শেবাগের ব্যাটে রং হারাল উত্সব
রংচঙে দিনটা সন্ধ্যার আগেই খেই হারাল। উত্সবের ঢেউ জোর হারিয়ে ফেলল যেন। ফ্লাডলাইটের ঝলমলে আলোর নিচে দেখা গেল নিস্তরঙ্গ জনসমুদ্র। সারা দিনের এত আয়োজন, এত আশা মাত্র তিন ঘণ্টাতেই বিলীন! শেবাগ-ঝড়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের বিশ্বকাপটাকে প্রথম দিনেই করে দিল বিবর্ণ, ফ্যাকাসে।
ভারতের মতো ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে টসে জিতেও কেন সাকিব আল হাসান আগে ফিল্ডিং নিলেন, সেটা একটা রহস্য। গ্যালারির দর্শক থেকে শুরু করে প্রশ্নটা ভারতীয় মিডিয়ার মুখেও। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে সাকিব নিশ্চয়ই এর একটা ব্যাখ্যা দেবেন। ব্যাখ্যাটা একটু অনুমানও করা যায়—রাতে শিশির থাকবে, আর শিশির ভেজা বল বাংলাদেশি স্পিনারদের পুরো জাদুটা দেখাতে দেবে না। কাজেই আগে বোলিং!
সিদ্ধান্তটা যে কারণেই হোক, আগে বল করাটা যে বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী হলো সেটা শফিউল ইসলামের প্রথম বলেই কভার দিয়ে বাউন্ডারি মেরে বুঝিয়ে দিলেন বীরেন্দর শেবাগ। এরপর তো এটা তাঁরই ম্যাচ, বাংলাদেশি বোলারদের নির্যাতিত হওয়ার প্রামাণ্যচিত্রও।
দুই পেসার শফিউল আর রুবেল হোসেনের সঙ্গে রাজ্জাক, নাঈম, মাহমুদউল্লাহ এবং অধিনায়কসহ চার স্পিনার—শেবাগ-কোহলিদের সামনে সাকিবের সব অস্ত্রই ভোঁতা ঠেকল। কোনো বোলারের ওপরই একটানা বেশিক্ষণ আস্থা রাখা গেল না। সব বোলার মিলিয়ে ইনিংসে ১ ওভারের স্পেলই হয়েছে ৬টা! শফিউল ২ ওভারের প্রথম স্পেলে দিলেন ২০ রান। প্রস্তুতি ম্যাচ দুটিতে ভালো বল করলেও শেবাগের কাছে বেশি মার খেলেন তিনিই। শফিউলের করা ৭ ওভার থেকে মাত্র ১৭টি বল খেলেই ৩৩ রান করেছেন শেবাগ। শুরুতে কিছু শর্ট বল করলেও সে তুলনায় ২৯ বলে ২২ রান দিয়ে রুবেলই কিছুটা কর্তৃত্ব দেখাতে পেরেছেন শেবাগের ওপর। প্রথম স্পেলটাও খারাপ না, ৫-০-২৮-০।
দুই পেসার মিলে ৪ ওভারেই দিলেন ৩৬ রান। সাকিব ভাবলেন স্পিন দিয়ে যদি কিছু করা যায়! সেই পরিকল্পনাও ব্যর্থ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়ে ৪ ওভারের প্রথম স্পেলে ২০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য রাজ্জাক। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনারের অবশ্য সুখকর অভিজ্ঞতা নেইও। কাল উইকেটই পাননি, এর আগে ৮ ম্যাচ খেলেও পেয়েছেন মাত্র ৬ উইকেট। তাও সর্বশেষ উইকেটটি ২০০৮-এর জুনে, ঢাকায়। কালকেরটিসহ ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ চার ম্যাচেই তাঁর কোনো উইকেট নেই।
বাংলাদেশের স্পিন দিয়ে নিউজিল্যান্ড-জিম্বাবুয়েকে কাবু করা গেলেও ভারতীয় ব্যাটিংয়ের সামনে এ যেন ভোঁতা অস্ত্র। বিশ্বসেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডার সাকিব ৬ ওভারের প্রথম স্পেলে ৩০ রান দিয়ে কিছুটা সফল, কিন্তু দুই স্পেলে করা পরের চার ওভারেই দিলেন ৩১ রান! এর মধ্যে শেবাগের উইকেটটা আছে, কিন্তু ইনিংসের মাত্র ১৫ বল বাকি থাকতে ১৭৫ রান করে ফেলা একজন ব্যাটসম্যানকে আউট করলেই কী আর না করলেই কী!
