ডব্লিউটিও ব্যবস্থার সুযোগ কাজে লাগানোর তাগিদ
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) যে ব্যবস্থা দাঁড় করিয়েছে, তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সংস্থাটির অন্যতম উপমহাপরিচালক হর্ষ ভি সিং।
হর্ষ ভি সিংয়ের মতে, ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইইইউ) ২০১৪ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৪০ শতাংশে উন্নীত হবে বলে যে পূর্বাভাস দিয়েছে, তাও সত্যি হবে যদি বাণিজ্য সহজীকরণ ও জোগানজনিত প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ সম্ভব হয়।
হর্ষ সিং আরও বলেন, ডব্লিউটিওর বিধিবিধানগুলোর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা পদ্ধতিটি আসলে একটি বৈশ্বিক গণসম্পদ। কাজেই বাংলাদেশসহ সব দেশেরই এর সদ্ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতিতে ‘উন্নয়নের জন্য ডব্লিউটিও ব্যবস্থার গুরুত্ব’ শীর্ষক এক লোক বক্তৃতায় হর্ষ সিং এই আহ্বান জানান। সমিতির সভাপতি আবুল বারকাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।
হর্ষ সিং তাঁর বক্তৃতায় ডব্লিউটিওর কর্মপদ্ধতি ও বিধিবিধানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোয় (এলডিসি) এর প্রয়োজনীয়তার ওপরও আলোকপাত করেন। তিনি জানান, বর্তমানে ৩০টি দেশ এই সংস্থার সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে যার মধ্যে ১২টি দেশই হলো এলডিসি।
চলমান দোহা আলোচনা পর্বে বাংলাদেশসহ এলডিসিগুলোকে নতুনভাবে কোনো কিছুর প্রতিশ্রুতি দিতে হবে না উল্লেখ করে হর্ষ সিং বলেন, বরং তারা রপ্তানি ঋণ ও খাদ্য সাহায্যের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে কাতারের দোহায় সংস্থাটির মন্ত্রিপর্যায়ের সম্মেলনে দোহা পর্ব সূচনা করা হয়। ১০ বছর পরও কৃষি ভর্তুকি ও বাজার সুবিধার বিষয়ে উন্নত ও অগ্রসর উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যকার বিরোধের কারণে এই পর্বটি সমাপ্ত করা যায়নি।
এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে হর্ষ সিং বলেন, সংশ্লিষ্ট সবাই একমত হয়েছে যে এ বছরের মধ্যেই এর সমাপ্তি টানতে হবে। জেনেভায় আগামী ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিপর্যায়ের অষ্টম সম্মেলনে সব পক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এতে একমত হতে পারেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অবশ্য সিং এও স্বীকার করেন যে কিছু বিষয়ে এখনো মতবিরোধ রয়ে গেছে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বড় বড় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বাজার উন্মুক্ত করার জন্য দাবি জানাচ্ছে। কৃষি খাতে বিশেষ সুরক্ষা পদ্ধতি (এসএসএম) নিয়ে বিরোধ আছে।
সিং আরও বলেন, বাজার সুবিধায় বাংলাদেশের মূল স্বার্থের জায়গাটি হলো সব উন্নত দেশে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়া। হংকং ঘোষণা অনুসারে, এলডিসির রপ্তানিযোগ্য পণ্যের ৯৭ শতাংশ এই সুবিধা পাবে। বাস্তবে অবশ্য এই সুবিধা ৯৭ শতাংশ থেকে শতভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এমনকি কিছু উন্নয়নশীল দেশও এই সুবিধা দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশসহ সব এলডিসি অর্থপূর্ণ বাজার সুবিধা দেওয়ার যে দাবি তুলেছে, তাতেও অন্যরা সম্মত হয়েছে।
কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনো বাংলাদেশকে শতভাগ বাজার সুবিধা দিচ্ছে না—এই তথ্য উল্লেখ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানতে চান যে আমেরিকায় শতভাগ বাজার সুবিধা প্রাপ্তির কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা যায় কি না।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক আরও জানতে চান যে দোহা সমঝোতা চূড়ান্ত হলে উন্নয়নশীল দেশগুলোও উন্নত বিশ্বের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড় সুবিধা পাওয়ায় বাংলাদেশসহ এলডিসিগুলোর অগ্রাধিকারে যে ক্ষয় ঘটবে (প্রেফারেন্স ইরোশন), তার প্রতিকারে ডব্লিউটিও কী করতে পারে।
