হাইতিতে খেতে দিতে না পেরে সন্তান বেচে দিচ্ছেন বাবা-মা
ভূমিকম্পবিধ্বস্ত হাইতির অসহায় বাবা-মায়েরা খেতে দিতে না পেরে অল্প মূল্যে শিশুসন্তানদের বিক্রি করে দিচ্ছেন পাচারকারীদের কাছে। সম্প্রতি ইউনিসেফের একটি বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইতির দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে মানব পাচারকারীরা নিজেদের আখের গোছানোর লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দেশটিতে বিপুলসংখ্যক মা-বাবা তাঁদের বাচ্চাদের লেখাপড়া তো দূরের কথা, দুই বেলা দুমুঠো খাবার তুলে দিতে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছেন। আর এ অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে পাচারকারীরা। তারা অসহায় বাবা-মাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে তাদের হাতে তুলে দিলে শিশুসন্তানদের জীবন তুলনামূলক অনেক ভালো হবে। আর এ আশায় বাবা-মায়েরা সামান্য অর্থের বিনিময়ে তাঁদের সন্তানদের তুলে দিচ্ছেন পাচারকারীদের হাতে।
বাস্তব সত্য হলো, পাচার হওয়া কতিপয় শিশু পশ্চিমা দেশগুলোর ধনী পরিবারে আশ্রয় নিয়ে অবস্থার তুলনামূলক উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হলেও বেশির ভাগ শিশুকেই জোর করে পতিতাবৃত্তি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত করা হচ্ছে।
দেশটিতে ৭৬ পেন্সের কম মূল্যে সন্তান বিক্রির ঘটনাও ঘটেছে। সন্তান বিক্রির অর্থ দিয়ে বাবা-মায়েরা অল্প কিছুদিন চলতে পারলেও সন্তান হারাচ্ছেন চিরদিনের জন্য।
ভূমিকম্পের সময় মা-বাবা হারানো অনেক শিশু খাদ্যের খোঁজে পাশের দেশ ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে চলে যায়। ওই সব শিশুকেও ধরে নিয়ে দেদারছে পাচার করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের সময় যেসব শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাদের আর কেনার প্রয়োজন হচ্ছে না পাচারকারীদের।
ভূমিকম্পের আগে দেশটিতে প্রতিবছর কমপক্ষে দুই হাজার শিশু অপহূত ও পাচার হতো। বর্তমানে এ সংখ্যা চার গুণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি হাইতিতে ৭ দশমিক শূন্য মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রায় তিন লাখ লোকের মৃত্যু হয়। ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। এরপর ধীরগতিতে চলতে থাকে পুনর্গঠনের কাজ। গত বছরের শেষের দিকে বাস্তুহারা মানুষের জন্য নির্মিত অস্থায়ী তাঁবুতে মহামারি ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইতির দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে মানব পাচারকারীরা নিজেদের আখের গোছানোর লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দেশটিতে বিপুলসংখ্যক মা-বাবা তাঁদের বাচ্চাদের লেখাপড়া তো দূরের কথা, দুই বেলা দুমুঠো খাবার তুলে দিতে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছেন। আর এ অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে পাচারকারীরা। তারা অসহায় বাবা-মাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে তাদের হাতে তুলে দিলে শিশুসন্তানদের জীবন তুলনামূলক অনেক ভালো হবে। আর এ আশায় বাবা-মায়েরা সামান্য অর্থের বিনিময়ে তাঁদের সন্তানদের তুলে দিচ্ছেন পাচারকারীদের হাতে।
বাস্তব সত্য হলো, পাচার হওয়া কতিপয় শিশু পশ্চিমা দেশগুলোর ধনী পরিবারে আশ্রয় নিয়ে অবস্থার তুলনামূলক উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হলেও বেশির ভাগ শিশুকেই জোর করে পতিতাবৃত্তি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত করা হচ্ছে।
দেশটিতে ৭৬ পেন্সের কম মূল্যে সন্তান বিক্রির ঘটনাও ঘটেছে। সন্তান বিক্রির অর্থ দিয়ে বাবা-মায়েরা অল্প কিছুদিন চলতে পারলেও সন্তান হারাচ্ছেন চিরদিনের জন্য।
ভূমিকম্পের সময় মা-বাবা হারানো অনেক শিশু খাদ্যের খোঁজে পাশের দেশ ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে চলে যায়। ওই সব শিশুকেও ধরে নিয়ে দেদারছে পাচার করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের সময় যেসব শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাদের আর কেনার প্রয়োজন হচ্ছে না পাচারকারীদের।
ভূমিকম্পের আগে দেশটিতে প্রতিবছর কমপক্ষে দুই হাজার শিশু অপহূত ও পাচার হতো। বর্তমানে এ সংখ্যা চার গুণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি হাইতিতে ৭ দশমিক শূন্য মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে প্রায় তিন লাখ লোকের মৃত্যু হয়। ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। এরপর ধীরগতিতে চলতে থাকে পুনর্গঠনের কাজ। গত বছরের শেষের দিকে বাস্তুহারা মানুষের জন্য নির্মিত অস্থায়ী তাঁবুতে মহামারি ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করে।
No comments