সাকিব-রাজ্জাকই যেখানে ফেল, নাঈম-মাহমুদউল্লাহ আর কী করবেন! প্রথমজন ৪ ওভারের প্রথম স্পেলে দিলেন ২৭ আর পরের ৫ ওভারের স্পেলে ২৯ রান। গৌতম গম্ভীরের উইকেটটা ৭ ওভারে ৪৯ রান দেওয়া মাহমুদউল্লাহর জন্য সান্ত্বনা হতে পারে।
টসে হেরেও ব্যাটিং পেয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা মাথার ওপর খোলা আকাশই পেয়ে গিয়েছিলেন। রানের শৃঙ্গটাকে যতটা সম্ভব ওপরে তুলতে শেবাগ-কোহলিদের সিঁড়ি হলেন বাংলাদেশি বোলাররা। প্রায় ২৬ হাজার দর্শকভর্তি গ্যালারি তার পরও লাল-সবুজকে জাগাতে সমর্থনের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে। নেচে উঠেছে একটা ভালো বল বা একটু ভালো ফিল্ডিংয়েও। কিন্তু শেবাগ কি আর ওদিকে তাকান! স্বাগতিক দর্শকদের চাপ তাঁর গায়ে চিমটিটাও কাটতে পারল কিনা সন্দেহ। উইকেটে যতক্ষণ ছিলেন, ভারতীয় স্কোরবোর্ডটাকে মন্থর হতে দেননি কখনোই।
২০০৭ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তির আশায় ভারত ম্যাচটা নিয়ে এবার কল্পনার ফানুস কম ওড়ানো হয়নি। শেবাগ-কোহলির ব্যাট শুধু সেই ফানুসটাকেই ফুটো করে দেয়নি, বাংলাদেশের বিশ্বকাপটাকেও যেন নাড়িয়ে দিল। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ জমবে কি জমবে না, সেটারও যে নিক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ!
ভারতের মতো ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে টসে জিতেও কেন সাকিব আল হাসান আগে ফিল্ডিং নিলেন, সেটা একটা রহস্য। গ্যালারির দর্শক থেকে শুরু করে প্রশ্নটা ভারতীয় মিডিয়ার মুখেও। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে সাকিব নিশ্চয়ই এর একটা ব্যাখ্যা দেবেন। ব্যাখ্যাটা একটু অনুমানও করা যায়—রাতে শিশির থাকবে, আর শিশির ভেজা বল বাংলাদেশি স্পিনারদের পুরো জাদুটা দেখাতে দেবে না। কাজেই আগে বোলিং!
