মেসিভক্ত ইউসেবিও
গোল্ডেন বুট জিতবে গঞ্জালো হিগুয়েইন, ডেভিড ভিয়া বা টমাস মুলারের একজন। শিরোপা জিততে পারে ব্রাজিল, তবে ফাইনালে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী কে হতে পারে, তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না—সব ভবিষ্যদ্বাণী নিয়েই যেন একটু সংশয় আছে ইউসেবিওর। একটা ব্যাপারেই শুধু কোনো সংশয় নেই পর্তুগিজ গ্রেটের, এ বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার হবেন লিওনেল মেসি।
এখনো পর্যন্ত খেলেছেন দুর্দান্ত, কিন্তু গোলের দেখা পাননি বলে মেসির শ্রেষ্ঠত্বে সংশয় অনেকের। কিন্তু ইউসেবিও নিশ্চিত, সেরা হবেন মেসিই, ‘আমার কোনো সন্দেহই নেই, আর্জেন্টিনার ওই বাচ্চা ছেলেটা...মেসি, ও-ই হবে টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার।’ কাল রাতের ম্যাচগুলোর আগ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি শট নিয়েছেন মেসি, সতীর্থদের বেশির ভাগ গোলেই অবদান আছে তাঁর, মেসির আক্ষেপ শুধু ওই নিজের গোল না পাওয়া নিয়েই। বেশ কবার গোলের খুব কাছাকাছি গিয়েছেনও, কিন্তু হয় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গোলবার কিংবা দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দিয়েছেন গোলকিপার।
পর্তুগালের সর্বকালের সেরা ফুটবলার ইউসেবিও পরশু জোহানেসবার্গে গিয়েছিলেন অ্যাডিডাসের এক অনুষ্ঠানে। দুদিন আগেই স্পেনের কাছে হেরে তাঁর দেশ বিদায় নিয়েছে, প্রকাশ্যে কোচের সমালোচনা করেছেন রোনালদো-ডেকোরা, কোচ থেকে শুরু করে মিডিয়া আবার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সমালোচনায় মুখর, সব মিলিয়ে পর্তুগালের ফুটবলে এখন চলছে অস্থিরতা। ক্ষিপ্রতার জন্য খেলোয়াড়ি জীবনে ‘কালো চিতা’ নামে পরিচিতি পাওয়া ইউসেবিও অবশ্য যোগ দিচ্ছেন না সমালোচকদের মিছিলে। তাঁর ময়নাতদন্তের ফল যে অন্য রকম, ‘আমার মনে হয় না পর্তুগাল খুব একটা খারাপ খেলেছে, বরং খুব ভালো খেলেছে। মনে রাখতে হবে ওরা স্পেনের মতো দলের কাছে হেরেছে, সেটাও মাত্র ০-১ গোলে। ওই গোলটিও আবার ছিল বিতর্কিত।’ পর্তুগালের বিপক্ষে ডেভিড ভিয়ার করা গোলটিকে অনেক পর্তুগিজ ফুটবলারই অফসাইড বলে দাবি করেছিলেন। ‘বিতর্কিত’ বলে ইউসেবিও ইঙ্গিত দিলেন সেদিকেই।
পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার হয়ে ৩০১ ম্যাচে ৩১৭ গোলের অবিশ্বাস্য কীর্তি আছে তাঁর। পর্তুগালের জার্সি গায়েও ইউসেবিও ছিলেন একই রকম বিধ্বংসী। ৬৪ ম্যাচে করেছেন ৪১ গোল, ১৯৬৬ বিশ্বকাপে ৯ গোল করে জিতেছিলেন গোল্ডেন বুট। কিন্তু যাকে মনে করা হয় তাঁর উত্তরসূরি, সেই রোনালদো এবার চরম ব্যর্থ। দলের ব্যর্থতার দায়ভারও অনেকেই চাপাচ্ছেন সাবেক ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের ওপর। ইউসেবিও দাঁড়াচ্ছেন রোনালদোর পাশেই, ‘রোনালদো প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, পর্তুগালের জন্য এটা দুর্ভাগ্য। তবে ওকে একা দোষ দিতে আমি রাজি নই। আমি নিজেও ফুটবলটা খেলেছি, তাই জানি খেলোয়াড়দের জীবনে ভালো-খারাপ সময় আসেই।’ একই কারণে বিশ্বকাপে খারাপ করেছেন বলে ওয়েইন রুনিকেও বাতিলের খাতায় ফেলে দিচ্ছেন না ইউসেবিও।
