সহজেই হবে না। বরং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অব্যাহত সরকারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানের এই সময়ে ওয়াশিংটনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আরও ক্ষুব্ধ করে তুলবে।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আরব দেশগুলোর আনা ওই নিন্দা প্রস্তাবে বলা হয়, ১৯৬৭ সালে অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলি ইহুদি বসতি স্থাপন অবৈধ। অথচ ইসরায়েল সেখানে বসতি স্থাপন অব্যাহত রেখেছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলের এ ধরনের ভূমিকা সবচেয়ে বড় বাধা।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ দাবি জানিয়ে আসছে, শান্তি আলোচনা শুরুর পূর্বশর্ত হিসেবে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। তাঁদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল বলছে, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে শর্তহীনভাবে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে।
গত শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের ভোটের আগে ওই প্রস্তাবের পক্ষে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে সমর্থন প্রত্যাহারের আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে আব্বাস তা নাকচ করে দেন।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত সুসান রাইস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, দশকের পর দশক ধরে চলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে জাতিসংঘের এই প্রস্তাব যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন আক্ষেপের সঙ্গে ওই প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। ভেটোর পক্ষে ওয়াশিংটনের অবস্থান তুলে ধরে সুসান বলেন, এই খসড়া প্রস্তাব দুই পক্ষের (ইসরায়েল-ফিলিস্তিন) অবস্থানকে আরও জটিল করে তুলত। এই প্রস্তাব পাস উভয় পক্ষকে সমঝোতা না করার জন্য উস্কানি দিত।
No comments