থাইরয়েড সমস্যায় ভোগছেন কি-না বুঝবেন কিভাবে?
থাইরয়েড শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি। থাইরয়েডের প্রধান কাজ হলো মেটাবলিজম এবং মস্তিষ্ক পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরি করা। সমস্যার শুরুটা হয় যখন থাইরয়েড গ্রন্থির গোড়ায় ছোট একটি মাংসপিণ্ড বেড়ে ওঠে, যা হরমোনের স্বাভাবিক উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়।
থাইরয়েডে সমস্যার লক্ষণগুলো কিছুটা অস্পষ্ট থাকে। শুরুতে এর লক্ষণগুলো অবহেলা করার কারণে পরবর্তিতে এটি বড় আকার ধারণ করে থাকে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, রক্তচাপ অনিয়মিত হওয়া ইত্যাদি সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এছাড়া থাইরয়েডের আরও কিছু উপসর্গ আছে যা মানুষ জানেন না কিংবা গুরুত্ব দেন না।
১. হতাশা: থাইরয়েডে সংক্রমণ দেখা দিলে হরমোনের উৎপাদন বেড়েও যেতে পারে। এই হরমোনের তারেতম্যের কারণে মন-মেজাজ এই ভালো তো এই খারাপ পর্যায়ে পৌঁছায়। আর হতাশাগ্রস্ততার প্রথম উপসর্গই এটি। আক্রান্ত ব্যক্তির পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এই হরমোনের তারতম্য অস্বস্তি এবং মানসিক অশান্তিও তৈরি করতে পারে।
২. ঘাম: গরমে ঘাম যেমন স্বাভাবিক এবং উপকারী তেমনি ঠাণ্ডা পরিবেশে ঘাম হওয়া আশঙ্কাজনক। কর্মশক্তি নিয়ন্ত্রক হরমোন যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হয় না তখন অস্বাভাবিক মাত্রায় এবং অস্বাভাবিক পরিবেশ ঘাম হতে পারে।
৩. শুষ্ক ত্বক: মানুষ ভেদে ত্বক এবং ত্বকের সমস্যার ধরন ভিন্ন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুষ্ক ত্বকের জন্য মানুষ ঋতু পরিবর্তনকেই দায়ী করে। তবে এখানেও থাইরয়েডের হাত আছে। কারও ক্ষেত্রে থাইরয়েডের সমস্যা হয়ত অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে। আবার কারও ক্ষেত্রে ঘাম নিয়ন্ত্রণে সমস্যার কারণে ঘাম হওয়ার মাত্রা কমে যেতে পারে। ঘাম কম হওয়ার কারণে আর্দ্রতার অভাবেও শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দেখ দিতে পারে।
৪. অবসাদ: প্রতিদিনই যদি নিজেকে অবসাদগ্রস্ত মনে হয় তবে এর সঙ্গে থাইরয়েডের সম্পর্ক থাকতে পারে। স্বাভাবিকের চাইতে কম সক্রিয় থাইরয়েড বা ‘হাইপোথাইরয়ডিজম’ পর্যাপ্ত হরমোন উৎপাদনের পথে বাধা দেয়। ফলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অবসাদগ্রস্ত মনে হয়। এমনকি পর্যাপ্ত বিশ্রামের পরেও এবং সারাদিন কোনো কাজ না করলেও নিজেকে ক্লান্ত মনে হয়।
৫. অনিয়মিত ঋতুস্রাব: ঋতুস্রাবের সঙ্গে থাইরয়েডের কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই। তবে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ঋতুস্রাবের স্বাভাবিক চক্র নষ্ট হতে পারে। একজন নারী থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত হলে খাওয়ার রুচি কমে যায়। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়; যা লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা কমায় এবং পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হয় ঋতুস্রাব। তাই যেকোনো ধরনের অনিয়মকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্য: মলত্যাগের অস্বস্তি বা কোষ্ঠকাঠিন্য মাঝেমধ্যে হওয়া স্বাভাবিক। তবে তা নিয়মিত হয়ে গেলে বুঝতে হবে থাইরয়েডেরও সেখানে প্রভাব আছে।
থাইরয়েড গ্রন্থির প্রধান কাজ ‘মেটাবলিজম’ নিয়ন্ত্রণ করা, তাই সেখানে সমস্যা দেখা দিলে বিপাক পক্রিয়াতেও প্রভাব ফেলবে। হরমোন উৎপাদন কমে গেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। তাই দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে থাকলে থাইরয়েড পরীক্ষা করানো উচিত।
