বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় সিমেন্ট রপ্তানি বাড়ছে
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশের সিমেন্টের প্রচুর চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। এই চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের নয়টি কোম্পানি ত্রিপুরার বাজারে সিমেন্ট রপ্তানি করছে।
উৎপাদকেরা জানিয়েছেন, ত্রিপুরার সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি ঘটলে রপ্তানির পরিমাণ আরও অনেক বাড়বে। এমনকি ওই রাজ্যের পুরো সিমেন্টের চাহিদা বাংলাদেশ থেকেই মেটানো সম্ভব হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার সীমান্তসংলগ্ন বিভিন্ন স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলোর সমন্বিত তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের ক্রাউন সিমেন্ট, সেভেন রিং সিমেন্ট, এমিরেটস সিমেন্ট, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, আরামিট সিমেন্ট, হোলসিম সিমেন্ট, শাহ সিমেন্ট, ফ্রেশ সিমেন্ট ও কনফিডেন্স সিমেন্ট ত্রিপুরা রাজ্যে রপ্তানি হচ্ছে।
আর এসব সিমেন্ট আখাউড়া, বিবিবাজার, বিলোনিয়া, নাকুগাঁ, রৌমারী, শিউলা ও চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে এর মধ্যে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়েই বেশি সিমেন্ট রপ্তানি হয়ে থাকে।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে এসব বন্দর ও স্টেশন দিয়ে প্রায় এক লাখ সাড়ে ২৬ হাজার টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে। এর আগে ২০০৭ সালে ৫০ হাজার এবং ২০০৮ সালে সাড়ে ৭৪ হাজার টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে।
কিন্তু ২০১০ সালের মে মাস পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে আখাউড়া দিয়ে ৭০ হাজার টনের বেশি সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে। এ ছাড়া বিবিবাজার দিয়ে ১৫ হাজার ৬৮০ টন, বিলোনিয়া দিয়ে ১৫ হাজার ৬৪৫ টন, নাকুগাঁ দিয়ে চার হাজার টন, রৌমারী দিয়ে পাঁচ হাজার ৮০০ টন, শিউলা দিয়ে নয় হাজার টন ও চাতলাপুর দিয়ে চার হাজার ৭০০ টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে।
২০০৯ সালে যে এক লাখ ২৬ হাজার ৬৫২ টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়, তার মধ্যে আখাউড়া বন্দর দিয়েই ৮০ হাজার ৪৩৭ টন রপ্তানি হয়েছে। এ ছাড়া বিবিবাজার দিয়ে ২৪ হাজার ৮০৫ টন, বিলোনিয়া দিয়ে পাঁচ হাজার ১০ টন, নাকুগাঁ দিয়ে চার হাজার ১০০ টন, রৌমারী দিয়ে ৭০০ টন, শিউলা দিয়ে ছয় হাজার ৬০০ টন ও চাতলাপুর দিয়ে পাঁচ হাজার টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে।
বাংলাদেশ সিমেন্ট প্রস্তুতকারক সমিতির (বিসিএমএ) সহসভাপতি ও ক্রাউন সিমেন্টের পরিচালক মো. আলমগীর কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ত্রিপুরার বাজারে বাংলাদেশি সিমেন্টের প্রচুর চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশি সিমেন্টগুলো বাজারের বড় অংশই দখল করে ফেলেছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় প্রতিবছর সাত লাখ সিমেন্টের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ওই রাজ্যে মাত্র একটি কারখানা রয়েছে। সেটির উৎপাদনক্ষমতা খুবই কম। ফলে ত্রিপুরার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ উন্নত হলে এবং রেল যোগাযোগ ঘটানো গেলে ওই রাজ্যের পুরো সিমেন্টের চাহিদা বাংলাদেশ থেকেই পূরণ করা সম্ভব হবে।
আলমগীর কবীর আরও বলেন, বাংলাদেশে সর্বমোট ৫৬টি সিমেন্ট কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ৩৪টি কারখানা চালু। এসব চালু কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা এক কোটি ৫৫ লাখ টন। কিন্তু দেশে সিমেন্টের বার্ষিক চাহিদা এক কোটি ৩০ লাখ টন। ফলে উৎপাদন ক্ষমতার তুলনায় চাহিদা কম হওয়ায় অনেক কারখানা পুরোমাত্রার উৎপাদন করতে পারছে না।
আলমগীর কবীর মনে করেন, ত্রিপুরার সঙ্গে যোগাযোগ উন্নত হলে শুধু ওই রাজ্যেরই নয়, বরং ত্রিপুরা হয়ে ভারতের অন্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতেও সিমেন্ট রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এর ফলে দেশের সিমেন্ট কারখানাগুলো পুরোমাত্রায় উৎপাদন করতে পারবে। অন্যদিকে ভারতের বাজারে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে, যা বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহায়তা করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি ব্যাগ সিমেন্ট ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু একই ওজনের এক ব্যাগ সিমেন্ট ত্রিপুরার বাজারে ৪৫০ রুপিতে বিক্রি হয়। ফলে তা রপ্তানিকারকদের কাছে বেশ লাভজনক হয়ে উঠছে।
