তিন চিকিৎসক ডেঙ্গু আক্রান্ত by মোহাম্মদ ওমর ফারুক
ক্রমেই
ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে। রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে
চিকিৎসক, কর্মচারীদের। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই
হাসপাতালেরই তিনজন চিকিৎসক এবং দুই জন নার্স। গতকাল বেলা ২টা পর্যন্ত ১শ’২২
জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছিলেন ওই হাসপাতালে। এর মধ্যে বহির্বিভাগে চিকিৎসা
নিয়েছেন আরো ৬০/৭০ জনের মতো। চলতি মাসে গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়ার্ডে
চিকিৎসা নিয়েছেন ৪শ ২৯ জনের মতো। এর মধ্যে ৩শ ৩জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি
ফিরেছেন। আর গত দুই মাসে মারা গেছেন ৪ জন রোগী।
সরেজমিনে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী রয়েছে এখানে। ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে যেন তিল ধারনের ঠাঁই নেই। গতকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে সাত’শ রোগীর মতো ভর্তি রয়েছে। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন ,শুধু মাত্র ডেঙ্গু রোগীর কারণে এই পরিস্থিতি হয়েছে। আর এসব চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা যায় ,জনবল সংকটের কারণে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। হাসপাতালটিতে ২০১১ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও এখানে আছেন ৭৪৪ জন। সরেজমিনে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় , ওয়ার্ডটি ৬০ শয্যার হলেও এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে ৮০ জন। কেউ মেঝেতে, কেউ বারান্দায় শুয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। তবে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সব ডেঙ্গু রোগীকে মশারি দিলেও কাউকে ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। এই নিয়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে বার বার সর্তক করা হলেও কেউ শুনছেন না সর্তক বার্তা।
মেডিসিন ওয়ার্ডের ডেঙ্গু রোগী হাওলাদার বলেন, সবসময়ই মশারির নিচে থাকলে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। যার কারনে মশারির নিচে থাকতে ইচ্ছে হয় না। তবে এখানকার চিকিৎসা সেবা নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন।
পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এই হাসপাতালটিতে রাজধানীর উত্তরে মুগদা, মানিকনগর, সায়েদাবাদ, ধলপুর, গোবিন্দপুর, রায়েরবাগ এবং দক্ষিণে বাসাবো, মাদারটেক, খিলগাও, শাহজাহানপুর, নন্দীপাড়া, নাসিরাবাদ, দক্ষিণগাঁও, ত্রিমোহনি, রামপুরা, বনশ্রী এলাকার রোগী সবচেয়ে বেশি।
সায়েদাবাদ থেকে আসা ডেঙ্গু রোগী আল আমিন হোসেন বলেন, আমার ডেঙ্গু হয়েছে গত পাঁচ দিন আগে। টের পাইনি। গতকাল সোমবার টেস্ট করিয়ে দেখি আমার ডেঙ্গু। তবে এখানে আসার পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছি। ডাক্তারও খুব আন্তরিক। শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় সেখানে চিকিৎসাধীন অন্তত পঁচিশ জন ডেঙ্গু রোগীকে। পাঁচ বছর বয়সী ডেঙ্গু রোগী সামিহার মা বলেন, দুই দিন আগে বিকালে দেখি হঠাৎ করে সামিহার চোখ ফুলে যাচ্ছে। কান্নাকাটি করছে। শরীরেও জ্বর অনেক। সাথে সাথে বাসার পাশে ডাক্তার দেখাই। তখন ডাক্তারই বললো বাবুর ডেঙ্গু হয়েছে। তাই ওইদিনেই এখানে এসে ভর্তি হই। হাসপাতালটির পরিচালক ডা.আমিন আহমেদ খান বলেন, আমাদের এখানে জনবল সংকট থেকে শুরু করে নানা সংকট রয়েছে। তারপরও আমরা রোগীদের সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করছি। কারো ছুটি দিতে পারছি না। আমাদের একজন নার্সের সন্তানও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত অথচ আমি তাকে ছুটি দিতে পারছি না। সে তার বাচ্চা নিয়ে এসে রোগীদের সেবা দিচ্ছে। আমরা একটা ভয়াবহ সময় পার করছি। এখানে বেশির ভাগই রোগী খুব শিক্ষিত। কিন্তু তাদের সচেতনতার অভাব আছে। তাদেরকে বার বার মশারি টানানোর জন্য বললেও তারা কেউ সেটা করে না। ফলে হাসপাতালেও ভয়াবহ হারে ডেঙ্গু ছড়ানোর একটা সম্ভবনা থাকে।