জবাবে হর্ষ সিং বলেন, অগ্রাধিকারের ক্ষয়টি এড়ানোর কোনো উপায় নেই। এটি মেনে নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, অগ্রাধিকার ক্ষয়ের বিষয়টি এ রকম—বাংলাদেশি পণ্য এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বিনা শুল্কে প্রবেশ করছে আর চীন-ভারতের পণ্যে গড়ে ১০-১২ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হচ্ছে। দোহা সমঝোতা হয়ে গেলে চীন-ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য শুল্কহার কমে পাঁচ বা ছয় শতাংশে নেমে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে এসব দেশের পণ্যের সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে। কেননা, বাংলাদেশের বিদ্যমান সুবিধা তুলনামূলকভাবে কমে যাবে।
অপর প্রশ্নের জবাবে হর্ষ সিং বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য আলোচনা যেদিকে যাচ্ছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়ছে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শতভাগ বাজার সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষত, ‘অর্থবহ ও গুরুত্বপূর্ণ’ বাজার সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে নীতিগতভাবে সব পক্ষ একমত হয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে হয়তো কংগ্রেসে বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে।
তবে এ বিষয়ে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলে ডব্লিউটিওর উপ মহাপরিচালক উল্লেখ করেন।
একইভাবে ২০১৬ সালের পর মেধাস্বত্ব বিধান পরিপালনের ক্ষেত্রে পাওয়া ছাড়ের সময়সীমা বাড়বে কি না জানতে চাইলে, তিনি বলেন, এটি সব সদস্যদের আলোচনা ও সম্মতি সাপেক্ষে হতে পারে।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিটজ ডব্লিউটিওর বিধিবিধানকে উন্নত বা ধনী দেশগুলোর প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করেছেন কেন—এমন একটি প্রশ্নের জবাবে হর্ষ সিং বলেন, অভিযোগটি সঠিক নয়। কেননা, ডব্লিউটির বিধানের আতওায় উন্নয়নশীল দেশ অনেক উন্নত দেশকে অন্যায্য বাণিজ্য চর্চা থেকে নিবৃত্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
সভাপতির ভাষণে আবুল বারকাত বলেন, ডব্লিউটিওর বিধিবিধানগুলো সম্পর্কে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা ভালোভাবে অবহিত নন। ফলে, বিশ্ব বাণিজ্যে তাঁরা বেশি ক্ষতির মুখে পড়েন। এসব দেশীয় ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে জানা-বোঝা বাড়ানোর জন্য অর্থনীতি সমিতি ডব্লিউটিওর সহায়তায় কিছু পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি জানান।
হর্ষ ভি সিংয়ের মতে, ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইইইউ) ২০১৪ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৪০ শতাংশে উন্নীত হবে বলে যে পূর্বাভাস দিয়েছে, তাও সত্যি হবে যদি বাণিজ্য সহজীকরণ ও জোগানজনিত প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ সম্ভব হয়।
হর্ষ সিং আরও বলেন, ডব্লিউটিওর বিধিবিধানগুলোর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা পদ্ধতিটি আসলে একটি বৈশ্বিক গণসম্পদ। কাজেই বাংলাদেশসহ সব দেশেরই এর সদ্ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতিতে ‘উন্নয়নের জন্য ডব্লিউটিও ব্যবস্থার গুরুত্ব’ শীর্ষক এক লোক বক্তৃতায় হর্ষ সিং এই আহ্বান জানান। সমিতির সভাপতি আবুল বারকাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।
হর্ষ সিং তাঁর বক্তৃতায় ডব্লিউটিওর কর্মপদ্ধতি ও বিধিবিধানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোয় (এলডিসি) এর প্রয়োজনীয়তার ওপরও আলোকপাত করেন। তিনি জানান, বর্তমানে ৩০টি দেশ এই সংস্থার সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে যার মধ্যে ১২টি দেশই হলো এলডিসি।
চলমান দোহা আলোচনা পর্বে বাংলাদেশসহ এলডিসিগুলোকে নতুনভাবে কোনো কিছুর প্রতিশ্রুতি দিতে হবে না উল্লেখ করে হর্ষ সিং বলেন, বরং তারা রপ্তানি ঋণ ও খাদ্য সাহায্যের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে কাতারের দোহায় সংস্থাটির মন্ত্রিপর্যায়ের সম্মেলনে দোহা পর্ব সূচনা করা হয়। ১০ বছর পরও কৃষি ভর্তুকি ও বাজার সুবিধার বিষয়ে উন্নত ও অগ্রসর উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যকার বিরোধের কারণে এই পর্বটি সমাপ্ত করা যায়নি।
এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে হর্ষ সিং বলেন, সংশ্লিষ্ট সবাই একমত হয়েছে যে এ বছরের মধ্যেই এর সমাপ্তি টানতে হবে। জেনেভায় আগামী ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিপর্যায়ের অষ্টম সম্মেলনে সব পক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এতে একমত হতে পারেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অবশ্য সিং এও স্বীকার করেন যে কিছু বিষয়ে এখনো মতবিরোধ রয়ে গেছে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বড় বড় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বাজার উন্মুক্ত করার জন্য দাবি জানাচ্ছে। কৃষি খাতে বিশেষ সুরক্ষা পদ্ধতি (এসএসএম) নিয়ে বিরোধ আছে।
সিং আরও বলেন, বাজার সুবিধায় বাংলাদেশের মূল স্বার্থের জায়গাটি হলো সব উন্নত দেশে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়া। হংকং ঘোষণা অনুসারে, এলডিসির রপ্তানিযোগ্য পণ্যের ৯৭ শতাংশ এই সুবিধা পাবে। বাস্তবে অবশ্য এই সুবিধা ৯৭ শতাংশ থেকে শতভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এমনকি কিছু উন্নয়নশীল দেশও এই সুবিধা দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশসহ সব এলডিসি অর্থপূর্ণ বাজার সুবিধা দেওয়ার যে দাবি তুলেছে, তাতেও অন্যরা সম্মত হয়েছে।
কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনো বাংলাদেশকে শতভাগ বাজার সুবিধা দিচ্ছে না—এই তথ্য উল্লেখ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানতে চান যে আমেরিকায় শতভাগ বাজার সুবিধা প্রাপ্তির কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা যায় কি না।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক আরও জানতে চান যে দোহা সমঝোতা চূড়ান্ত হলে উন্নয়নশীল দেশগুলোও উন্নত বিশ্বের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড় সুবিধা পাওয়ায় বাংলাদেশসহ এলডিসিগুলোর অগ্রাধিকারে যে ক্ষয় ঘটবে (প্রেফারেন্স ইরোশন), তার প্রতিকারে ডব্লিউটিও কী করতে পারে।
জবাবে হর্ষ সিং বলেন, অগ্রাধিকারের ক্ষয়টি এড়ানোর কোনো উপায় নেই। এটি মেনে নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, অগ্রাধিকার ক্ষয়ের বিষয়টি এ রকম—বাংলাদেশি পণ্য এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বিনা শুল্কে প্রবেশ করছে আর চীন-ভারতের পণ্যে গড়ে ১০-১২ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হচ্ছে। দোহা সমঝোতা হয়ে গেলে চীন-ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য শুল্কহার কমে পাঁচ বা ছয় শতাংশে নেমে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে এসব দেশের পণ্যের সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে। কেননা, বাংলাদেশের বিদ্যমান সুবিধা তুলনামূলকভাবে কমে যাবে।
অপর প্রশ্নের জবাবে হর্ষ সিং বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য আলোচনা যেদিকে যাচ্ছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়ছে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শতভাগ বাজার সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষত, ‘অর্থবহ ও গুরুত্বপূর্ণ’ বাজার সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে নীতিগতভাবে সব পক্ষ একমত হয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে হয়তো কংগ্রেসে বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে।
তবে এ বিষয়ে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলে ডব্লিউটিওর উপ মহাপরিচালক উল্লেখ করেন।
একইভাবে ২০১৬ সালের পর মেধাস্বত্ব বিধান পরিপালনের ক্ষেত্রে পাওয়া ছাড়ের সময়সীমা বাড়বে কি না জানতে চাইলে, তিনি বলেন, এটি সব সদস্যদের আলোচনা ও সম্মতি সাপেক্ষে হতে পারে।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিটজ ডব্লিউটিওর বিধিবিধানকে উন্নত বা ধনী দেশগুলোর প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করেছেন কেন—এমন একটি প্রশ্নের জবাবে হর্ষ সিং বলেন, অভিযোগটি সঠিক নয়। কেননা, ডব্লিউটির বিধানের আতওায় উন্নয়নশীল দেশ অনেক উন্নত দেশকে অন্যায্য বাণিজ্য চর্চা থেকে নিবৃত্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
সভাপতির ভাষণে আবুল বারকাত বলেন, ডব্লিউটিওর বিধিবিধানগুলো সম্পর্কে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা ভালোভাবে অবহিত নন। ফলে, বিশ্ব বাণিজ্যে তাঁরা বেশি ক্ষতির মুখে পড়েন। এসব দেশীয় ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে জানা-বোঝা বাড়ানোর জন্য অর্থনীতি সমিতি ডব্লিউটিওর সহায়তায় কিছু পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি জানান।
No comments