প্রতিশোধ নিতে পারবে আর্জেন্টিনা?
বুয়েনস এইরেস থেকে বিশ্বকাপ দেখতে আসা একদল তরুণ কেপটাউনে না থেকে চলে এসেছে পোর্ট এলিজাবেথে। তাদের কাছে ‘মূল শত্রু’ ব্রাজিলের পরাজয়ই কাম্য আগে। কিন্তু আর্জেন্টিনা কী করবে জার্মানির বিপক্ষে? ‘কী করবে আবার, জিতবে’—রদ্রিগেজ পকেটে আর্জেন্টিনার জয়টা পুরে নিয়েই যেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্টেডিয়ামের সামনে দিয়ে। ‘ভাগ্য তোমাদের সহায় হোক’— কথাটা শুনে আর্জেন্টাইন তরুণ যেন তেড়ে এলেন। ‘কী বলেন, ভাগ্য? আর্জেন্টিনা খেলেই জিতবে।’
কথাটা কি ঠিক! এই দুটো দলের বিশ্বকাপ-ইতিহাসে ভাগ্য তো জড়িয়ে রয়েছে অক্টোপাসের মতো। ১৯৮৬ আর ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনাল, ২০০৬-এর কোয়ার্টার ফাইনাল এবং তার পর এবারও শেষ আটে মুখোমুখি। বাজি ধরে বলা যায়, দুই পক্ষই প্রার্থনা করেছে, ফাইনালের আগে যেন দেখা না হয়। কিন্তু তা-ই হলো শেষ পর্যন্ত।
তবে অনেকেই ধরে নিচ্ছেন চাকাটা এবার উল্টো দিকে ঘুরবে। গতবার টাইব্রেকারে কাটা পড়েছিল আর্জেন্টিনা। এবার জেতার পালা। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি যেমন হচ্ছে, তাতে এটা হবেই। ৪৪ বছর আগে জিওফ হার্স্টের শট গোললাইন না পেরোলেও ইংল্যান্ড গোল পেয়ে গিয়েছিল জার্মানির বিপক্ষে। আর সেদিন জার্মানির বিপক্ষে গোল করেও গোল পেলেন না ইংল্যান্ডের ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। তবে আর্জেন্টিনা-জার্মানির কাছে পুনরাবৃত্তি হতে নাকি বেশি সময় নেয় না ইতিহাস। চার বছর পর পরই হয়ে যায়। অধিবর্ষের ২৯ ফেব্রুয়ারি তারিখটির মতো। বায়ার্ন মিউনিখ কর্মকর্তা ও জার্মানির সাবেক তারকা উলি হোয়েনেসই তো মনে করছেন, এবার জার্মানি হারবে।
জার্মানি কেন পারবে না, তার কতগুলো লক্ষণ দেখছেন তিনি—
গত বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা গ্যালারিতে বসে নিজের জার্সি ঘুরিয়ে দলকে জাগিয়ে তুলতেন, আর্জেন্টিনা জিতত। কিন্তু এবার তিনি দলের সঙ্গেই। এবার আর টিকিটের জন্য হা-পিত্যেশ করতে হচ্ছে না। বার্লিনের ওই কোয়ার্টার ফাইনালে টিকিট পাননি বলে মাঠে যেতে পারেননি। হেরে বসেছিল আর্জেন্টিনা। এবার তাঁর না থাকার প্রশ্নই উঠছে না।
‘বুদ্ধিভ্রষ্ট’ হোসে পেকারম্যান এবার নেই যে, দলের সবচেয়ে দামি মুক্তাটাকে বসিয়ে রাখা হবে বেঞ্চে! চার বছর আগের সেই এখন আরও বেশি উজ্জ্বল মুক্তাখণ্ড। তাঁকে আটকানোর সাধ্য এই গ্রহে কারও নেই।
মেসি-ম্যারাডোনা যুগলবন্দী ছাড়া হোয়েনেস যা বলেছেন, তা সংস্কারগ্রস্ত মনের কথা। উল্টো দিক দিয়েও এমন অনেক সংস্কার আছে। ধরুন পেলের কথা। পেলে বলেছেন, এই আর্জেন্টিনা দুর্দান্ত, তারাই জিতবে। জ্যোতিষী হিসেবে পেলে যে কতটা খারাপ, সেটি আর নতুন করে না বলে দিলেও চলছে। তাহলে কেপটাউনের গ্রিন পয়েন্টে আজ কাদের মুখে থাকবে শেষ হাসি?
