‘যুক্তরাষ্ট্র পুতিনকে সাহায্য করছে’
জেলেনস্কি আরো পরিষ্কার করে বলেন, তার দেশ বিক্রির জন্য নয়। ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র ৫০০০০ কোটি ডলার দিয়েছে বলে ট্রাম্প যে দাবি করেছেন, তা নিয়েও আপত্তি তুলেছেন তিনি। বলেছেন, একটি খনি অনুসন্ধানের চুক্তির মাধ্যমে এই অর্থ ফেরত দেবে কিয়েভ। এটা গুরুতর কোনো কথা নয়। তিনি বলেন, দেখুন আমরা সবাই বিজয় চাই। ট্রাম্প বিজয়ী হোন, তাও চাই। ইউক্রেন বিজয়ী হোক তা চাই। আমরা সবাই সফল হতে চাই। কিন্তু কোনো কিছুই এখন পরিষ্কার নয়। আমি শুধু ইউক্রেনকে রক্ষা করছি। এ দেশকে বিক্রি করতে পারবো না। সৌদি আরবের যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয় মঙ্গলবার। কিন্তু তা থেকে পুরো অন্ধকারে রাখা হয় কিয়েভকে। ওই বৈঠকের পরদিন বুধবার ট্রাম্পের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, অনেক বছর ধরে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন পুতিন। তাকে সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের ওপর ইতিবাচক কোনো প্রভাব নেই এতে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য কিয়েভকে দৃশ্যত দায়ী করেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি দ্রুত যুদ্ধবিরতির চুক্তি না করার জন্য জেলেনস্কির সমালোচনা করেন।
অন্যদিকে কিয়েভকে ন্যাটোর সামরিক জোটে নেয়ার চেষ্টায় যুদ্ধ এমন দাবি করে প্রকাশ্যে এবং জোরালোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতা ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেছেন, তিনিই প্রথম এবং একমাত্র পশ্চিমা নেতা, যিনি এই কাজগুলো করছেন। মঙ্গলবার রাতে মার এ লাগোতে ব্রিফিং করেন ট্রাম্প। এতে তিনি জেলেনস্কির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ট্রাম্পের এ অবস্থানকেও স্বাগত জানিয়েছে মস্কো।
জেলেনস্কিকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনে অনেকদিন আগে নির্বাচন হয়েছে। তারপর আর আলোচনার টেবিলেও বসেননি তিনি। ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের শতকরা মাত্র ৪ ভাগ মানুষ সমর্থন করেন জেলেনস্কিকে। এ দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, সর্বশেষ যে জনমত জরিপ হয়েছে তাতে শতকরা ৫৮ ভাগ মানুষ তার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে। আরো বলেন, যুদ্ধ চলাকালে তাকে উৎখাতের যেকোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।
No comments