রাশিয়া ও ভারত কি যৌথভাবে ‘স্টিলথ’ সাবমেরিন নির্মাণ করবে? by মার্ক এপিস্কোপোস
ভারতীয়
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবমেরিন দরপত্র লাভ নিশ্চিত করার জন্য মস্কো রুশ
আমুর-শ্রেণির সাবমেরিন নক্সার ভিত্তিতে যৌথভাবে ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন
প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছে।
সুইডিশ, ফ্রেঞ্চ ও জার্মান প্রতিযোগীদের পরাজিত করার লক্ষ্যে ক্রেমলিন কেবল প্রযুক্তি হস্তান্তরের লাইসেন্স প্রদানের মধ্যেই সীমিত থাকছে না, তারা আরো সুবিধা দিতে চাচ্ছে। আর তা হলো ভারতীয়দের সাথে যৌথভাবে সাবমেরিন নির্মাণ করা। তা হবে আমুর-১৬৫০ ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন প্রকল্পের ভিত্তিতে প্রথম পাইলট মডেল নির্মাণের মাধ্যমে। এ তথ্য জানিয়েছেন রুশ ফেডারেশন সার্ভিস অব মিলিটারি টেকনিক্যাল কোঅপারেশনের উপপরিচালক ভ্লাদিমির দ্রোঝঝোভ। গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রস্তাবিত সাবমেরিনটি ভারতের ব্রাহ্মস সুপারসনিক ক্রুইস ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষ সংস্করণও বহন করতে পারবে। উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ভারত যৌথভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবন করেছে।
রাশিয়ার প্রস্তাবটি ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত জানুয়ারি ক্রয় পরিকল্পনার অনুরূপ। এটি আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের অংশবিশেষ। এতে একটি অরিজিন্যাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফেকচারারের (ওইএম) সাথে সহযোগিতা করে ভারতের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ছয়টি প্রচলিত সাবমেরিন তৈরির কথা বলা হয়েছে। দ্রোঝঝোভ বলেন, অন্যান্য বিদেশী অংশীদারের তুলনায় আমাদের প্রাথমিক প্রস্তাবটি অনেক বেশি অনুকূল। তিনি ভারতের সাবমেরিন নির্মাণ শিল্পকে সহায়তা করার কথা জানিয়ে বলেন, তাদের প্রস্তাবটি দুই দেশের স্বার্থই পূরণ করা সম্ভব হবে।
রাশিয়ার আসন্ন লাদা শ্রেণির (এটি হবে পুরনো সোভিয়েত কিলো অ্যাটাক সাবমেরিনের ডিজেল-ইলেকট্রিক উত্তরসূরী) রফতানি সংস্করণ হলো আমুর প্রকল্প। অবশ্য লাদা ও কিলো শ্রেণির সাবমেরিনের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য আছে। লাদায় এয়ার ইন্ডিপেডেন্ট প্রপালসন সিস্টেমের কারণে ডিজেল-ইলেকট্রিক শক্তিচালিত কিলো সাবমেরিনের শব্দ অর্ধেক কমিয়ে আনতে পারে। এতে পরিচালনা সদস্যও এক চতুর্থাংশ হ্রাস করতে পারে।
তবে এর একটি বড় সমস্যা আছে। তা হলো নির্মাণ কাজ বেশ জটিল। এআইপি সজ্জিত এ ধরনের দুটি সাবমেরিন- সেন্ট পিটার্সবার্গ ও ক্রোনস্টেডটে প্রচলিত ডিজেল-ইলেকট্রিক ইঞ্জিন সংযোজন করা হয়েছে। দ্রোঝঝোভ নিশ্চিত করেছেন যে আমুর পাইলট মডেলে এআইপি ব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়া রাশিয়ায় চলমান লাদা জটিলতার আলোকে এখানে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করা হবে।
দ্রোঝঝোভ জানিয়েছেন, ভারতকে সাবমেরিন নির্মাণ করতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা দেবে রাশিয়া। এতে করে ভারতীয় অর্থ পেয়ে রাশিয়াও লাভবান হবে। তারা তাদের সাবমেরিন নির্মাণ শিল্পকে আরো এগিয়ে নিতে পারবে।
