আমির আসিফ বাটকে বহিষ্কার
স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে একরকম মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেল আইসিসি আর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আগের দিন অভিযুক্ত তিন ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ ও সালমান বাটকে ‘মানসিক নির্যাতন’ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ‘বিশ্রাম’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল পিসিবি। কিন্তু আইসিসি স্বউদ্যোগে তিনজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করল। দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার আওতায় এই প্রথম আইসিসি এমন শাস্তি দিল। এদিকে এই ঘটনার পর আইসিসি ও পিসিবির সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। বরাবরের মতো পাকিস্তান নিরপেক্ষ অবস্থানে না থেকে অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুরো ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র, এমনকি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর হাত আছে বলেও দাবি করা হয়েছে। এরই মধ্যে এগিয়ে চলছে তদন্ত।
বলতে পারেন আইসিসি পরশু একরকম ইতিহাসই গড়ল। ‘অথর্ব’, ‘যত গর্জে তত বর্ষে না’—ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির নামে দুর্মুখেরা এমন সব অভিযোগ তোলে। সত্যি বলতে কি, ‘অভিভাবক’ হিসেবে আইসিসিকেও আগে কখনোই খুব একটা কড়া ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। কিন্তু ক্রিকেটের ভাবমূর্তিতে সর্বশেষ যে সংকট, তাতে বেশ সক্রিয়ই দেখা যাচ্ছে তাদের। পরশু অভিযুক্ত তিন পাকিস্তান ক্রিকেটারকে তো সাময়িক নিষেধাজ্ঞাই দিল আইসিসি।
সংস্থাটি তার নাতিদীর্ঘ ইতিহাসে এই প্রথম এমন কোনো উদ্যোগ নিল, যে উদ্যোগকে ক্রিকইনফো বলছে ‘অভূতপূর্ব’। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী সংশোধিত নীতিমালা অবশ্য গত অক্টোবরে কার্যকর হয়েছিল। তাতে সব সদস্যই ভোট দিয়েছেন। এই নীতিমালায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ আর সালমান বাটকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। এই তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। আইসিসি জানিয়েছে, নীতিমালার ২ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই তিনজনের বিরুদ্ধে ‘একাধিক অভিযোগ’ আনা হয়েছে। তবে সেই অভিযোগগুলো কী কী তা জানানো হয়নি।
‘আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার—ক্রিকেটে কোনো ধরনের দুর্নীতি আমরা সহ্য করব না। এসব ক্ষেত্রে আমাদের কঠোর হতে হবে। আর অপরাধ যদি প্রমাণিত হয় তা হলে দেওয়া হবে কঠোর শাস্তি, সেটি আজীবন নিষেধাজ্ঞাও হতে পারে’—আইসিসির অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত।
১৪ দিনের মধ্যে এই তিন ক্রিকেটার তাঁদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে আইসিসিকে জবাব দিতে পারবেন। অবশ্য এরই মধ্যে পাকিস্তান সরব হয়েছে। পরশুই এই তিন ক্রিকেটারকে পাকিস্তান সফরের বাকি সাতটি ম্যাচের দল থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। আইসিসির চাপেই তা করা হয়েছিল বলে খবর এসেছিল। এর পরপরই আইসিসিও নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে তিন ক্রিকেটারকে বহিষ্কার করল।
এটাই পছন্দ হচ্ছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)। ধারণা করা হচ্ছে, আগের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত লন্ডনে পিসিবি প্রধান ইজাজ বাটের সঙ্গে লরগাতের বৈঠকে পাকিস্তান অনেক চাপাচাপির পর রাজি হয়েছিল তিন ক্রিকেটারকে সিরিজ থেকে সরিয়ে নিতে। আইসিসি যদি তাদের বহিষ্কারই করবে, তা হলে আর তিন ক্রিকেটারকে ‘বিশ্রামের’ কথা বলে সরিয়ে নেওয়ার কোনো দরকার ছিল না।