তবে ‘কালো চিতার’ আপত্তি আছে আইভরিকোস্টের বিপক্ষে কাকার পাওয়া লাল কার্ড নিয়ে, ‘কাকাকে আমি খুব ভালোভাবে চিনি, সে দারুণ পেশাদার। প্রতিপক্ষ কাকাকে চটিয়ে যাচ্ছিল বলেই এমনটা হয়েছিল। আমার তো মনে হয়, এই টুর্নামেন্টে লাইন্সম্যানরা সব ঘুমিয়ে আছে।
এখনো পর্যন্ত খেলেছেন দুর্দান্ত, কিন্তু গোলের দেখা পাননি বলে মেসির শ্রেষ্ঠত্বে সংশয় অনেকের। কিন্তু ইউসেবিও নিশ্চিত, সেরা হবেন মেসিই, ‘আমার কোনো সন্দেহই নেই, আর্জেন্টিনার ওই বাচ্চা ছেলেটা...মেসি, ও-ই হবে টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার।’ কাল রাতের ম্যাচগুলোর আগ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি শট নিয়েছেন মেসি, সতীর্থদের বেশির ভাগ গোলেই অবদান আছে তাঁর, মেসির আক্ষেপ শুধু ওই নিজের গোল না পাওয়া নিয়েই। বেশ কবার গোলের খুব কাছাকাছি গিয়েছেনও, কিন্তু হয় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গোলবার কিংবা দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দিয়েছেন গোলকিপার।
পর্তুগালের সর্বকালের সেরা ফুটবলার ইউসেবিও পরশু জোহানেসবার্গে গিয়েছিলেন অ্যাডিডাসের এক অনুষ্ঠানে। দুদিন আগেই স্পেনের কাছে হেরে তাঁর দেশ বিদায় নিয়েছে, প্রকাশ্যে কোচের সমালোচনা করেছেন রোনালদো-ডেকোরা, কোচ থেকে শুরু করে মিডিয়া আবার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সমালোচনায় মুখর, সব মিলিয়ে পর্তুগালের ফুটবলে এখন চলছে অস্থিরতা। ক্ষিপ্রতার জন্য খেলোয়াড়ি জীবনে ‘কালো চিতা’ নামে পরিচিতি পাওয়া ইউসেবিও অবশ্য যোগ দিচ্ছেন না সমালোচকদের মিছিলে। তাঁর ময়নাতদন্তের ফল যে অন্য রকম, ‘আমার মনে হয় না পর্তুগাল খুব একটা খারাপ খেলেছে, বরং খুব ভালো খেলেছে। মনে রাখতে হবে ওরা স্পেনের মতো দলের কাছে হেরেছে, সেটাও মাত্র ০-১ গোলে। ওই গোলটিও আবার ছিল বিতর্কিত।’ পর্তুগালের বিপক্ষে ডেভিড ভিয়ার করা গোলটিকে অনেক পর্তুগিজ ফুটবলারই অফসাইড বলে দাবি করেছিলেন। ‘বিতর্কিত’ বলে ইউসেবিও ইঙ্গিত দিলেন সেদিকেই।
পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার হয়ে ৩০১ ম্যাচে ৩১৭ গোলের অবিশ্বাস্য কীর্তি আছে তাঁর। পর্তুগালের জার্সি গায়েও ইউসেবিও ছিলেন একই রকম বিধ্বংসী। ৬৪ ম্যাচে করেছেন ৪১ গোল, ১৯৬৬ বিশ্বকাপে ৯ গোল করে জিতেছিলেন গোল্ডেন বুট। কিন্তু যাকে মনে করা হয় তাঁর উত্তরসূরি, সেই রোনালদো এবার চরম ব্যর্থ। দলের ব্যর্থতার দায়ভারও অনেকেই চাপাচ্ছেন সাবেক ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের ওপর। ইউসেবিও দাঁড়াচ্ছেন রোনালদোর পাশেই, ‘রোনালদো প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, পর্তুগালের জন্য এটা দুর্ভাগ্য। তবে ওকে একা দোষ দিতে আমি রাজি নই। আমি নিজেও ফুটবলটা খেলেছি, তাই জানি খেলোয়াড়দের জীবনে ভালো-খারাপ সময় আসেই।’ একই কারণে বিশ্বকাপে খারাপ করেছেন বলে ওয়েইন রুনিকেও বাতিলের খাতায় ফেলে দিচ্ছেন না ইউসেবিও।
তবে ‘কালো চিতার’ আপত্তি আছে আইভরিকোস্টের বিপক্ষে কাকার পাওয়া লাল কার্ড নিয়ে, ‘কাকাকে আমি খুব ভালোভাবে চিনি, সে দারুণ পেশাদার। প্রতিপক্ষ কাকাকে চটিয়ে যাচ্ছিল বলেই এমনটা হয়েছিল। আমার তো মনে হয়, এই টুর্নামেন্টে লাইন্সম্যানরা সব ঘুমিয়ে আছে।
No comments