অবশ্য ম্যারাডোনার ভাবভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে, আত্মবিশ্বাস ছলকে উঠছে তাঁর পাত্র থেকে। পরশু প্রিটোরিয়ার হাইপারম্যান্স ট্রেনিং সেন্টারের অনুশীলনে মুখে চুরুট নিয়ে ছেলেদের সঙ্গে খেলতে শুরু করে দিলেন ‘চোর-পুলিশ’। জাবুলানি বলকে খেলোয়াড়দের কাছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল মনে হতে পারে, তাঁর কাছে নয়। গোলে ১৯টি শট নিয়ে ১৭ গোল করে শিষ্যদের দেখিয়ে দিলেন, বল নিয়ে তোমরা ভেবো না। সর্দি-জ্বর মেসির, তবু তিনি পরশু চলে এলেন অনুশীলনে। ম্যারাডোনা গায়ে হাত দিয়ে মেসির ওপর মহাখাপ্পা, ‘তোমাকে কে বলেছে জ্বর নিয়ে প্র্যাকটিসে আসতে, অ্যাঁ? যাও ঘরে গিয়ে শুয়ে থাকো।’
একটা দল সাড়ে ষোলো শ কিলোমিটার দূরের একটা ভেন্যুতে খেলতে যাবে, একটু আগেভাগে গিয়ে সেখানকার আবহাওয়া, মাঠ ইত্যাদির সঙ্গে মানিয়ে নেবে, তা না আর্জেন্টিনা কেপটাউন রওনা হলো পরশু বিকেলে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্র্যাকটিস করে তারপর। বুঝে দেখুন, কতটা আত্মবিশ্বাসী আর্জেন্টিনা! অথচ জার্মানি কেপটাউনে গিয়ে বসে আছে দুই দিন আগে। আসলে আত্মবিশ্বাসী, না স্নায়ুকাতর?
স্নায়ুকাতর হলে তো কথার লড়াই চলে। কার্লোস তেভেজ যেমন বলেছেন, জার্মানির চেয়ে মেক্সিকো ভালো দল। জার্মানির বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার যেমন বলেছেন, আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষ দল কিংবা রেফারিকে সম্মানই করতে জানে না। অধিনায়ক ফিলিপ লাম আবার সমর্থন করেছেন ‘শোয়েইনি’কে। এসব কথার জবাব দিতে কোনো খেলোয়াড়ের দরকার নেই। ম্যারাডোনা একাই এক শ। এ কথাটাও মাটিতে পড়তে দিলেন না আর্জেন্টিনা কোচ, জার্মান উচ্চারণ নকল করার ভঙ্গিতে বললেন, ‘আর ইউ নার্ভাশ্শ্ শোয়েইনি!’
ভাগ্য, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, কথার লড়াই—যাই চলুক না কেন, আর্জেন্টিনা-জার্মানি ম্যাচ বিশ্ব ফুটবলের এক অনুপম লড়াই। কে জিতবে কেউ বলতে পারে না আগাম। বিশেষজ্ঞরা কোনো দলকেই এগিয়ে রাখতে পারছেন না। হ্যাঁ, জার্মানি দলটা তারুণ্যদীপ্ত। ২০ পেরোনো কয়েক তরুণ মেসুত ওজিল, সামি খেদিরা, টমাস মুলার, জেরোম বোয়াটেং, পল নয়্যাররা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। সেই তুলনায় আর্জেন্টিনা অভিজ্ঞ, কিন্তু দলটাকে খেলাচ্ছেন তো একজনই—মেসি। প্রতিটি ম্যাচে ভালো খেলা তাঁর পক্ষে সম্ভব? তা ছাড়া রক্ষণটা এখনো অরক্ষিত। মার্টিন ডেমিকেলিস যদি দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচের মতো ও রকম গোটা দুয়েক ভুল করেন, তাহলেই জার্মানির প্রতি-আক্রমণের ফলায় তারা বিদ্ধ হবে। আর্জেন্টিনা মিডিয়ার বিশ্বাস, ম্যারাডোনা ৪-৩-১-২ ছক বদলে ফিরে যাবেন ৪-৪-২ ছকে। যাতে মাঝমাঠটা শক্ত হয়। জার্মান কোচ জোয়াকিম লো অবিচল ৪-৪-২ ছকে। দলেও নাকি কোনো পরিবর্তন নেই।