৭. স্বাদ-গ্রন্থির সমস্যা: খাবারের স্বাদ বোঝার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করতে পারে থাইরয়েড। যে খাবারগুলো একসময় আপনার অত্যন্ত পছন্দ ছিলো সেগুলোতে এখন আপনার অনাগ্রহ তৈরি হওয়ার পেছনে দায়ী হতে পারে থাইরয়েডের সমস্যা। এর ফলে কিছু হরমোন অতিমাত্রায় তৈরি হতে পারে যা খাওয়ার রুচি নষ্ট করে দেয়।
থাইরয়েডে সমস্যার লক্ষণগুলো কিছুটা অস্পষ্ট থাকে। শুরুতে এর লক্ষণগুলো অবহেলা করার কারণে পরবর্তিতে এটি বড় আকার ধারণ করে থাকে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, রক্তচাপ অনিয়মিত হওয়া ইত্যাদি সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এছাড়া থাইরয়েডের আরও কিছু উপসর্গ আছে যা মানুষ জানেন না কিংবা গুরুত্ব দেন না।
১. হতাশা: থাইরয়েডে সংক্রমণ দেখা দিলে হরমোনের উৎপাদন বেড়েও যেতে পারে। এই হরমোনের তারেতম্যের কারণে মন-মেজাজ এই ভালো তো এই খারাপ পর্যায়ে পৌঁছায়। আর হতাশাগ্রস্ততার প্রথম উপসর্গই এটি। আক্রান্ত ব্যক্তির পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এই হরমোনের তারতম্য অস্বস্তি এবং মানসিক অশান্তিও তৈরি করতে পারে।
২. ঘাম: গরমে ঘাম যেমন স্বাভাবিক এবং উপকারী তেমনি ঠাণ্ডা পরিবেশে ঘাম হওয়া আশঙ্কাজনক। কর্মশক্তি নিয়ন্ত্রক হরমোন যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হয় না তখন অস্বাভাবিক মাত্রায় এবং অস্বাভাবিক পরিবেশ ঘাম হতে পারে।
৩. শুষ্ক ত্বক: মানুষ ভেদে ত্বক এবং ত্বকের সমস্যার ধরন ভিন্ন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুষ্ক ত্বকের জন্য মানুষ ঋতু পরিবর্তনকেই দায়ী করে। তবে এখানেও থাইরয়েডের হাত আছে। কারও ক্ষেত্রে থাইরয়েডের সমস্যা হয়ত অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে। আবার কারও ক্ষেত্রে ঘাম নিয়ন্ত্রণে সমস্যার কারণে ঘাম হওয়ার মাত্রা কমে যেতে পারে। ঘাম কম হওয়ার কারণে আর্দ্রতার অভাবেও শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দেখ দিতে পারে।
৪. অবসাদ: প্রতিদিনই যদি নিজেকে অবসাদগ্রস্ত মনে হয় তবে এর সঙ্গে থাইরয়েডের সম্পর্ক থাকতে পারে। স্বাভাবিকের চাইতে কম সক্রিয় থাইরয়েড বা ‘হাইপোথাইরয়ডিজম’ পর্যাপ্ত হরমোন উৎপাদনের পথে বাধা দেয়। ফলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অবসাদগ্রস্ত মনে হয়। এমনকি পর্যাপ্ত বিশ্রামের পরেও এবং সারাদিন কোনো কাজ না করলেও নিজেকে ক্লান্ত মনে হয়।
৫. অনিয়মিত ঋতুস্রাব: ঋতুস্রাবের সঙ্গে থাইরয়েডের কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই। তবে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ঋতুস্রাবের স্বাভাবিক চক্র নষ্ট হতে পারে। একজন নারী থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত হলে খাওয়ার রুচি কমে যায়। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়; যা লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা কমায় এবং পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হয় ঋতুস্রাব। তাই যেকোনো ধরনের অনিয়মকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্য: মলত্যাগের অস্বস্তি বা কোষ্ঠকাঠিন্য মাঝেমধ্যে হওয়া স্বাভাবিক। তবে তা নিয়মিত হয়ে গেলে বুঝতে হবে থাইরয়েডেরও সেখানে প্রভাব আছে।
থাইরয়েড গ্রন্থির প্রধান কাজ ‘মেটাবলিজম’ নিয়ন্ত্রণ করা, তাই সেখানে সমস্যা দেখা দিলে বিপাক পক্রিয়াতেও প্রভাব ফেলবে। হরমোন উৎপাদন কমে গেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। তাই দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে থাকলে থাইরয়েড পরীক্ষা করানো উচিত।
৭. স্বাদ-গ্রন্থির সমস্যা: খাবারের স্বাদ বোঝার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করতে পারে থাইরয়েড। যে খাবারগুলো একসময় আপনার অত্যন্ত পছন্দ ছিলো সেগুলোতে এখন আপনার অনাগ্রহ তৈরি হওয়ার পেছনে দায়ী হতে পারে থাইরয়েডের সমস্যা। এর ফলে কিছু হরমোন অতিমাত্রায় তৈরি হতে পারে যা খাওয়ার রুচি নষ্ট করে দেয়।
No comments