পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অনলাইন বুকিং কার্যক্রম পাঁচ মাস ধরে বন্ধ
পাঁচ মাস ধরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অনলাইন বুকিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ জন্য কারিগরি ত্রুটিকে দায়ী করলেও অনলাইন বুকিং পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ, রেলওয়ে তাদের সহযোগিতা করছে না।
অনলাইন বুকিং বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। তারা মনে করছে, যড়যন্ত্রমূলকভাবে পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ের অনলাইন বুকিং বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাজশাহী রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মাঝামাঝি পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের রাজশাহী, ঈশ্বরদী, যশোর ও খুলনা স্টেশনে অনলাইন বুকিং চালু করা হয়। এ জন্য কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রেলওয়ের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী অনলাইনে প্রতিটি বুকিংয়ের জন্য রেলের কাছ থেকে সিএনএস দুই টাকা ৩৭ পয়সা হারে কমিশন পাবে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, অনলাইন বুকিং থেকে প্রতি মাসে শুধু রাজশাহী স্টেশনে গড়ে ২০ হাজার টাকা আয় হয়েছে, যা কখনো কখনো বেড়ে ৩০ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে।
কিন্তু প্রায় আট মাস চলার পর রাজশাহীতে অনলাইন বুকিং ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সিএনএসের জোন ব্যবস্থাপক নাজমূল হাসান বলেন, ‘চুক্তির সময় কথা ছিল রেলওয়ে তাদের ইথারনেটটি ব্যবহার করার সুযোগ দেবে। কিন্তু রেলওয়ের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ গ্রামীণফোন রেলওয়ের ইথারনেট ব্যবহার করেই ব্যবসা করছে।’
নাজমূল হাসান আরও জানান, অনেক চেষ্টা করে গ্রামীণফোন, রেলওয়ে ও সিএনএস ত্রিপক্ষীয় একটি বৈঠক করে ‘ইথারনেট-ওয়ান’ (ই-১) লাইনটা অনলাইন বুকিংয়ের জন্য কার্যকর করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু দিন পর তা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন এই লাইনের কোথায় ত্রুটি তা নির্ণয়ে তাঁরা কারও কাছ থেকেই কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
রেলওয়ের বড় কর্মকর্তারা গ্রামীণফোন থেকে সুবিধা পেয়ে থাকেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্র শুভাশীষ শুভ জানান, রাজশাহী থেকে চট্টগ্রাম যেতে হলে ঢাকায় গিয়ে ট্রেন পাল্টাতে হয়। কিন্তু আগে থেকে টিকিট কাটা না থাকলে ঢাকায় গিয়ে বাসে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প থাকে না। তাই তাঁরা রাজশাহীতে রওনা দেওয়ার আগেই অনলাইনে টিকিট জোগাড় করে নিতে পারতেন।
রাজশাহী কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সোহরাব খোকন অভিযোগ করে বলেন, বাসমালিকদের সুবিধা দেখতেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রেলওয়ে অনলাইন বুকিং বিকল করে রেখেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সব কিছুই যখন ডিজিটাল হচ্ছে, তখন অনলাইন বুকিং বন্ধ করে দেওয়া ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
যোগাযোগ করা হলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক আনহার মাহমুদ বলেন, কারিগরি একটা ত্রুটির কারণে এটা হয়েছে। তিনি প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে বলেন।
বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক আবদুল আওয়াল ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে সিএনএসের ব্যবস্থাপকের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গ্রামীণফোন চুক্তি অনুযায়ী রেলওয়ের কর্মকর্তাদের মোবাইলের সুবিধা দিয়ে থাকে। এটা তাদের দয়া নয়। তিনি আরও বলেন, ই-১ লাইনটা অনলাইনের কাজের জন্য না দিয়ে গ্রামীণফোন ব্যবসা করছে—এ অভিযোগ যদি ঠিক হয়, তাহলে সিএনএস যেন চিঠি দিয়ে জানায়। তখন তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
তাছাড়া বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন টেলিযোগাযোগ বিভাগকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
অনলাইন বুকিং বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। তারা মনে করছে, যড়যন্ত্রমূলকভাবে পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ের অনলাইন বুকিং বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাজশাহী রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মাঝামাঝি পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের রাজশাহী, ঈশ্বরদী, যশোর ও খুলনা স্টেশনে অনলাইন বুকিং চালু করা হয়। এ জন্য কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রেলওয়ের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী অনলাইনে প্রতিটি বুকিংয়ের জন্য রেলের কাছ থেকে সিএনএস দুই টাকা ৩৭ পয়সা হারে কমিশন পাবে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, অনলাইন বুকিং থেকে প্রতি মাসে শুধু রাজশাহী স্টেশনে গড়ে ২০ হাজার টাকা আয় হয়েছে, যা কখনো কখনো বেড়ে ৩০ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে।
কিন্তু প্রায় আট মাস চলার পর রাজশাহীতে অনলাইন বুকিং ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সিএনএসের জোন ব্যবস্থাপক নাজমূল হাসান বলেন, ‘চুক্তির সময় কথা ছিল রেলওয়ে তাদের ইথারনেটটি ব্যবহার করার সুযোগ দেবে। কিন্তু রেলওয়ের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ গ্রামীণফোন রেলওয়ের ইথারনেট ব্যবহার করেই ব্যবসা করছে।’
নাজমূল হাসান আরও জানান, অনেক চেষ্টা করে গ্রামীণফোন, রেলওয়ে ও সিএনএস ত্রিপক্ষীয় একটি বৈঠক করে ‘ইথারনেট-ওয়ান’ (ই-১) লাইনটা অনলাইন বুকিংয়ের জন্য কার্যকর করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু দিন পর তা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন এই লাইনের কোথায় ত্রুটি তা নির্ণয়ে তাঁরা কারও কাছ থেকেই কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
রেলওয়ের বড় কর্মকর্তারা গ্রামীণফোন থেকে সুবিধা পেয়ে থাকেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্র শুভাশীষ শুভ জানান, রাজশাহী থেকে চট্টগ্রাম যেতে হলে ঢাকায় গিয়ে ট্রেন পাল্টাতে হয়। কিন্তু আগে থেকে টিকিট কাটা না থাকলে ঢাকায় গিয়ে বাসে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প থাকে না। তাই তাঁরা রাজশাহীতে রওনা দেওয়ার আগেই অনলাইনে টিকিট জোগাড় করে নিতে পারতেন।
রাজশাহী কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সোহরাব খোকন অভিযোগ করে বলেন, বাসমালিকদের সুবিধা দেখতেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রেলওয়ে অনলাইন বুকিং বিকল করে রেখেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সব কিছুই যখন ডিজিটাল হচ্ছে, তখন অনলাইন বুকিং বন্ধ করে দেওয়া ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
যোগাযোগ করা হলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক আনহার মাহমুদ বলেন, কারিগরি একটা ত্রুটির কারণে এটা হয়েছে। তিনি প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে বলেন।
বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক আবদুল আওয়াল ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে সিএনএসের ব্যবস্থাপকের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গ্রামীণফোন চুক্তি অনুযায়ী রেলওয়ের কর্মকর্তাদের মোবাইলের সুবিধা দিয়ে থাকে। এটা তাদের দয়া নয়। তিনি আরও বলেন, ই-১ লাইনটা অনলাইনের কাজের জন্য না দিয়ে গ্রামীণফোন ব্যবসা করছে—এ অভিযোগ যদি ঠিক হয়, তাহলে সিএনএস যেন চিঠি দিয়ে জানায়। তখন তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
তাছাড়া বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন টেলিযোগাযোগ বিভাগকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
No comments