মিনিটে মিনিটে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী
মিনিটে
মিনিটে ডেঙ্গু রোগী আসছে হাসপাতালগুলোতে। সরকারি হিসাব মতে, প্রতি আড়াই
মিনিট অন্তর একজন ভর্তি করা হচ্ছে হাসপাতালে। তবে ডেঙ্গুর সংক্রমন নিয়ে
অনেক রোগীই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। কেউ কেউ হাসপাতালে সিট না পেয়ে
বাসায় চলে যাচ্ছেন।
সরকারি হিসাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৫৬০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি জুলাই মাসেই আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪২১ জন। আর এবছর আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৬৫ জন। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মারা যাওয়ার হিসাব আটজন দিলেও বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা অন্তত ২৮ ছাড়িয়ে যাবে। বেসরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
ঢাকার বাইর থেকে ১৭৯ জন আক্রান্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে, ডেঙ্গু ক্রমেই ভয়ঙ্কর রূপ নেয়ায় জ্বর হলে ডেঙ্গু আতঙ্ক নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন রোগীরা। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ঠাঁই মিলছে না অনেক রোগীর।
পরিস্থিতি মহামারী আকার ধারণ করেছে বলে মনে করছেন হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এল ই ফাতমী। ডা. এল ই ফাতমী আরও বলেন, এবার শুধু সংখ্যায়ই বেশি না। এবার প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমারজিক ফিভারে আক্রান্ত। আগে ছিল ক্লাসিকাল ডেঙ্গু রোগী। এদের পঞ্চাশ ভাগেরই শক সিন্ড্রোম। শক সিন্ড্রোম অর্থ হচ্ছে পালর্স (নাড়ির গতি) পাওয়া যায় না। এবার ডেঙ্গুর প্যাটার্নটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এদের সবার প্ল্যাটিলেট কমে যাচ্ছে, সবাই শকে চলে যাচ্ছে। আগে সামান্য ডেঙ্গু হয়েই ভালো হয়ে যেত। এবার সবারই রক্ত লাগছে। পেটে ও ফুসফুসে পানি চলে আসে। এই পরিস্থিতিতে জ্বর হলে গাফিলতি না করার পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি জানান, তাদের হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে যে রোগী আসছে তার ৮০ শতাংশই শিশু। এদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা পরিস্থিতিকে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যান মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। জুলাই মাসে গড়ে প্রতিদিন ২৬৭জনের উপরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এবছর রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নারী-পুরুষ ও শিশু রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৫৬৫ জন। ঢাকার বাইরে গাজীপুর থেকে ৪২জন,চট্টগ্রাম থেকে ৭১ জন, কুষ্টিয়া থেকে ১৬ জন, খুলনায় ২৪জন, যশোরে ৫ জন, বরিশালে ২১ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২৪শে জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আটজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে এপ্রিলে দু’জন, জুনে দু’জন ও জুলাই মাসে চারজন মারা যান। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলছে মৃত্যুর সংখ্যা অন্তত ২৮ হবে। দু’জন চিকিৎসকও মারা গেছেন। বেসরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা তিন থেকে চার লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
জ্বর না কমা বা অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকা, বমি হওয়া, পেটে তীব্র ব্যথা, রক্তক্ষরণ, মাথা ধরা, চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা প্রস্রাব না হওয়া বা কম হওয়া, খুব বেশি দুর্বল হয়ে পড়া, নিদ্রাহীনতা ও আচরণের আকস্মিক পরিবর্তন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ। অন্তঃসত্ত্বা, বৃদ্ধ, শিশু, সদ্যোজাত এবং ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, লিভার ও কিডনির রোগীরা ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসায় বিশেষ নজর দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২ হাজার ৫৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ হাজার ৪৯৯ জন। চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০৬ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২১১ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৬৫ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১৩০ জন, বারডেম হাসপাতালে ২৯ জন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ৭৪ জন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ১২৩ জন, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১৪২ জন, বিজিবি হাসপাতালে ১৬ জন, কুর্মিটোলায় ২৭ জন, রাজধানীর ধানমন্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালে ৬৩ জন, ইবনে সিনা হাসপাতালে ৪৬ জন, বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে ৮৫ জন, স্কয়ার হাসপাতালে ৪৩ জন, গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ৯ জন, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কাকরাইলে ৬৮ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ৬৬ জন, খিদমা হাসপাতালে ২৫ জন, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলে ৯২ জন, এ্যাপোলো হাসপাতালে ৪৭ জন, আদ্ব-দীন হাসপাতালে ৪৪ জন, সালাউদ্দি হাসপাতালে ৪২ জন, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ জন, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৬৬ জন, বিআরবি হাসপাতালে ১৯ জন, আজগর আলী হাসপাতালে ৩৩ জন, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ১৩ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন।