মেসিকে আটকানোর পরিকল্পনা ফেঁদেছে জার্মানি। মেসিই যে আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা। আগের ম্যাচে কোচের সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন একটা গোল করবেন। গোল পাননি। আবারও বাজি ধরেছেন, গোল পাবেনই। অন্তত দুই গোল। তাহলে তো জিতেই গেল আর্জেন্টিনা! ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। ম্যারাডোনা-মেসির মনের মধ্যে কী ঝড় বইছে, সে খবর কজন জানেন? প্রতিপক্ষের নাম যে জার্মানি।
কথাটা কি ঠিক! এই দুটো দলের বিশ্বকাপ-ইতিহাসে ভাগ্য তো জড়িয়ে রয়েছে অক্টোপাসের মতো। ১৯৮৬ আর ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনাল, ২০০৬-এর কোয়ার্টার ফাইনাল এবং তার পর এবারও শেষ আটে মুখোমুখি। বাজি ধরে বলা যায়, দুই পক্ষই প্রার্থনা করেছে, ফাইনালের আগে যেন দেখা না হয়। কিন্তু তা-ই হলো শেষ পর্যন্ত।
তবে অনেকেই ধরে নিচ্ছেন চাকাটা এবার উল্টো দিকে ঘুরবে। গতবার টাইব্রেকারে কাটা পড়েছিল আর্জেন্টিনা। এবার জেতার পালা। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি যেমন হচ্ছে, তাতে এটা হবেই। ৪৪ বছর আগে জিওফ হার্স্টের শট গোললাইন না পেরোলেও ইংল্যান্ড গোল পেয়ে গিয়েছিল জার্মানির বিপক্ষে। আর সেদিন জার্মানির বিপক্ষে গোল করেও গোল পেলেন না ইংল্যান্ডের ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। তবে আর্জেন্টিনা-জার্মানির কাছে পুনরাবৃত্তি হতে নাকি বেশি সময় নেয় না ইতিহাস। চার বছর পর পরই হয়ে যায়। অধিবর্ষের ২৯ ফেব্রুয়ারি তারিখটির মতো। বায়ার্ন মিউনিখ কর্মকর্তা ও জার্মানির সাবেক তারকা উলি হোয়েনেসই তো মনে করছেন, এবার জার্মানি হারবে।
জার্মানি কেন পারবে না, তার কতগুলো লক্ষণ দেখছেন তিনি—
গত বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা গ্যালারিতে বসে নিজের জার্সি ঘুরিয়ে দলকে জাগিয়ে তুলতেন, আর্জেন্টিনা জিতত। কিন্তু এবার তিনি দলের সঙ্গেই। এবার আর টিকিটের জন্য হা-পিত্যেশ করতে হচ্ছে না। বার্লিনের ওই কোয়ার্টার ফাইনালে টিকিট পাননি বলে মাঠে যেতে পারেননি। হেরে বসেছিল আর্জেন্টিনা। এবার তাঁর না থাকার প্রশ্নই উঠছে না।
‘বুদ্ধিভ্রষ্ট’ হোসে পেকারম্যান এবার নেই যে, দলের সবচেয়ে দামি মুক্তাটাকে বসিয়ে রাখা হবে বেঞ্চে! চার বছর আগের সেই এখন আরও বেশি উজ্জ্বল মুক্তাখণ্ড। তাঁকে আটকানোর সাধ্য এই গ্রহে কারও নেই।
মেসি-ম্যারাডোনা যুগলবন্দী ছাড়া হোয়েনেস যা বলেছেন, তা সংস্কারগ্রস্ত মনের কথা। উল্টো দিক দিয়েও এমন অনেক সংস্কার আছে। ধরুন পেলের কথা। পেলে বলেছেন, এই আর্জেন্টিনা দুর্দান্ত, তারাই জিতবে। জ্যোতিষী হিসেবে পেলে যে কতটা খারাপ, সেটি আর নতুন করে না বলে দিলেও চলছে। তাহলে কেপটাউনের গ্রিন পয়েন্টে আজ কাদের মুখে থাকবে শেষ হাসি?