পিসিবির মুখপাত্র হয়ে ওঠা ব্রিটেনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ওয়াজিদ সামসুল হাসান তো পাকিস্তানকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর কারণে আইসিসির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকিও দিয়েছেন। সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করে হাসান বলেছেন, ‘ক্রিকেটাররা আমার কাছে এসে অনুরোধ করেছিল সিরিজের বাকি অংশটুকুতে তাদের যেন আর রাখা না হয়। কারণ তারা আগে এই অভিযোগ থেকে নিজের নাম মুক্ত করতে চায়। আমি সেটি পিসিবির কাছে জানিয়ে ছিলাম। এরই মধ্যে হুট করে আইসিসি এই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বসল।’
হাসান ষড়যন্ত্রের আঙুল তুলেছেন আইসিসি সভাপতি শারদ পাওয়ারের দিকেও, ‘লরগাতকে আমি খেলোয়াড়দের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলাম। সেটা শুনে ইসিবি চেয়ারম্যান জাইলস ক্লার্কও সন্তুষ্টির কথা বলেছিলেন। এরই মধ্যে লরগাতকে আমি পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখেছি। তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে জানি না। কিন্তু এরপর তিনি আমার অফিস ছেড়ে চলে যান খেলোয়াড়দের পাঠানোর জন্য পাঁচ পাতার নোটিশ তৈরি করতে। তিনি আমাকে তখনই সামনাসামনি বলতে পারতেন আইসিসি এমন নোটিশ পাঠাতে যাচ্ছে। এখান থেকেই পরিষ্কার আইসিসি কতটা দুর্বল।’
একটা তদন্ত চলার মাঝপথে কোনো শাস্তি দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন হাসান। আইসিসির এই উদ্যোগকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের সামনে মামলা করার বিকল্প থাকল। এবং আমরা গুরুত্বের সঙ্গেই তা বিবেচনা করছি।’ আইসিসি অবশ্য হাসানের এমন দাবি অস্বীকার করে বলেছে, পিসিবি জানত, আইসিসি এমন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।
পাল্টাপাল্টি এমন অভিযোগের মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের তদন্ত। কাল আরেক দফা ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হচ্ছে না। তবে ইংলিশ দৈনিকে ছাপা হয়েছে, সালমান বাটের হোটেল রুম থেকে পুলিশের জব্দ করা ৫০ হাজার পাউন্ডের সঙ্গে নাকি মিলে গেছে ছদ্মবেশী সাংবাদিকের কাছ থেকে নেওয়া মাজহার মাজিদের টাকার ক্রমিক নম্বর।
বলতে পারেন আইসিসি পরশু একরকম ইতিহাসই গড়ল। ‘অথর্ব’, ‘যত গর্জে তত বর্ষে না’—ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির নামে দুর্মুখেরা এমন সব অভিযোগ তোলে। সত্যি বলতে কি, ‘অভিভাবক’ হিসেবে আইসিসিকেও আগে কখনোই খুব একটা কড়া ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। কিন্তু ক্রিকেটের ভাবমূর্তিতে সর্বশেষ যে সংকট, তাতে বেশ সক্রিয়ই দেখা যাচ্ছে তাদের। পরশু অভিযুক্ত তিন পাকিস্তান ক্রিকেটারকে তো সাময়িক নিষেধাজ্ঞাই দিল আইসিসি।
সংস্থাটি তার নাতিদীর্ঘ ইতিহাসে এই প্রথম এমন কোনো উদ্যোগ নিল, যে উদ্যোগকে ক্রিকইনফো বলছে ‘অভূতপূর্ব’। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী সংশোধিত নীতিমালা অবশ্য গত অক্টোবরে কার্যকর হয়েছিল। তাতে সব সদস্যই ভোট দিয়েছেন। এই নীতিমালায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ আর সালমান বাটকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। এই তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। আইসিসি জানিয়েছে, নীতিমালার ২ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই তিনজনের বিরুদ্ধে ‘একাধিক অভিযোগ’ আনা হয়েছে। তবে সেই অভিযোগগুলো কী কী তা জানানো হয়নি।