কন্ট্রোল রুম সূত্র জানা গেছে, জানুয়ারিতে ৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ফের্রুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ১৮ জন, মার্চে ১৭ জন, এপ্রিলে ৫৮ জন, মে মাসে ১৮৪ জন, জুন মাসে এক হাজার ৮২৯ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
সরকারি হিসাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৫৬০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি জুলাই মাসেই আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪২১ জন। আর এবছর আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৬৫ জন। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মারা যাওয়ার হিসাব আটজন দিলেও বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা অন্তত ২৮ ছাড়িয়ে যাবে। বেসরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
ঢাকার বাইর থেকে ১৭৯ জন আক্রান্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে, ডেঙ্গু ক্রমেই ভয়ঙ্কর রূপ নেয়ায় জ্বর হলে ডেঙ্গু আতঙ্ক নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন রোগীরা। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ঠাঁই মিলছে না অনেক রোগীর।
পরিস্থিতি মহামারী আকার ধারণ করেছে বলে মনে করছেন হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এল ই ফাতমী। ডা. এল ই ফাতমী আরও বলেন, এবার শুধু সংখ্যায়ই বেশি না। এবার প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমারজিক ফিভারে আক্রান্ত। আগে ছিল ক্লাসিকাল ডেঙ্গু রোগী। এদের পঞ্চাশ ভাগেরই শক সিন্ড্রোম। শক সিন্ড্রোম অর্থ হচ্ছে পালর্স (নাড়ির গতি) পাওয়া যায় না। এবার ডেঙ্গুর প্যাটার্নটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এদের সবার প্ল্যাটিলেট কমে যাচ্ছে, সবাই শকে চলে যাচ্ছে। আগে সামান্য ডেঙ্গু হয়েই ভালো হয়ে যেত। এবার সবারই রক্ত লাগছে। পেটে ও ফুসফুসে পানি চলে আসে। এই পরিস্থিতিতে জ্বর হলে গাফিলতি না করার পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি জানান, তাদের হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে যে রোগী আসছে তার ৮০ শতাংশই শিশু। এদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা পরিস্থিতিকে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যান মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। জুলাই মাসে গড়ে প্রতিদিন ২৬৭জনের উপরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এবছর রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নারী-পুরুষ ও শিশু রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৫৬৫ জন। ঢাকার বাইরে গাজীপুর থেকে ৪২জন,চট্টগ্রাম থেকে ৭১ জন, কুষ্টিয়া থেকে ১৬ জন, খুলনায় ২৪জন, যশোরে ৫ জন, বরিশালে ২১ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২৪শে জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আটজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে এপ্রিলে দু’জন, জুনে দু’জন ও জুলাই মাসে চারজন মারা যান। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলছে মৃত্যুর সংখ্যা অন্তত ২৮ হবে। দু’জন চিকিৎসকও মারা গেছেন। বেসরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা তিন থেকে চার লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
জ্বর না কমা বা অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকা, বমি হওয়া, পেটে তীব্র ব্যথা, রক্তক্ষরণ, মাথা ধরা, চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা প্রস্রাব না হওয়া বা কম হওয়া, খুব বেশি দুর্বল হয়ে পড়া, নিদ্রাহীনতা ও আচরণের আকস্মিক পরিবর্তন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ। অন্তঃসত্ত্বা, বৃদ্ধ, শিশু, সদ্যোজাত এবং ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, লিভার ও কিডনির রোগীরা ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসায় বিশেষ নজর দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২ হাজার ৫৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ হাজার ৪৯৯ জন। চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০৬ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২১১ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৬৫ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১৩০ জন, বারডেম হাসপাতালে ২৯ জন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ৭৪ জন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ১২৩ জন, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১৪২ জন, বিজিবি হাসপাতালে ১৬ জন, কুর্মিটোলায় ২৭ জন, রাজধানীর ধানমন্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালে ৬৩ জন, ইবনে সিনা হাসপাতালে ৪৬ জন, বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে ৮৫ জন, স্কয়ার হাসপাতালে ৪৩ জন, গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ৯ জন, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কাকরাইলে ৬৮ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ৬৬ জন, খিদমা হাসপাতালে ২৫ জন, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলে ৯২ জন, এ্যাপোলো হাসপাতালে ৪৭ জন, আদ্ব-দীন হাসপাতালে ৪৪ জন, সালাউদ্দি হাসপাতালে ৪২ জন, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ জন, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৬৬ জন, বিআরবি হাসপাতালে ১৯ জন, আজগর আলী হাসপাতালে ৩৩ জন, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ১৩ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন।
কন্ট্রোল রুম সূত্র জানা গেছে, জানুয়ারিতে ৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ফের্রুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ১৮ জন, মার্চে ১৭ জন, এপ্রিলে ৫৮ জন, মে মাসে ১৮৪ জন, জুন মাসে এক হাজার ৮২৯ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
No comments