পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে জঙ্গিরা
আফগান সীমান্তবর্তী উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা থেকে জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা এখন পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। তালেবান-সমর্থক প্রদেশভিত্তিক দলগুলোর মূল লক্ষ্যস্থল এখন সিন্ধু ও পাঞ্জাব। সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর ইশরাতুল এবাদ গতকাল শুক্রবার পাকিস্তান সফররত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র ও সরকারকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায়, তারা এখন লাহোর ও করাচিতে আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক তৎপরতা চালাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে লাহোরে এক প্রখ্যাত সুফি সাধকের মাজার ঐতিহাসিক দাতা গান্জ বখেশ (দাতা দরবার হিসেবে বহুল পরিচিত) বোমা হামলার ঘটনায় ৫০ জন নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হয়। পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরে এক মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় হামলা।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ দায়িত্ব স্বীকার না করলেও পাঞ্জাবের একটি তালেবান-সমর্থক জঙ্গিগোষ্ঠী দাতা দরবারে হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
গভর্নর ইশরাতুল এবাদ বাংলাদেশি সাংবাদিকদের বললেন, জঙ্গি তৎপরতাই এখন পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অল্পসংখ্যক মানুষ পুরো পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনায় লিপ্ত। করাচি পাকিস্তানের অর্থনীতিতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ অবদান রাখছে। অন্যদিকে লাহোর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। এই দুটি এলাকাকে অস্থিতিশীল করে জঙ্গি দলগুলো তাদের অস্তিত্ব জানান দিতে চাইছে। এবাদ আরও মন্তব্য করেন, প্রতিবেশী আফগানিস্তানে অস্থিতিশীলতা বজায় থাকলে পাকিস্তানকেও স্থিতিশীল করা সম্ভব হবে না।
তবে গভর্নর দাবি করেন, আগে সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে তেমন গা না করলেও এখন রাজনৈতিক শক্তি, সেনাবাহিনী ও সাধারণ মানুষ একযোগে কাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে কিছুটা সময় লাগছে, কিন্তু এ ধরনের নাশকতা বন্ধে জোর তৎপরতা চলছে এবং সফলতা আসবেই।
দক্ষিণের প্রদেশ সিন্ধুর সরকার নিশ্চিত করেছে, গতকাল শুক্রবার প্রাদেশিক রাজধানী করাচিতে নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে এমন তথ্য তাদের কাছে ছিল। সে কারণে জুমার নামাজের সময় মসজিদ ও ব্যস্ত এলাকাগুলোতে দিনভর কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল।
পাঞ্জাবে এখন বেশ কটি উগ্রপন্থী দল সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হয় লস্কর-ই-জাংভিকে। তারা এই এলাকার সবচেয়ে প্রভাবশালী জঙ্গিগোষ্ঠী। লস্কর পাঞ্জাবের স্থানীয় দলগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করছে। ইসলামাবাদের ম্যারিয়ট হোটেল, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া জইশে-মুহাম্মদ, লস্কর-ই-তাইয়েবা, তেহরিখ-ই-তালিবানসহ প্রধান জঙ্গি দলগুলোর প্রতিটিরই সমর্থকেরা এখন পাঞ্জাবে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে নিরাপত্তা সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় সেনাবাহিনীর দমন অভিযান জোরদার হতে থাকায় এখন এই সংগঠনগুলো পাকিস্তান জুড়ে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করেছে, বিচ্ছিন্নভাবে এসব কর্মকাণ্ড চালানোর পাশাপাশি তাদের সংঘবদ্ধ হামলার পরিকল্পনা থাকতে পারে।
কয়েক দিন আগেই পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসীর বলেন, সেনাবাহিনী তৎপরতা চালাচ্ছে। সার্ক দেশগুলোর মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমেও জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে মোকাবিলার চেষ্টা চলছে।
পাকিস্তানের ডিফেন্স জার্নাল-এর প্রধান সম্পাদক একরাম সেহগাল প্রথম আলোকে বলেন, পাকিস্তানের দরবার শরিফগুলোতে তারাই আক্রমণ চালাচ্ছে, যারা মাজারে বিশ্বাস করে না। সাধারণত কট্টরপন্থী জঙ্গিরাই সুফি-সাধকদের মাজারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। সেহগাল বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যথেষ্ট প্রস্তুতি নেই। আর পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে যে দক্ষতা দেখাচ্ছে, জঙ্গিবাদকে সমাজ থেকে নির্মূলে ততটা দক্ষতা দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত হবে সেনাবাহিনী, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে এখন একটি পৃথক সংস্থা গঠন করা, যারা আক্রমণের ঝুঁকি আছে এমন সব জায়গায় সক্রিয় থাকবে।