সরেজমিনে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী রয়েছে এখানে। ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে যেন তিল ধারনের ঠাঁই নেই। গতকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে সাত’শ রোগীর মতো ভর্তি রয়েছে। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন ,শুধু মাত্র ডেঙ্গু রোগীর কারণে এই পরিস্থিতি হয়েছে। আর এসব চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা যায় ,জনবল সংকটের কারণে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। হাসপাতালটিতে ২০১১ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও এখানে আছেন ৭৪৪ জন। সরেজমিনে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় , ওয়ার্ডটি ৬০ শয্যার হলেও এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে ৮০ জন। কেউ মেঝেতে, কেউ বারান্দায় শুয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। তবে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সব ডেঙ্গু রোগীকে মশারি দিলেও কাউকে ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। এই নিয়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে বার বার সর্তক করা হলেও কেউ শুনছেন না সর্তক বার্তা।
মেডিসিন ওয়ার্ডের ডেঙ্গু রোগী হাওলাদার বলেন, সবসময়ই মশারির নিচে থাকলে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। যার কারনে মশারির নিচে থাকতে ইচ্ছে হয় না। তবে এখানকার চিকিৎসা সেবা নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন।
পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এই হাসপাতালটিতে রাজধানীর উত্তরে মুগদা, মানিকনগর, সায়েদাবাদ, ধলপুর, গোবিন্দপুর, রায়েরবাগ এবং দক্ষিণে বাসাবো, মাদারটেক, খিলগাও, শাহজাহানপুর, নন্দীপাড়া, নাসিরাবাদ, দক্ষিণগাঁও, ত্রিমোহনি, রামপুরা, বনশ্রী এলাকার রোগী সবচেয়ে বেশি।
সায়েদাবাদ থেকে আসা ডেঙ্গু রোগী আল আমিন হোসেন বলেন, আমার ডেঙ্গু হয়েছে গত পাঁচ দিন আগে। টের পাইনি। গতকাল সোমবার টেস্ট করিয়ে দেখি আমার ডেঙ্গু। তবে এখানে আসার পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছি। ডাক্তারও খুব আন্তরিক। শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় সেখানে চিকিৎসাধীন অন্তত পঁচিশ জন ডেঙ্গু রোগীকে। পাঁচ বছর বয়সী ডেঙ্গু রোগী সামিহার মা বলেন, দুই দিন আগে বিকালে দেখি হঠাৎ করে সামিহার চোখ ফুলে যাচ্ছে। কান্নাকাটি করছে। শরীরেও জ্বর অনেক। সাথে সাথে বাসার পাশে ডাক্তার দেখাই। তখন ডাক্তারই বললো বাবুর ডেঙ্গু হয়েছে। তাই ওইদিনেই এখানে এসে ভর্তি হই। হাসপাতালটির পরিচালক ডা.আমিন আহমেদ খান বলেন, আমাদের এখানে জনবল সংকট থেকে শুরু করে নানা সংকট রয়েছে। তারপরও আমরা রোগীদের সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করছি। কারো ছুটি দিতে পারছি না। আমাদের একজন নার্সের সন্তানও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত অথচ আমি তাকে ছুটি দিতে পারছি না। সে তার বাচ্চা নিয়ে এসে রোগীদের সেবা দিচ্ছে। আমরা একটা ভয়াবহ সময় পার করছি। এখানে বেশির ভাগই রোগী খুব শিক্ষিত। কিন্তু তাদের সচেতনতার অভাব আছে। তাদেরকে বার বার মশারি টানানোর জন্য বললেও তারা কেউ সেটা করে না। ফলে হাসপাতালেও ভয়াবহ হারে ডেঙ্গু ছড়ানোর একটা সম্ভবনা থাকে।
No comments