সিদ্ধান্তটা যে কারণেই হোক, আগে বল করাটা যে বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতী হলো সেটা শফিউল ইসলামের প্রথম বলেই কভার দিয়ে বাউন্ডারি মেরে বুঝিয়ে দিলেন বীরেন্দর শেবাগ। এরপর তো এটা তাঁরই ম্যাচ, বাংলাদেশি বোলারদের নির্যাতিত হওয়ার প্রামাণ্যচিত্রও।
দুই পেসার শফিউল আর রুবেল হোসেনের সঙ্গে রাজ্জাক, নাঈম, মাহমুদউল্লাহ এবং অধিনায়কসহ চার স্পিনার—শেবাগ-কোহলিদের সামনে সাকিবের সব অস্ত্রই ভোঁতা ঠেকল। কোনো বোলারের ওপরই একটানা বেশিক্ষণ আস্থা রাখা গেল না। সব বোলার মিলিয়ে ইনিংসে ১ ওভারের স্পেলই হয়েছে ৬টা! শফিউল ২ ওভারের প্রথম স্পেলে দিলেন ২০ রান। প্রস্তুতি ম্যাচ দুটিতে ভালো বল করলেও শেবাগের কাছে বেশি মার খেলেন তিনিই। শফিউলের করা ৭ ওভার থেকে মাত্র ১৭টি বল খেলেই ৩৩ রান করেছেন শেবাগ। শুরুতে কিছু শর্ট বল করলেও সে তুলনায় ২৯ বলে ২২ রান দিয়ে রুবেলই কিছুটা কর্তৃত্ব দেখাতে পেরেছেন শেবাগের ওপর। প্রথম স্পেলটাও খারাপ না, ৫-০-২৮-০।
দুই পেসার মিলে ৪ ওভারেই দিলেন ৩৬ রান। সাকিব ভাবলেন স্পিন দিয়ে যদি কিছু করা যায়! সেই পরিকল্পনাও ব্যর্থ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়ে ৪ ওভারের প্রথম স্পেলে ২০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য রাজ্জাক। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনারের অবশ্য সুখকর অভিজ্ঞতা নেইও। কাল উইকেটই পাননি, এর আগে ৮ ম্যাচ খেলেও পেয়েছেন মাত্র ৬ উইকেট। তাও সর্বশেষ উইকেটটি ২০০৮-এর জুনে, ঢাকায়। কালকেরটিসহ ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ চার ম্যাচেই তাঁর কোনো উইকেট নেই।
বাংলাদেশের স্পিন দিয়ে নিউজিল্যান্ড-জিম্বাবুয়েকে কাবু করা গেলেও ভারতীয় ব্যাটিংয়ের সামনে এ যেন ভোঁতা অস্ত্র। বিশ্বসেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডার সাকিব ৬ ওভারের প্রথম স্পেলে ৩০ রান দিয়ে কিছুটা সফল, কিন্তু দুই স্পেলে করা পরের চার ওভারেই দিলেন ৩১ রান! এর মধ্যে শেবাগের উইকেটটা আছে, কিন্তু ইনিংসের মাত্র ১৫ বল বাকি থাকতে ১৭৫ রান করে ফেলা একজন ব্যাটসম্যানকে আউট করলেই কী আর না করলেই কী!
সাকিব-রাজ্জাকই যেখানে ফেল, নাঈম-মাহমুদউল্লাহ আর কী করবেন! প্রথমজন ৪ ওভারের প্রথম স্পেলে দিলেন ২৭ আর পরের ৫ ওভারের স্পেলে ২৯ রান। গৌতম গম্ভীরের উইকেটটা ৭ ওভারে ৪৯ রান দেওয়া মাহমুদউল্লাহর জন্য সান্ত্বনা হতে পারে।
টসে হেরেও ব্যাটিং পেয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা মাথার ওপর খোলা আকাশই পেয়ে গিয়েছিলেন। রানের শৃঙ্গটাকে যতটা সম্ভব ওপরে তুলতে শেবাগ-কোহলিদের সিঁড়ি হলেন বাংলাদেশি বোলাররা। প্রায় ২৬ হাজার দর্শকভর্তি গ্যালারি তার পরও লাল-সবুজকে জাগাতে সমর্থনের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে। নেচে উঠেছে একটা ভালো বল বা একটু ভালো ফিল্ডিংয়েও। কিন্তু শেবাগ কি আর ওদিকে তাকান! স্বাগতিক দর্শকদের চাপ তাঁর গায়ে চিমটিটাও কাটতে পারল কিনা সন্দেহ। উইকেটে যতক্ষণ ছিলেন, ভারতীয় স্কোরবোর্ডটাকে মন্থর হতে দেননি কখনোই।
২০০৭ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তির আশায় ভারত ম্যাচটা নিয়ে এবার কল্পনার ফানুস কম ওড়ানো হয়নি। শেবাগ-কোহলির ব্যাট শুধু সেই ফানুসটাকেই ফুটো করে দেয়নি, বাংলাদেশের বিশ্বকাপটাকেও যেন নাড়িয়ে দিল। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ জমবে কি জমবে না, সেটারও যে নিক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ!
No comments