গভর্নর বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র ও সরকারকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায়, তারা এখন লাহোর ও করাচিতে আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক তৎপরতা চালাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে লাহোরে এক প্রখ্যাত সুফি সাধকের মাজার ঐতিহাসিক দাতা গান্জ বখেশ (দাতা দরবার হিসেবে বহুল পরিচিত) বোমা হামলার ঘটনায় ৫০ জন নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হয়। পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরে এক মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় হামলা।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ দায়িত্ব স্বীকার না করলেও পাঞ্জাবের একটি তালেবান-সমর্থক জঙ্গিগোষ্ঠী দাতা দরবারে হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
গভর্নর ইশরাতুল এবাদ বাংলাদেশি সাংবাদিকদের বললেন, জঙ্গি তৎপরতাই এখন পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অল্পসংখ্যক মানুষ পুরো পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনায় লিপ্ত। করাচি পাকিস্তানের অর্থনীতিতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ অবদান রাখছে। অন্যদিকে লাহোর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। এই দুটি এলাকাকে অস্থিতিশীল করে জঙ্গি দলগুলো তাদের অস্তিত্ব জানান দিতে চাইছে। এবাদ আরও মন্তব্য করেন, প্রতিবেশী আফগানিস্তানে অস্থিতিশীলতা বজায় থাকলে পাকিস্তানকেও স্থিতিশীল করা সম্ভব হবে না।
তবে গভর্নর দাবি করেন, আগে সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে তেমন গা না করলেও এখন রাজনৈতিক শক্তি, সেনাবাহিনী ও সাধারণ মানুষ একযোগে কাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে কিছুটা সময় লাগছে, কিন্তু এ ধরনের নাশকতা বন্ধে জোর তৎপরতা চলছে এবং সফলতা আসবেই।
দক্ষিণের প্রদেশ সিন্ধুর সরকার নিশ্চিত করেছে, গতকাল শুক্রবার প্রাদেশিক রাজধানী করাচিতে নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে এমন তথ্য তাদের কাছে ছিল। সে কারণে জুমার নামাজের সময় মসজিদ ও ব্যস্ত এলাকাগুলোতে দিনভর কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল।
পাঞ্জাবে এখন বেশ কটি উগ্রপন্থী দল সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হয় লস্কর-ই-জাংভিকে। তারা এই এলাকার সবচেয়ে প্রভাবশালী জঙ্গিগোষ্ঠী। লস্কর পাঞ্জাবের স্থানীয় দলগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করছে। ইসলামাবাদের ম্যারিয়ট হোটেল, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া জইশে-মুহাম্মদ, লস্কর-ই-তাইয়েবা, তেহরিখ-ই-তালিবানসহ প্রধান জঙ্গি দলগুলোর প্রতিটিরই সমর্থকেরা এখন পাঞ্জাবে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে নিরাপত্তা সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় সেনাবাহিনীর দমন অভিযান জোরদার হতে থাকায় এখন এই সংগঠনগুলো পাকিস্তান জুড়ে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করেছে, বিচ্ছিন্নভাবে এসব কর্মকাণ্ড চালানোর পাশাপাশি তাদের সংঘবদ্ধ হামলার পরিকল্পনা থাকতে পারে।
কয়েক দিন আগেই পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসীর বলেন, সেনাবাহিনী তৎপরতা চালাচ্ছে। সার্ক দেশগুলোর মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমেও জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে মোকাবিলার চেষ্টা চলছে।
পাকিস্তানের ডিফেন্স জার্নাল-এর প্রধান সম্পাদক একরাম সেহগাল প্রথম আলোকে বলেন, পাকিস্তানের দরবার শরিফগুলোতে তারাই আক্রমণ চালাচ্ছে, যারা মাজারে বিশ্বাস করে না। সাধারণত কট্টরপন্থী জঙ্গিরাই সুফি-সাধকদের মাজারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। সেহগাল বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যথেষ্ট প্রস্তুতি নেই। আর পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে যে দক্ষতা দেখাচ্ছে, জঙ্গিবাদকে সমাজ থেকে নির্মূলে ততটা দক্ষতা দেখা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত হবে সেনাবাহিনী, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে এখন একটি পৃথক সংস্থা গঠন করা, যারা আক্রমণের ঝুঁকি আছে এমন সব জায়গায় সক্রিয় থাকবে।
No comments