জেলবন্দি কাশ্মীরি নেতা: ভারতের বিরুদ্ধে আইসিজেতে যাওয়ার আহ্বান মুশালের
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে পাকিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসের অভিযোগে বেলুচিস্তানে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ কুলভূষণ যাদবকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তিনি ছিলেন ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন কমান্ডার। পাকিস্তান তখন দাবি করে যে, তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্স অ্যান্ড এনালাইসিস উইং (র)-এর হয়ে কাজ করছিলেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। এ অভিযোগে সামরিক আদালতে তার বিচার হয়। তাতে সন্ত্রাসে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন কুলভূষণ। তাকে ২০১৭ সালে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এর ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক অচলাবস্থায় চলে যায়। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ভারত। তারা বিষয়টি নিয়ে যায় আইসিজেতে। অভিযোগ করে, কন্স্যুলার সুবিধা প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে প্রদত্ত কুলভূষণের অধিকার লঙ্ঘন করেছে। এর জবাবে অন্তর্বর্তী আদেশের মাধ্যমে তার মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের আদেশ দেয় আইসিজে। একই সঙ্গে কুলভূষণকে কন্স্যুলার সুবিধা দেয়ার জন্য পাকিস্তানকে নির্দেশ দেয়। তারপর থেকে পাকিস্তানের হেফাজতেই আছেন কুলভূষণ। তবে তার মামলা নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা অব্যাহত আছে।
এই উদাহরণকে সামনে এনে মুশাল মল্লিক পাকিস্তানকে আইসিজেতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, ভারত কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে তার স্বামী কাশ্মীরি নেতাকে আটকে রেখেছে। মুশাল লাহোর হাইকোর্ট বার এসোসিয়েশনে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বলেছেন, তার মাকে সম্প্রতি বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে ভারত ছদ্মবেশী অপারেশন চালাচ্ছে বলে তার অভিযোগ। তিনি প্রশ্ন রাখেন, যদি কুলভূষণ যাদবের ঘটনা আইসিজেতে তুলতে পারে ভারত, তাহলে পাকিস্তান কেন ইয়াসিন মালিকের বিষয় তুলতে পারবে না? এ সময় তিনি ভারতের সঙ্গে সংলাপের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বলেছেন, সংলাপের কোনো মূল্য নেই এবং তা কোনো সমাধানও দেবে না। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত দেন। ভারতীয় বিচার বিভাগেরও সমালোচনা করেছেন মুশাল। তিনি বলেছেন, ভারতের আদালত থেকে কখনোই ন্যায়বিচার পানটি কাশ্মীরীরা। কাশ্মীরী নেতাদের নির্মূলে ধারাবাহিক পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত। এ জন্য তারা আন্দোলনকে দুর্বল করতে সব গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে জেলে বন্দি করছে।
No comments