পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি চান থারাঙ্গা
এমনিতেই একটু মুখচোরা স্বভাবের। নিজেকে আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন। মিডিয়ার সামনে সপ্রভিত নন। গুরুতর একটা ‘অভিযোগ’ তোলায় উপুল থারাঙ্গা যেন আরও মিইয়ে গেলেন। সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবের গ্যালারিতে বসে মাথা নিচু করে ‘অপরাধী’র হাসি হাসলেন।
একজন বাংলাদেশির কাছ থেকে ওঠা অভিযোগটা গুরুতরই। বাংলাদেশকে পেলেই কেন ইঞ্চি ছয়েক চওড়া হয়ে যায় তাঁর ব্যাট? কেন সেরাটা সব সময়ই জমা রাখেন বাংলাদেশের জন্য? ৯ ওয়ানডে সেঞ্চুরির ৩টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিং-গড় (৪৫.৫৩) ক্যারিয়ার গড়ের চেয়ে ১১ বেশি! ‘আমি তো সব সময়ই চেষ্টা করি উইকেটে থিতু হয়ে গেলে বড় ইনিংস খেলতে। সব দলের বিপক্ষেই লক্ষ্য একই থাকে। কেন জানি না বাংলাদেশের বিপক্ষেই লক্ষ্যটা বেশি পূরণ করতে পেরেছি’—থারাঙ্গার উত্তরে যেন মিশে রইল ‘অপরাধ বোধ’।
এমন ‘অপরাধ’ অবশ্য এখন নিয়মিতই করছেন থারাঙ্গা। শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে নয়, সব দলের বিপক্ষেই। সনাৎ জয়াসুরিয়াকে দলে না রাখতে তাই বিন্দুমাত্র ভাবতে হয়নি নির্বাচকদের। সুনামিতে সর্বস্ব হারানো যে তরুণকে ব্যাট-প্যাড কিনে দিয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা, সেই তরুণ এখন তাঁর দলের অন্যতম ভরসা। বয়সভিত্তিক দলগুলোয় রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া যে ছেলেকে ভাবা হচ্ছিল শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ, তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মাঝপথেই সেটি কি আরও উজ্জ্বল দেখাচ্ছে না?
তিলকরত্নে দিলশানের সঙ্গে তাঁর জুটিটা মানিয়েও গেছে দারুণ। একপাশে দিলশানের ঝড়, উত্তেজনা, রোমাঞ্চ, ঝুঁকি। আরেক পাশে থারাঙ্গার প্রথাগত সব ক্রিকেট শট আর নির্ভরতা। এই নির্ভরতার জন্যই শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং-অর্ডারে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে থারাঙ্গাকে। দিলশান, সাঙ্গাকারা তো বটেই, টি-টোয়েন্টি পাল্টে দিয়েছে জয়াবর্ধনেকেও। এই তিনজনের কাছেই ব্যাটিং এখন রোমাঞ্চের আরেক নাম। তাঁদের সম্ভব সর্বোচ্চ স্ট্রাইক দেওয়ার পাশাপাশি এক পাশ আগলে রাখার কাজটা তাই থারাঙ্গাকেই করতে হয়।
তার পরও আরেক পাশে দিলশানকে এভাবে ডানা মেলতে দেখে তাঁরও কি ইচ্ছে হয় না হাত খুলতে? থারাঙ্গার সাবধানী ব্যাটিং এখানেও, ‘আমি চাইলেও দিলশানের মতো ব্যাটিং করতে পারব না। আর আমি চাইও না, নিজের খেলাটাই চেষ্টা করি। ও সব সময় আক্রমণ করে খেলে বলেই আমি নিজের মতো খেলতে পারি, রানরেট নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। তা ছাড়া আমরা সবাই টিম ম্যান, দলের স্বার্থ দেখতে হবে, বুঝতে হবে দল আমার কাছে কী চায়।’
দল তাঁর কাছে চায় ৪০-৪৫ ওভার পর্যন্ত একপাশ আগলে রাখা, ঝুঁকি খুব বেশি না নিয়ে রানের চাকাটাও সচল রাখা। তবে এ মুহূর্তে তাঁর নিজের কাছে নিজেরও একটা চাওয়া আছে, সেঞ্চুরি! এমন নয় যে তিন অঙ্ক তাঁর কাছে সোনার হরিণ। ১১৩ ওয়ানডেতে ৯টি সেঞ্চুরি হয়ে গেছে। কিন্তু ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসরে ১২ ম্যাচ খেলেও যে সেঞ্চুরি নেই একটি! নেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩ ম্যাচেও, যে দলের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার পরের ম্যাচ। দুটো অপূর্ণতা একসঙ্গেই ঘোচাতে চান ২৬ ফেব্রুয়ারির ম্যাচে, ‘বিশ্বকাপে সেঞ্চুরিটাই আমার মাথায় ঘুরঘুর করছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি নেই, এটা মাথায় ছিল না। দুটো একসঙ্গে হলে তো খারাপ হয় না! ওদের বোলিং আক্রমণ দুর্দান্ত। তবে এমন নয় যে এমন বোলিং আক্রমণ প্রথম খেলছি। নিজের খেলাটা খেলতে পারলে আশা করি আমি পারব।’
দলের চাওয়া আর নিজের চাওয়া তো তাহলে মিলেই গেল। এখন শুধু চাওয়া বাস্তবতার সঙ্গে মিলে যাওয়ার অপেক্ষা!