উৎপাদকেরা জানিয়েছেন, ত্রিপুরার সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি ঘটলে রপ্তানির পরিমাণ আরও অনেক বাড়বে। এমনকি ওই রাজ্যের পুরো সিমেন্টের চাহিদা বাংলাদেশ থেকেই মেটানো সম্ভব হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার সীমান্তসংলগ্ন বিভিন্ন স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলোর সমন্বিত তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের ক্রাউন সিমেন্ট, সেভেন রিং সিমেন্ট, এমিরেটস সিমেন্ট, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, আরামিট সিমেন্ট, হোলসিম সিমেন্ট, শাহ সিমেন্ট, ফ্রেশ সিমেন্ট ও কনফিডেন্স সিমেন্ট ত্রিপুরা রাজ্যে রপ্তানি হচ্ছে।
আর এসব সিমেন্ট আখাউড়া, বিবিবাজার, বিলোনিয়া, নাকুগাঁ, রৌমারী, শিউলা ও চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে এর মধ্যে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়েই বেশি সিমেন্ট রপ্তানি হয়ে থাকে।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে এসব বন্দর ও স্টেশন দিয়ে প্রায় এক লাখ সাড়ে ২৬ হাজার টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে। এর আগে ২০০৭ সালে ৫০ হাজার এবং ২০০৮ সালে সাড়ে ৭৪ হাজার টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে।
কিন্তু ২০১০ সালের মে মাস পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে আখাউড়া দিয়ে ৭০ হাজার টনের বেশি সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে। এ ছাড়া বিবিবাজার দিয়ে ১৫ হাজার ৬৮০ টন, বিলোনিয়া দিয়ে ১৫ হাজার ৬৪৫ টন, নাকুগাঁ দিয়ে চার হাজার টন, রৌমারী দিয়ে পাঁচ হাজার ৮০০ টন, শিউলা দিয়ে নয় হাজার টন ও চাতলাপুর দিয়ে চার হাজার ৭০০ টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে।
২০০৯ সালে যে এক লাখ ২৬ হাজার ৬৫২ টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়, তার মধ্যে আখাউড়া বন্দর দিয়েই ৮০ হাজার ৪৩৭ টন রপ্তানি হয়েছে। এ ছাড়া বিবিবাজার দিয়ে ২৪ হাজার ৮০৫ টন, বিলোনিয়া দিয়ে পাঁচ হাজার ১০ টন, নাকুগাঁ দিয়ে চার হাজার ১০০ টন, রৌমারী দিয়ে ৭০০ টন, শিউলা দিয়ে ছয় হাজার ৬০০ টন ও চাতলাপুর দিয়ে পাঁচ হাজার টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়েছে।
বাংলাদেশ সিমেন্ট প্রস্তুতকারক সমিতির (বিসিএমএ) সহসভাপতি ও ক্রাউন সিমেন্টের পরিচালক মো. আলমগীর কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ত্রিপুরার বাজারে বাংলাদেশি সিমেন্টের প্রচুর চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশি সিমেন্টগুলো বাজারের বড় অংশই দখল করে ফেলেছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় প্রতিবছর সাত লাখ সিমেন্টের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ওই রাজ্যে মাত্র একটি কারখানা রয়েছে। সেটির উৎপাদনক্ষমতা খুবই কম। ফলে ত্রিপুরার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ উন্নত হলে এবং রেল যোগাযোগ ঘটানো গেলে ওই রাজ্যের পুরো সিমেন্টের চাহিদা বাংলাদেশ থেকেই পূরণ করা সম্ভব হবে।
আলমগীর কবীর আরও বলেন, বাংলাদেশে সর্বমোট ৫৬টি সিমেন্ট কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ৩৪টি কারখানা চালু। এসব চালু কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা এক কোটি ৫৫ লাখ টন। কিন্তু দেশে সিমেন্টের বার্ষিক চাহিদা এক কোটি ৩০ লাখ টন। ফলে উৎপাদন ক্ষমতার তুলনায় চাহিদা কম হওয়ায় অনেক কারখানা পুরোমাত্রার উৎপাদন করতে পারছে না।
আলমগীর কবীর মনে করেন, ত্রিপুরার সঙ্গে যোগাযোগ উন্নত হলে শুধু ওই রাজ্যেরই নয়, বরং ত্রিপুরা হয়ে ভারতের অন্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতেও সিমেন্ট রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এর ফলে দেশের সিমেন্ট কারখানাগুলো পুরোমাত্রায় উৎপাদন করতে পারবে। অন্যদিকে ভারতের বাজারে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে, যা বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহায়তা করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি ব্যাগ সিমেন্ট ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু একই ওজনের এক ব্যাগ সিমেন্ট ত্রিপুরার বাজারে ৪৫০ রুপিতে বিক্রি হয়। ফলে তা রপ্তানিকারকদের কাছে বেশ লাভজনক হয়ে উঠছে।
No comments