‘আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার—ক্রিকেটে কোনো ধরনের দুর্নীতি আমরা সহ্য করব না। এসব ক্ষেত্রে আমাদের কঠোর হতে হবে। আর অপরাধ যদি প্রমাণিত হয় তা হলে দেওয়া হবে কঠোর শাস্তি, সেটি আজীবন নিষেধাজ্ঞাও হতে পারে’—আইসিসির অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত।
১৪ দিনের মধ্যে এই তিন ক্রিকেটার তাঁদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে আইসিসিকে জবাব দিতে পারবেন। অবশ্য এরই মধ্যে পাকিস্তান সরব হয়েছে। পরশুই এই তিন ক্রিকেটারকে পাকিস্তান সফরের বাকি সাতটি ম্যাচের দল থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। আইসিসির চাপেই তা করা হয়েছিল বলে খবর এসেছিল। এর পরপরই আইসিসিও নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে তিন ক্রিকেটারকে বহিষ্কার করল।
এটাই পছন্দ হচ্ছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)। ধারণা করা হচ্ছে, আগের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত লন্ডনে পিসিবি প্রধান ইজাজ বাটের সঙ্গে লরগাতের বৈঠকে পাকিস্তান অনেক চাপাচাপির পর রাজি হয়েছিল তিন ক্রিকেটারকে সিরিজ থেকে সরিয়ে নিতে। আইসিসি যদি তাদের বহিষ্কারই করবে, তা হলে আর তিন ক্রিকেটারকে ‘বিশ্রামের’ কথা বলে সরিয়ে নেওয়ার কোনো দরকার ছিল না।
পিসিবির মুখপাত্র হয়ে ওঠা ব্রিটেনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ওয়াজিদ সামসুল হাসান তো পাকিস্তানকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর কারণে আইসিসির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকিও দিয়েছেন। সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করে হাসান বলেছেন, ‘ক্রিকেটাররা আমার কাছে এসে অনুরোধ করেছিল সিরিজের বাকি অংশটুকুতে তাদের যেন আর রাখা না হয়। কারণ তারা আগে এই অভিযোগ থেকে নিজের নাম মুক্ত করতে চায়। আমি সেটি পিসিবির কাছে জানিয়ে ছিলাম। এরই মধ্যে হুট করে আইসিসি এই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বসল।’
হাসান ষড়যন্ত্রের আঙুল তুলেছেন আইসিসি সভাপতি শারদ পাওয়ারের দিকেও, ‘লরগাতকে আমি খেলোয়াড়দের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলাম। সেটা শুনে ইসিবি চেয়ারম্যান জাইলস ক্লার্কও সন্তুষ্টির কথা বলেছিলেন। এরই মধ্যে লরগাতকে আমি পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখেছি। তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে জানি না। কিন্তু এরপর তিনি আমার অফিস ছেড়ে চলে যান খেলোয়াড়দের পাঠানোর জন্য পাঁচ পাতার নোটিশ তৈরি করতে। তিনি আমাকে তখনই সামনাসামনি বলতে পারতেন আইসিসি এমন নোটিশ পাঠাতে যাচ্ছে। এখান থেকেই পরিষ্কার আইসিসি কতটা দুর্বল।’
একটা তদন্ত চলার মাঝপথে কোনো শাস্তি দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন হাসান। আইসিসির এই উদ্যোগকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের সামনে মামলা করার বিকল্প থাকল। এবং আমরা গুরুত্বের সঙ্গেই তা বিবেচনা করছি।’ আইসিসি অবশ্য হাসানের এমন দাবি অস্বীকার করে বলেছে, পিসিবি জানত, আইসিসি এমন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।
পাল্টাপাল্টি এমন অভিযোগের মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের তদন্ত। কাল আরেক দফা ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হচ্ছে না। তবে ইংলিশ দৈনিকে ছাপা হয়েছে, সালমান বাটের হোটেল রুম থেকে পুলিশের জব্দ করা ৫০ হাজার পাউন্ডের সঙ্গে নাকি মিলে গেছে ছদ্মবেশী সাংবাদিকের কাছ থেকে নেওয়া মাজহার মাজিদের টাকার ক্রমিক নম্বর।
No comments