পুনর্গঠিত মানবাধিকার কমিশন -কথা ও কাজে মিল থাকা চাই
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম এখনো জনগণের কাছে স্পষ্ট হচ্ছে না। দ্রুত যে হবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা দেখি না; বরং আমরা জানতে পেরেছি যে সারা দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্ত এবং সে অনুযায়ী মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিতে সাকল্যে ১৭ জন লোক নিয়োগদানের একটি প্রস্তাব সরকার অনুমোদন করেছে। এ খবর আমাদের বিস্মিত করে। স্মরণ করতে পারি যে, দেশে একটি স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ ছিল। ইউএনডিপির অর্থায়নে একটি বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের লোকবল ১২৮ জন করার সুপারিশ করেছিল।
যদিও কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এই সংখ্যা ৬৮তে নামিয়ে আনার ‘বাস্তবতা’ মেনেছিলেন। কিন্তু সে প্রস্তাব সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ৩৮-এ দাঁড়ায়। অর্থ মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানোর পর তা সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশি বাস্তবতার শিকার হয়। তারা মোট ২৮ জন লোকবল বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে ১১ জন হলেন সহায়ক কর্মী। কাজের কাজ করতে হারাধনের রইল বাকি ১৭। মানবাধিকার আইনে বিভাগ ও জেলা সদরে স্বতন্ত্র দপ্তর প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা স্বীকৃত। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ মুহূর্তে এ ধরনের কোনো চিন্তাভাবনা আছে বলে মনে হয় না। বোঝাই যাচ্ছে, পুনর্গঠিত মানবাধিকার কমিশনের পক্ষে একটি ছোটখাটো তদন্ত দল করার চেয়ে বেশি কিছু করা সম্ভব নয়।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জন্ম নেওয়া এই প্রতিষ্ঠানকে বহুদিন কাজ করতে দেওয়া হয়নি। বর্তমান সরকার কমিশন পুনর্গঠন করেছে। কমিশনের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের সুবচনও দেশবাসী জানতে পারছে গণমাধ্যমের কল্যাণে। ৭ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে মানবাধিকার ও পুলিশ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে তিনি একটি অপ্রিয় সত্য উচ্চারণ করেন যে স্বাধীনতার পর সব সরকার পুলিশকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে। তিনি আরও বলেন, কোনো অজুহাতেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়া যাবে না। সমস্যাটা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির। তথাকথিত ‘ক্রসফায়ার’ ও ‘এনকাউন্টার’ প্রশ্রয় পাওয়ার বিষয়টিও সর্বজনবিদিত। এখন সরকারকেই এটা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। মানবাধিকার কমিশনকে দিয়ে এটা রোধ করা যাবে না। ‘পুলিশকে রাজনৈতিক কিংবা দলীয়’ কাজে ব্যবহারের সমস্যাও মূলগতভাবে রাজনৈতিক। সরকারের উচ্চপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে না। এই খবরটা সংশ্লিষ্ট সবার কাছে পরিষ্কার থাকতে হবে। কিন্তু তার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যে ঘটবে না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। সে ক্ষেত্রে একটি সচল ও কার্যকর মানবাধিকার কমিশন পারে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে।
আশা করব, মানবাধিকার কমিশনকে যেন একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত না করা হয়। কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান বক্তৃতা-বিবৃতিতে যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, তার সিকি ভাগ বাস্তবায়ন করতে হলে এটিকে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে। দুদক ও তথ্য অধিকার কমিশনকে দুর্বল করায় গণতন্ত্রের ভিত শক্ত হচ্ছে না। ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সরদার না করে মানবাধিকার কমিশনকে প্রয়োজনীয় লোকবল দিতে হবে, যাতে প্রতিষ্ঠানটি সারা দেশে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে।
যদিও কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এই সংখ্যা ৬৮তে নামিয়ে আনার ‘বাস্তবতা’ মেনেছিলেন। কিন্তু সে প্রস্তাব সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ৩৮-এ দাঁড়ায়। অর্থ মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানোর পর তা সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশি বাস্তবতার শিকার হয়। তারা মোট ২৮ জন লোকবল বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে ১১ জন হলেন সহায়ক কর্মী। কাজের কাজ করতে হারাধনের রইল বাকি ১৭। মানবাধিকার আইনে বিভাগ ও জেলা সদরে স্বতন্ত্র দপ্তর প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা স্বীকৃত। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ মুহূর্তে এ ধরনের কোনো চিন্তাভাবনা আছে বলে মনে হয় না। বোঝাই যাচ্ছে, পুনর্গঠিত মানবাধিকার কমিশনের পক্ষে একটি ছোটখাটো তদন্ত দল করার চেয়ে বেশি কিছু করা সম্ভব নয়।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জন্ম নেওয়া এই প্রতিষ্ঠানকে বহুদিন কাজ করতে দেওয়া হয়নি। বর্তমান সরকার কমিশন পুনর্গঠন করেছে। কমিশনের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের সুবচনও দেশবাসী জানতে পারছে গণমাধ্যমের কল্যাণে। ৭ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে মানবাধিকার ও পুলিশ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে তিনি একটি অপ্রিয় সত্য উচ্চারণ করেন যে স্বাধীনতার পর সব সরকার পুলিশকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে। তিনি আরও বলেন, কোনো অজুহাতেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়া যাবে না। সমস্যাটা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির। তথাকথিত ‘ক্রসফায়ার’ ও ‘এনকাউন্টার’ প্রশ্রয় পাওয়ার বিষয়টিও সর্বজনবিদিত। এখন সরকারকেই এটা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। মানবাধিকার কমিশনকে দিয়ে এটা রোধ করা যাবে না। ‘পুলিশকে রাজনৈতিক কিংবা দলীয়’ কাজে ব্যবহারের সমস্যাও মূলগতভাবে রাজনৈতিক। সরকারের উচ্চপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে না। এই খবরটা সংশ্লিষ্ট সবার কাছে পরিষ্কার থাকতে হবে। কিন্তু তার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যে ঘটবে না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। সে ক্ষেত্রে একটি সচল ও কার্যকর মানবাধিকার কমিশন পারে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে।
আশা করব, মানবাধিকার কমিশনকে যেন একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত না করা হয়। কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান বক্তৃতা-বিবৃতিতে যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, তার সিকি ভাগ বাস্তবায়ন করতে হলে এটিকে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে। দুদক ও তথ্য অধিকার কমিশনকে দুর্বল করায় গণতন্ত্রের ভিত শক্ত হচ্ছে না। ঢাল-তলোয়ারহীন নিধিরাম সরদার না করে মানবাধিকার কমিশনকে প্রয়োজনীয় লোকবল দিতে হবে, যাতে প্রতিষ্ঠানটি সারা দেশে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে।
No comments