ইরাক যুদ্ধের বৈধতা নিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল ব্লেয়ারকে
ইরাক যুদ্ধের আগেই এ যুদ্ধের বৈধতা নিয়ে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। যুদ্ধ শুরুর তিন মাস আগে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল লর্ড গোল্ডস্মিথ একটি গোপন স্মারকে এ সতর্কতা উচ্চারণ করেছিলেন। সে দেশের একটি পত্রিকায় সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
ডেইলি এক্সপ্রেস-এর অনলাইন সংস্করণ জানিয়েছে, ব্রিটেনের মন্ত্রিপরিষদ কার্যালয় অ্যাটর্নি জেনারেল গোল্ডস্মিথের লেখা একটি স্মারকের খসড়া প্রকাশ করেছে। এই স্মারকে তিনি ইরাক যুদ্ধের বৈধতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া এ যুদ্ধে অংশ নিলে তা হবে অবৈধ।
২০০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি এই স্মারক লেখা হয়। এতে জাতিসংঘের পূর্ববর্তী একটি প্রস্তাবের উল্লেখ করে বলা হয়, ‘জাতিসংঘের প্রস্তাব ইরাকের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ অনুমোদন করে না। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া ইরাকে শক্তি প্রয়োগের বৈধতা নেই।’
এ স্মারক লেখার কয়েক দিনের মধ্যে গোল্ডস্মিথ যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। সেখানে তিনি তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে এ বৈঠকের পর অ্যাটর্নি গোল্ডস্মিথ তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেন বলে পত্রিকাটি জানায়।
ডেইলি এক্সপ্রেস জানিয়েছে, গোল্ডস্মিথের সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসের সাবেক আইনি উপদেষ্টা জন বিলিঞ্জার ব্রিটিশ উপদেষ্টাদের বলেছিলেন, ‘আপনাদের অ্যাটর্নির সঙ্গে আমাদের অনেক বাদানুবাদ হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা তাঁর মত পাল্টাতে সক্ষম হয়েছি।’
মার্কিন উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকের পর গোল্ডস্মিথ ব্রিটিশ সরকারকে ইরাক যুদ্ধে যাওয়ার সবুজ সংকেত দেন। এরপর ২০০৩ সালের ২০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে হামলা চালানো হয়।
অ্যাটর্নি গোল্ডস্মিথ ডেইলি এক্সপ্রেস-এর এ প্রতিবেদনকে ‘অর্থহীন’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, ইরাক যুদ্ধের ঘোর বিরোধী ছিলেন তিনি।
ইরাক যুদ্ধের বৈধতা নিয়ে ব্রিটিশ সরকার একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করছে। তদন্ত দলের প্রধান হচ্ছেন স্যার জন চিলকট। ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এ তদন্ত দলের ঘোষণা দেন।
তদন্ত দলের কাছে ব্রিটেনের কয়েকজন সরকারি কৌঁসুলি বলেছেন, তাঁরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, ইরাকে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত ছিল অবৈধ।
ডেইলি এক্সপ্রেস-এর অনলাইন সংস্করণ জানিয়েছে, ব্রিটেনের মন্ত্রিপরিষদ কার্যালয় অ্যাটর্নি জেনারেল গোল্ডস্মিথের লেখা একটি স্মারকের খসড়া প্রকাশ করেছে। এই স্মারকে তিনি ইরাক যুদ্ধের বৈধতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া এ যুদ্ধে অংশ নিলে তা হবে অবৈধ।
২০০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি এই স্মারক লেখা হয়। এতে জাতিসংঘের পূর্ববর্তী একটি প্রস্তাবের উল্লেখ করে বলা হয়, ‘জাতিসংঘের প্রস্তাব ইরাকের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ অনুমোদন করে না। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া ইরাকে শক্তি প্রয়োগের বৈধতা নেই।’
এ স্মারক লেখার কয়েক দিনের মধ্যে গোল্ডস্মিথ যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। সেখানে তিনি তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে এ বৈঠকের পর অ্যাটর্নি গোল্ডস্মিথ তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেন বলে পত্রিকাটি জানায়।
ডেইলি এক্সপ্রেস জানিয়েছে, গোল্ডস্মিথের সঙ্গে বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসের সাবেক আইনি উপদেষ্টা জন বিলিঞ্জার ব্রিটিশ উপদেষ্টাদের বলেছিলেন, ‘আপনাদের অ্যাটর্নির সঙ্গে আমাদের অনেক বাদানুবাদ হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা তাঁর মত পাল্টাতে সক্ষম হয়েছি।’
মার্কিন উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকের পর গোল্ডস্মিথ ব্রিটিশ সরকারকে ইরাক যুদ্ধে যাওয়ার সবুজ সংকেত দেন। এরপর ২০০৩ সালের ২০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে হামলা চালানো হয়।
অ্যাটর্নি গোল্ডস্মিথ ডেইলি এক্সপ্রেস-এর এ প্রতিবেদনকে ‘অর্থহীন’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, ইরাক যুদ্ধের ঘোর বিরোধী ছিলেন তিনি।
ইরাক যুদ্ধের বৈধতা নিয়ে ব্রিটিশ সরকার একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করছে। তদন্ত দলের প্রধান হচ্ছেন স্যার জন চিলকট। ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এ তদন্ত দলের ঘোষণা দেন।
তদন্ত দলের কাছে ব্রিটেনের কয়েকজন সরকারি কৌঁসুলি বলেছেন, তাঁরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, ইরাকে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত ছিল অবৈধ।
No comments