লাহোরের মাজারে আত্মঘাতী বোমায় নিহত ৫০
এক মাসের ব্যবধানে আবারও রক্তে রঞ্জিত হলো পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নগর লাহোর। এক সুফি সাধকের মাজারে গত বৃহস্পতিবার রাতে পরপর দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে দুই শতাধিক।
এর আগে গত ২৮ মে লাহোরে আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের দুটি মসজিদে রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র জঙ্গি হামলা চালানো হয়।
দাতা গানজ্ বখ্শ নামে পরিচিত সুফি হজরত সৈয়দ আলী বিন উসমান হাজবেরির মাজারে এ হামলা চালানো হয়। গতকাল রাত পর্যন্ত এ ঘটনার দায়িত্ব কেউ স্বীকার করেনি। মাজারটি পাকিস্তানের সবচেয়ে পবিত্র ধর্মীয় স্থানগুলোর একটি।
ঘটনার পর ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ হওয়া একটি নাটকীয় ভিডিওচিত্র পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, একজন নিরাপত্তারক্ষী সন্দেহভাজন বোমা হামলাকারীকে ধাওয়া করছেন। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
বিস্ফোরণের পরমুহূর্তেই পুরো এলাকা সাদা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। ভক্তরা চারদিকে ছোটাছুটি করতে থাকেন। সাদা মার্বেল পাথরের মেঝেজুড়ে ছড়িয়ে থাকে রক্ত, শরীরের বিভিন্ন অংশ ও ভক্তদের ছিটকে পড়া জিনিসপত্র।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর বিচ্ছিন্ন মস্তক উদ্ধার করা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যেও কীভাবে তারা হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ হামলা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। তাঁরা বলেছেন, সন্ত্রাসীদের কাছে কোনো ধর্মবিশ্বাস ও আদর্শের মূল্য নেই। যে করেই হোক, এ হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এ হামলার পর গতকাল শুক্রবার লাহোরজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়। জুমার নামাজ সামনে রেখে মসজিদগুলোতে নেওয়া হয় অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা।
কয়েক বছর ধরে তালেবান ও আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা পাকিস্তানে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে।
কর্মকর্তারা জানান, ওই মাজারে প্রতি রাতেই ভক্তরা সমবেত হন। তবে বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, মাজারের প্রবেশমুখে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনকারী কর্মী সালিম রেজা স্ক্যানার দিয়ে তল্লাশি করে ভক্তদের ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন। তখন মাজারের ভেতরে সবুজ পাগড়ি, সাদা আলখাল্লা ও চাদর পরিহিত ব্যাগ হাতে এক ব্যক্তিকে তাঁর দৃশ্যত সন্দেহ হয়। সালিম তাঁকে ধাওয়া করেন। কিন্তু কাছে যাওয়ার আগেই ওই ব্যক্তি সঙ্গে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান।
স্থানীয় বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে গতকাল এ ভিডিওচিত্র প্রচার করা হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে মাজারের ভূগর্ভস্থ অংশে। এর পরপরই দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘হামলার পর রক্তস্নাত মেঝেতে নিহত ব্যক্তিদের শরীরের অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। আর আহত ব্যক্তিদের কাতরাতে দেখেছি।’
মাজারের তত্ত্বাবধায়ক মিয়া মোহাম্মদ মুনির বলেন, কয়েক মিনিটের ব্যবধানে এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি জানান, এ সময় মাজারে দুই থেকে আড়াই হাজার ভক্ত উপস্থিত ছিলেন।
লাহোরের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা চৌধুরী শফিক বলেন, হামলাকারীদের একজন মাজার প্রাঙ্গণে নিজেকে উড়িয়ে দেন। আরেকজন মাজারের ভূগর্ভস্থ অংশে বিস্ফোরণ ঘটান। এ হামলার কয়েক ঘণ্টা পর মার্কিন কনস্যুলেট ও লাহোর প্রেসক্লাবের পাশে দুটি পটকা ধরনের হাতে তৈরি বোমা ফাটানো হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মাজার প্রাঙ্গণে আত্মঘাতী বোমা হামলার পর লাহোরের ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও অন্য নিরাপত্তাকর্মীরা জোরদার টহল দেন।
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির মুখপাত্র ফারাহনাজ ইস্পাহানি বলেন, ‘চরমপন্থীদের এই ঘৃণ্য অভিশাপ পাকিস্তান থেকে দূর করা হবে। সন্ত্রাসীদের হামলায় আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকব না।’
লাহোরে সম্প্রতি তালেবান ও আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের হামলা বেড়ে গেছে। গত বছরের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত নয়টি হামলা চালানো হয়েছে সেখানে। এতে অন্তত ২৬৫ জন মারা গেছে।