একজন বাংলাদেশির কাছ থেকে ওঠা অভিযোগটা গুরুতরই। বাংলাদেশকে পেলেই কেন ইঞ্চি ছয়েক চওড়া হয়ে যায় তাঁর ব্যাট? কেন সেরাটা সব সময়ই জমা রাখেন বাংলাদেশের জন্য? ৯ ওয়ানডে সেঞ্চুরির ৩টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিং-গড় (৪৫.৫৩) ক্যারিয়ার গড়ের চেয়ে ১১ বেশি! ‘আমি তো সব সময়ই চেষ্টা করি উইকেটে থিতু হয়ে গেলে বড় ইনিংস খেলতে। সব দলের বিপক্ষেই লক্ষ্য একই থাকে। কেন জানি না বাংলাদেশের বিপক্ষেই লক্ষ্যটা বেশি পূরণ করতে পেরেছি’—থারাঙ্গার উত্তরে যেন মিশে রইল ‘অপরাধ বোধ’।
এমন ‘অপরাধ’ অবশ্য এখন নিয়মিতই করছেন থারাঙ্গা। শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে নয়, সব দলের বিপক্ষেই। সনাৎ জয়াসুরিয়াকে দলে না রাখতে তাই বিন্দুমাত্র ভাবতে হয়নি নির্বাচকদের। সুনামিতে সর্বস্ব হারানো যে তরুণকে ব্যাট-প্যাড কিনে দিয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা, সেই তরুণ এখন তাঁর দলের অন্যতম ভরসা। বয়সভিত্তিক দলগুলোয় রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া যে ছেলেকে ভাবা হচ্ছিল শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ, তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মাঝপথেই সেটি কি আরও উজ্জ্বল দেখাচ্ছে না?
তিলকরত্নে দিলশানের সঙ্গে তাঁর জুটিটা মানিয়েও গেছে দারুণ। একপাশে দিলশানের ঝড়, উত্তেজনা, রোমাঞ্চ, ঝুঁকি। আরেক পাশে থারাঙ্গার প্রথাগত সব ক্রিকেট শট আর নির্ভরতা। এই নির্ভরতার জন্যই শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং-অর্ডারে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে থারাঙ্গাকে। দিলশান, সাঙ্গাকারা তো বটেই, টি-টোয়েন্টি পাল্টে দিয়েছে জয়াবর্ধনেকেও। এই তিনজনের কাছেই ব্যাটিং এখন রোমাঞ্চের আরেক নাম। তাঁদের সম্ভব সর্বোচ্চ স্ট্রাইক দেওয়ার পাশাপাশি এক পাশ আগলে রাখার কাজটা তাই থারাঙ্গাকেই করতে হয়।
তার পরও আরেক পাশে দিলশানকে এভাবে ডানা মেলতে দেখে তাঁরও কি ইচ্ছে হয় না হাত খুলতে? থারাঙ্গার সাবধানী ব্যাটিং এখানেও, ‘আমি চাইলেও দিলশানের মতো ব্যাটিং করতে পারব না। আর আমি চাইও না, নিজের খেলাটাই চেষ্টা করি। ও সব সময় আক্রমণ করে খেলে বলেই আমি নিজের মতো খেলতে পারি, রানরেট নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। তা ছাড়া আমরা সবাই টিম ম্যান, দলের স্বার্থ দেখতে হবে, বুঝতে হবে দল আমার কাছে কী চায়।’
দল তাঁর কাছে চায় ৪০-৪৫ ওভার পর্যন্ত একপাশ আগলে রাখা, ঝুঁকি খুব বেশি না নিয়ে রানের চাকাটাও সচল রাখা। তবে এ মুহূর্তে তাঁর নিজের কাছে নিজেরও একটা চাওয়া আছে, সেঞ্চুরি! এমন নয় যে তিন অঙ্ক তাঁর কাছে সোনার হরিণ। ১১৩ ওয়ানডেতে ৯টি সেঞ্চুরি হয়ে গেছে। কিন্তু ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসরে ১২ ম্যাচ খেলেও যে সেঞ্চুরি নেই একটি! নেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩ ম্যাচেও, যে দলের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার পরের ম্যাচ। দুটো অপূর্ণতা একসঙ্গেই ঘোচাতে চান ২৬ ফেব্রুয়ারির ম্যাচে, ‘বিশ্বকাপে সেঞ্চুরিটাই আমার মাথায় ঘুরঘুর করছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি নেই, এটা মাথায় ছিল না। দুটো একসঙ্গে হলে তো খারাপ হয় না! ওদের বোলিং আক্রমণ দুর্দান্ত। তবে এমন নয় যে এমন বোলিং আক্রমণ প্রথম খেলছি। নিজের খেলাটা খেলতে পারলে আশা করি আমি পারব।’
দলের চাওয়া আর নিজের চাওয়া তো তাহলে মিলেই গেল। এখন শুধু চাওয়া বাস্তবতার সঙ্গে মিলে যাওয়ার অপেক্ষা!
No comments