এবার বিতর্কিত স্মৃতিসৌধে যাননি জাপানের মন্ত্রীরা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের বার্ষিকী ছিল গতকাল ১৫ আগস্ট। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী বা কোনো মন্ত্রী টোকিওতে বিতর্কিত ইয়াসুকুনি স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে যাননি। গত প্রায় ২৫ বছরের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের শীর্ষ ১৪ যুদ্ধাপরাধীসহ নিহত প্রায় ২৫ লাখ জাপানির স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছে ইয়াসুকুনি স্মৃতিসৌধ।
কার্যত একটানা প্রায় অর্ধশতাব্দী শাসনের পর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিকে (এলডিপি) ক্ষমতা থেকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী নাওতো কানের মধ্য-বামপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টি ক্ষমতায় আসার পর এটাই প্রথম আত্মসমর্পণের বার্ষিকী পালন।
প্রধানমন্ত্রী কান এবং সম্রাট আকিহিতো টোকিওতে একটি স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এখান থেকে ৬৫ বছর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় স্বীকার করেছিলেন সম্রাট আকিহিতোর বাবা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কান বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের কারণে অনেক মানুষকে, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোতে লোকজন অনেক কষ্ট পেয়েছে এবং অনেক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। এজন্য আমি গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করছি এবং হতাহত মানুষ ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
সম্রাট আকিহিতো বলেন, ‘আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমি ইতিহাসকে স্মরণ করছি এবং আন্তরিকভাবে আশা করছি, যুদ্ধের ভয়াবহতার আর কখনো যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।’
অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে একটি সমাধিক্ষেত্রে যান প্রধানমন্ত্রী কান। তিনি সেখানে ফুল দিয়ে বিদেশে রণাঙ্গনে নিহত জাপানি সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তবে কান বা মন্ত্রিপরিষদের কোনো সদস্য ইয়াসুকুনি স্মৃতিসৌধে যাননি। কিন্তু এলডিপি ক্ষমতায় থাকতে নিয়মিত তারা এটা করত। আর এতে করে ক্ষুব্ধ হতো চীন ও দুই কোরিয়া, যেখানে যুদ্ধের সময় জাপানের নৃশংসতা মানুষ এখনো ভোলেনি।
জাপানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ১৯৮৫ সালের পর এই প্রথম ইয়াসুকুনি স্মৃতিসৌধে কোনো মন্ত্রীর পরিদর্শন ছাড়াই দিবসটি পালিত হলো।
টাইমস স্কয়ারে অনুষ্ঠান: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির ৬৫তম বার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য গত শনিবার টাইমস স্কয়ারে জড়ো হয়েছিলেন শত শত যুগল। মাথায় নাবিক ও সেবিকার টুপি পরা যুগলেরা পরস্পরকে চুমু খেয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির বার্ষিকী উদ্যাপন করেন।
গতকাল রোববার ছিল ভি-জে ডে, মিত্র বাহিনী ও জাপানের মধ্যকার যুদ্ধের সমাপ্তির দিন। জাপান অবশ্য ১৯৪৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে একজন নাবিক এক সেবিকাকে আবেগসহকারে চুমু খাচ্ছেন—বিখ্যাত লাইফ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ছবির ওই দৃশ্যটি ফুটিয়ে তোলেন টাইমস স্কয়ারে সমবেত যুগলেরা। উদ্যাপন উপলক্ষে সমাবেশস্থলে ২৬ ফুট উঁচু একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের শীর্ষ ১৪ যুদ্ধাপরাধীসহ নিহত প্রায় ২৫ লাখ জাপানির স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছে ইয়াসুকুনি স্মৃতিসৌধ।
কার্যত একটানা প্রায় অর্ধশতাব্দী শাসনের পর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিকে (এলডিপি) ক্ষমতা থেকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী নাওতো কানের মধ্য-বামপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টি ক্ষমতায় আসার পর এটাই প্রথম আত্মসমর্পণের বার্ষিকী পালন।
প্রধানমন্ত্রী কান এবং সম্রাট আকিহিতো টোকিওতে একটি স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এখান থেকে ৬৫ বছর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় স্বীকার করেছিলেন সম্রাট আকিহিতোর বাবা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কান বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের কারণে অনেক মানুষকে, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোতে লোকজন অনেক কষ্ট পেয়েছে এবং অনেক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। এজন্য আমি গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করছি এবং হতাহত মানুষ ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
সম্রাট আকিহিতো বলেন, ‘আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমি ইতিহাসকে স্মরণ করছি এবং আন্তরিকভাবে আশা করছি, যুদ্ধের ভয়াবহতার আর কখনো যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।’
অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে একটি সমাধিক্ষেত্রে যান প্রধানমন্ত্রী কান। তিনি সেখানে ফুল দিয়ে বিদেশে রণাঙ্গনে নিহত জাপানি সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তবে কান বা মন্ত্রিপরিষদের কোনো সদস্য ইয়াসুকুনি স্মৃতিসৌধে যাননি। কিন্তু এলডিপি ক্ষমতায় থাকতে নিয়মিত তারা এটা করত। আর এতে করে ক্ষুব্ধ হতো চীন ও দুই কোরিয়া, যেখানে যুদ্ধের সময় জাপানের নৃশংসতা মানুষ এখনো ভোলেনি।
জাপানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ১৯৮৫ সালের পর এই প্রথম ইয়াসুকুনি স্মৃতিসৌধে কোনো মন্ত্রীর পরিদর্শন ছাড়াই দিবসটি পালিত হলো।
টাইমস স্কয়ারে অনুষ্ঠান: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির ৬৫তম বার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য গত শনিবার টাইমস স্কয়ারে জড়ো হয়েছিলেন শত শত যুগল। মাথায় নাবিক ও সেবিকার টুপি পরা যুগলেরা পরস্পরকে চুমু খেয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির বার্ষিকী উদ্যাপন করেন।
গতকাল রোববার ছিল ভি-জে ডে, মিত্র বাহিনী ও জাপানের মধ্যকার যুদ্ধের সমাপ্তির দিন। জাপান অবশ্য ১৯৪৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে একজন নাবিক এক সেবিকাকে আবেগসহকারে চুমু খাচ্ছেন—বিখ্যাত লাইফ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ছবির ওই দৃশ্যটি ফুটিয়ে তোলেন টাইমস স্কয়ারে সমবেত যুগলেরা। উদ্যাপন উপলক্ষে সমাবেশস্থলে ২৬ ফুট উঁচু একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়।
No comments