এক মাসের ব্যবধানে লাহোরে এটি হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম হামলা। ২৮ মে আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের দুটি মসজিদে সশস্ত্র জঙ্গি হামলায় ৮০ জন নিহত হয়।
এর আগে গত ২৮ মে লাহোরে আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের দুটি মসজিদে রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র জঙ্গি হামলা চালানো হয়।
দাতা গানজ্ বখ্শ নামে পরিচিত সুফি হজরত সৈয়দ আলী বিন উসমান হাজবেরির মাজারে এ হামলা চালানো হয়। গতকাল রাত পর্যন্ত এ ঘটনার দায়িত্ব কেউ স্বীকার করেনি। মাজারটি পাকিস্তানের সবচেয়ে পবিত্র ধর্মীয় স্থানগুলোর একটি।
ঘটনার পর ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ হওয়া একটি নাটকীয় ভিডিওচিত্র পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, একজন নিরাপত্তারক্ষী সন্দেহভাজন বোমা হামলাকারীকে ধাওয়া করছেন। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
বিস্ফোরণের পরমুহূর্তেই পুরো এলাকা সাদা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। ভক্তরা চারদিকে ছোটাছুটি করতে থাকেন। সাদা মার্বেল পাথরের মেঝেজুড়ে ছড়িয়ে থাকে রক্ত, শরীরের বিভিন্ন অংশ ও ভক্তদের ছিটকে পড়া জিনিসপত্র।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর বিচ্ছিন্ন মস্তক উদ্ধার করা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যেও কীভাবে তারা হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ হামলা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। তাঁরা বলেছেন, সন্ত্রাসীদের কাছে কোনো ধর্মবিশ্বাস ও আদর্শের মূল্য নেই। যে করেই হোক, এ হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এ হামলার পর গতকাল শুক্রবার লাহোরজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়। জুমার নামাজ সামনে রেখে মসজিদগুলোতে নেওয়া হয় অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা।
কয়েক বছর ধরে তালেবান ও আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা পাকিস্তানে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে।
কর্মকর্তারা জানান, ওই মাজারে প্রতি রাতেই ভক্তরা সমবেত হন। তবে বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, মাজারের প্রবেশমুখে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনকারী কর্মী সালিম রেজা স্ক্যানার দিয়ে তল্লাশি করে ভক্তদের ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন। তখন মাজারের ভেতরে সবুজ পাগড়ি, সাদা আলখাল্লা ও চাদর পরিহিত ব্যাগ হাতে এক ব্যক্তিকে তাঁর দৃশ্যত সন্দেহ হয়। সালিম তাঁকে ধাওয়া করেন। কিন্তু কাছে যাওয়ার আগেই ওই ব্যক্তি সঙ্গে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান।
স্থানীয় বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে গতকাল এ ভিডিওচিত্র প্রচার করা হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে মাজারের ভূগর্ভস্থ অংশে। এর পরপরই দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘হামলার পর রক্তস্নাত মেঝেতে নিহত ব্যক্তিদের শরীরের অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। আর আহত ব্যক্তিদের কাতরাতে দেখেছি।’
মাজারের তত্ত্বাবধায়ক মিয়া মোহাম্মদ মুনির বলেন, কয়েক মিনিটের ব্যবধানে এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি জানান, এ সময় মাজারে দুই থেকে আড়াই হাজার ভক্ত উপস্থিত ছিলেন।
লাহোরের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা চৌধুরী শফিক বলেন, হামলাকারীদের একজন মাজার প্রাঙ্গণে নিজেকে উড়িয়ে দেন। আরেকজন মাজারের ভূগর্ভস্থ অংশে বিস্ফোরণ ঘটান। এ হামলার কয়েক ঘণ্টা পর মার্কিন কনস্যুলেট ও লাহোর প্রেসক্লাবের পাশে দুটি পটকা ধরনের হাতে তৈরি বোমা ফাটানো হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মাজার প্রাঙ্গণে আত্মঘাতী বোমা হামলার পর লাহোরের ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও অন্য নিরাপত্তাকর্মীরা জোরদার টহল দেন।
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির মুখপাত্র ফারাহনাজ ইস্পাহানি বলেন, ‘চরমপন্থীদের এই ঘৃণ্য অভিশাপ পাকিস্তান থেকে দূর করা হবে। সন্ত্রাসীদের হামলায় আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকব না।’
লাহোরে সম্প্রতি তালেবান ও আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের হামলা বেড়ে গেছে। গত বছরের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত নয়টি হামলা চালানো হয়েছে সেখানে। এতে অন্তত ২৬৫ জন মারা গেছে।
এক মাসের ব্যবধানে লাহোরে এটি হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম হামলা। ২৮ মে আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের দুটি মসজিদে সশস্ত্র জঙ্গি হামলায় ৮০ জন নিহত হয়।
No comments