রাশিয়ান নৌ বাজেট যখন কমে আসছে, তখন ভারতের সাথে যৌথ সহযোগিতার সুযোগ পেলে তা রাশিয়ার জন্য খুবই ভালো হবে। বিশেষ করে ধুকতে থাকা লাদা প্রকল্প আবার প্রাণ ফিরে পাবে।
সুইডিশ, ফ্রেঞ্চ ও জার্মান প্রতিযোগীদের পরাজিত করার লক্ষ্যে ক্রেমলিন কেবল প্রযুক্তি হস্তান্তরের লাইসেন্স প্রদানের মধ্যেই সীমিত থাকছে না, তারা আরো সুবিধা দিতে চাচ্ছে। আর তা হলো ভারতীয়দের সাথে যৌথভাবে সাবমেরিন নির্মাণ করা। তা হবে আমুর-১৬৫০ ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন প্রকল্পের ভিত্তিতে প্রথম পাইলট মডেল নির্মাণের মাধ্যমে। এ তথ্য জানিয়েছেন রুশ ফেডারেশন সার্ভিস অব মিলিটারি টেকনিক্যাল কোঅপারেশনের উপপরিচালক ভ্লাদিমির দ্রোঝঝোভ। গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রস্তাবিত সাবমেরিনটি ভারতের ব্রাহ্মস সুপারসনিক ক্রুইস ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষ সংস্করণও বহন করতে পারবে। উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ভারত যৌথভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবন করেছে।
রাশিয়ার প্রস্তাবটি ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত জানুয়ারি ক্রয় পরিকল্পনার অনুরূপ। এটি আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের অংশবিশেষ। এতে একটি অরিজিন্যাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফেকচারারের (ওইএম) সাথে সহযোগিতা করে ভারতের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ছয়টি প্রচলিত সাবমেরিন তৈরির কথা বলা হয়েছে। দ্রোঝঝোভ বলেন, অন্যান্য বিদেশী অংশীদারের তুলনায় আমাদের প্রাথমিক প্রস্তাবটি অনেক বেশি অনুকূল। তিনি ভারতের সাবমেরিন নির্মাণ শিল্পকে সহায়তা করার কথা জানিয়ে বলেন, তাদের প্রস্তাবটি দুই দেশের স্বার্থই পূরণ করা সম্ভব হবে।
রাশিয়ার আসন্ন লাদা শ্রেণির (এটি হবে পুরনো সোভিয়েত কিলো অ্যাটাক সাবমেরিনের ডিজেল-ইলেকট্রিক উত্তরসূরী) রফতানি সংস্করণ হলো আমুর প্রকল্প। অবশ্য লাদা ও কিলো শ্রেণির সাবমেরিনের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য আছে। লাদায় এয়ার ইন্ডিপেডেন্ট প্রপালসন সিস্টেমের কারণে ডিজেল-ইলেকট্রিক শক্তিচালিত কিলো সাবমেরিনের শব্দ অর্ধেক কমিয়ে আনতে পারে। এতে পরিচালনা সদস্যও এক চতুর্থাংশ হ্রাস করতে পারে।
তবে এর একটি বড় সমস্যা আছে। তা হলো নির্মাণ কাজ বেশ জটিল। এআইপি সজ্জিত এ ধরনের দুটি সাবমেরিন- সেন্ট পিটার্সবার্গ ও ক্রোনস্টেডটে প্রচলিত ডিজেল-ইলেকট্রিক ইঞ্জিন সংযোজন করা হয়েছে। দ্রোঝঝোভ নিশ্চিত করেছেন যে আমুর পাইলট মডেলে এআইপি ব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়া রাশিয়ায় চলমান লাদা জটিলতার আলোকে এখানে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করা হবে।
দ্রোঝঝোভ জানিয়েছেন, ভারতকে সাবমেরিন নির্মাণ করতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা দেবে রাশিয়া। এতে করে ভারতীয় অর্থ পেয়ে রাশিয়াও লাভবান হবে। তারা তাদের সাবমেরিন নির্মাণ শিল্পকে আরো এগিয়ে নিতে পারবে।
রাশিয়ান নৌ বাজেট যখন কমে আসছে, তখন ভারতের সাথে যৌথ সহযোগিতার সুযোগ পেলে তা রাশিয়ার জন্য খুবই ভালো হবে। বিশেষ করে ধুকতে থাকা লাদা প্রকল্প আবার প্রাণ ফিরে পাবে।
No comments