অবশ্য ম্যারাডোনার ভাবভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে, আত্মবিশ্বাস ছলকে উঠছে তাঁর পাত্র থেকে। পরশু প্রিটোরিয়ার হাইপারম্যান্স ট্রেনিং সেন্টারের অনুশীলনে মুখে চুরুট নিয়ে ছেলেদের সঙ্গে খেলতে শুরু করে দিলেন ‘চোর-পুলিশ’। জাবুলানি বলকে খেলোয়াড়দের কাছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল মনে হতে পারে, তাঁর কাছে নয়। গোলে ১৯টি শট নিয়ে ১৭ গোল করে শিষ্যদের দেখিয়ে দিলেন, বল নিয়ে তোমরা ভেবো না। সর্দি-জ্বর মেসির, তবু তিনি পরশু চলে এলেন অনুশীলনে। ম্যারাডোনা গায়ে হাত দিয়ে মেসির ওপর মহাখাপ্পা, ‘তোমাকে কে বলেছে জ্বর নিয়ে প্র্যাকটিসে আসতে, অ্যাঁ? যাও ঘরে গিয়ে শুয়ে থাকো।’
একটা দল সাড়ে ষোলো শ কিলোমিটার দূরের একটা ভেন্যুতে খেলতে যাবে, একটু আগেভাগে গিয়ে সেখানকার আবহাওয়া, মাঠ ইত্যাদির সঙ্গে মানিয়ে নেবে, তা না আর্জেন্টিনা কেপটাউন রওনা হলো পরশু বিকেলে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্র্যাকটিস করে তারপর। বুঝে দেখুন, কতটা আত্মবিশ্বাসী আর্জেন্টিনা! অথচ জার্মানি কেপটাউনে গিয়ে বসে আছে দুই দিন আগে। আসলে আত্মবিশ্বাসী, না স্নায়ুকাতর?
স্নায়ুকাতর হলে তো কথার লড়াই চলে। কার্লোস তেভেজ যেমন বলেছেন, জার্মানির চেয়ে মেক্সিকো ভালো দল। জার্মানির বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার যেমন বলেছেন, আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষ দল কিংবা রেফারিকে সম্মানই করতে জানে না। অধিনায়ক ফিলিপ লাম আবার সমর্থন করেছেন ‘শোয়েইনি’কে। এসব কথার জবাব দিতে কোনো খেলোয়াড়ের দরকার নেই। ম্যারাডোনা একাই এক শ। এ কথাটাও মাটিতে পড়তে দিলেন না আর্জেন্টিনা কোচ, জার্মান উচ্চারণ নকল করার ভঙ্গিতে বললেন, ‘আর ইউ নার্ভাশ্শ্ শোয়েইনি!’
ভাগ্য, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, কথার লড়াই—যাই চলুক না কেন, আর্জেন্টিনা-জার্মানি ম্যাচ বিশ্ব ফুটবলের এক অনুপম লড়াই। কে জিতবে কেউ বলতে পারে না আগাম। বিশেষজ্ঞরা কোনো দলকেই এগিয়ে রাখতে পারছেন না। হ্যাঁ, জার্মানি দলটা তারুণ্যদীপ্ত। ২০ পেরোনো কয়েক তরুণ মেসুত ওজিল, সামি খেদিরা, টমাস মুলার, জেরোম বোয়াটেং, পল নয়্যাররা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। সেই তুলনায় আর্জেন্টিনা অভিজ্ঞ, কিন্তু দলটাকে খেলাচ্ছেন তো একজনই—মেসি। প্রতিটি ম্যাচে ভালো খেলা তাঁর পক্ষে সম্ভব? তা ছাড়া রক্ষণটা এখনো অরক্ষিত। মার্টিন ডেমিকেলিস যদি দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচের মতো ও রকম গোটা দুয়েক ভুল করেন, তাহলেই জার্মানির প্রতি-আক্রমণের ফলায় তারা বিদ্ধ হবে। আর্জেন্টিনা মিডিয়ার বিশ্বাস, ম্যারাডোনা ৪-৩-১-২ ছক বদলে ফিরে যাবেন ৪-৪-২ ছকে। যাতে মাঝমাঠটা শক্ত হয়। জার্মান কোচ জোয়াকিম লো অবিচল ৪-৪-২ ছকে। দলেও নাকি কোনো পরিবর্তন নেই।
মেসিকে আটকানোর পরিকল্পনা ফেঁদেছে জার্মানি। মেসিই যে আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা। আগের ম্যাচে কোচের সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন একটা গোল করবেন। গোল পাননি। আবারও বাজি ধরেছেন, গোল পাবেনই। অন্তত দুই গোল। তাহলে তো জিতেই গেল আর্জেন্টিনা! ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। ম্যারাডোনা-মেসির মনের মধ্যে কী ঝড় বইছে, সে খবর কজন জানেন? প্রতিপক্ষের নাম যে জার্মানি।
No comments