যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছি প্রিয়া সাহাকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা নেই
প্রেসিডেন্ট
ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নালিশকারী প্রিয়া সাহাকে দেশে ফিরলে গ্রেপ্তারে
কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছেন
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। মন্ত্রী গতকাল গণমাধ্যমের সঙ্গে
আলাপে এ তথ্য প্রকাশ করেন। বলেন, বাংলাদেশ দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেট
ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি এলিস ওয়েলস আমাকে টেলিফোন
করেছিলেন। উদ্বেগের সঙ্গে তিনি দু’টি বিষয় জানতে চেয়েছেন। প্রথমত: প্রিয়া
সাহা দেশে ফিরলে সরকার গ্রেপ্তার করবো কি-না? দ্বিতীয় তার বিরুদ্ধে সরকার
কোন মামলা করবে কি-না? আমি অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি অব স্টেটকে বলেছি,
আমরা গ্রেপ্তার করবো না। যদিও তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন, এতে দেশের সম্মান
ক্ষুন্ন হয়েছে। দেশে অনেকে তার উপরে ক্ষুব্দ। তারা ‘যদি কিছু একটা করে
বসে’ সে জন্য চাইলে আমরা তাকে প্রটেকশন দেবো।
আর মামলার বিষয়ে বলেছি, সরকার কেস করবে কি-না? সেটা বলতে পারবো না। মামলা সংক্রান্ত পৃথক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, প্রিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করার কোন চিন্তা সরকারের নেই। সরকারের এতো সময়ও নেই। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মাল্টা সফরের আউটকাম জানান। এ সময় তিনি বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন।
মন্ত্রীর সূচনা বক্তব্য থেকে শুরু করে শেষ অবধি ৪২ মিনিটের ওই ব্রিফিংয়ের বড় অংশজুড়ে ছিল প্রিয়া সাহা প্রসঙ্গ। মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলাম আমি। বাংলাদেশ সরকার থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধি এতে যোগ দেন। সরকারের বাইরে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি সেখানে গেছেন। তাদের সঙ্গে আমার বা সরকারের কোন কিছু ছিল না। দেখাও হয়নি। কে কিভাবে গেছেন তা আমরা জানিও না। তাদের যাওয়ার জন্য যেটা প্রয়োজন ছিল ভিসা আর আমন্ত্রণ। সেটা তারা পেয়েছেন বলেই গেছেন। মন্ত্রী বলেন, কোন কোন মিডিয়ায় এসেছে প্রিয়া সাহার আমার ডেলিগেশনে ছিলেন। না, তিনি আমার ডেলিগেশনে ছিলেন না। সরকারের প্রতিনিধি হিসেবেও এতে যোগ দেননি। অন্তত ৩ দফা প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন এটা স্পষ্ট করেন যে প্রিয়া সাহাকে গ্রেপ্তারে সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই। তার বিরুদ্ধে মামলারও চিন্তা নেই। বরং সরকার তাকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে গত ১৭ই জুলাই বাংলাদেশি প্রিয়া সাহা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু উধাও হয়ে গেছে। তার ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, জমি কেড়ে নেয়া হয়েছে। মুসলিম উগ্রবাদীরা এটা করছে ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায়। তার এ বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা ক্ষুব্দ প্রকিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে পরবর্তীতে সরকারের প্রতিনিধিরা অবস্থান বদল করেন।
প্রিয়াও তার আত্মপক্ষ সমর্থন করে ট্রাম্পের কাছে দেয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারও পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র সচিব ডেকে পাঠিয়েছিলেন মর্মে গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশের বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি অবশ্য এটা জানেন না বলে এড়িয়ে যান। উল্লেখ্য, সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতা চর্চায় বাংলাদেশ যে বিশ্বে অনন্য সেটি তিনি ওয়াশিংটন তুলেছেন। এখানে যে সব ধর্মের প্রধান উৎসবের দিনে সরকারি ছুটি থাকে এবং অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে এগুলো পালিত হয় সেটি মোটা দাগে মন্ত্রী তুলেছেন বলে জানান। বাংলাদেশের এমন অবস্থার মধ্যেই প্রিয়া সাহা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, জমি দখল এবং ডাকাতির ঘটনায় অনেকে ধর্মীয় ফ্লেভার দেয়ার চেষ্টা করে। প্রিয়ার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। তাছাড়া পলিটিক্যাল অ্যাসাইলামের জন্য তিনি এমন উদ্ভট বক্তব্য দিতে পারেন বলে ধারণা মন্ত্রী। সরকার প্রিয়া সাহার বিষয়ে কি চিন্তা করছে এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি পুরো সরকারের কথা বলতে পারবো না। তবে আমার মনে হয় এটি ইগনর বা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কত জনই তো কত কথা বলে। আমরা কি সবাইকে আইনের আওতায় আনি? তবে মন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বাড়ানোর এমন আয়োজনে সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন বক্তব্য প্রদানকারী ব্যক্তিদের দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে আয়োজকরা আরও সচেতন থাকবেন এটাই আমরা আশা করি।
সেপ্টেম্বরের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর: এদিকে রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না পেলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আশা করছেন, সেপ্টেম্বরের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে। কিন্তু কিভাবে? এর তো কোন আলামত এখনও দৃশ্যমান নয়- পাল্টা প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এটা আমার বিশ্বাস, ‘গাট ফিলিং’। প্রত্যাবাসন লোক দেখানো হবে কি-না? এমন প্রশ্ন আসে। জবাবে মন্ত্রী মোমেন বলেন, আমি লোকদেখানো মনে করি না। প্রক্রিয়াটি শুরু হবে এবং আমি সেটাতে বিশ্বাসী। রাখাইনে বর্তমানে অস্থিরতা চলছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি সমস্যা তাদের জন্য। উগ্রপন্থিরা সেখানে তাদের সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। রাখাইনের পরিস্থিতি কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ওখানে যেতেই পারি না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার বারবার আমাদের আশ্বস্ত করছে এবং জাতিসংঘ এখন রাখাইনে কিছুটা কাজ করতে পারছে। তবে সব অঞ্চলে নয়। আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা মোটামুটি সব জায়গা থেকে খুব ভালো আশ্বাস পেয়েছি। চীনও আমাদের এ ব্যাপারে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছে। এ জন্য আমার বিশ্বাস প্রত্যাবাসন শুরু হবে। তবে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে মিয়ানমারের ওপর। মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই এটা হবে বলে আমার বিশ্বাস। সাধারণ অধিবেশনে এটি নিয়ে আমরা বকাবকি করি, এটা হয়তো তারা চায় না। মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাদের বিতাড়িত করেছে এবং নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এজন্য রোহিঙ্গাদের একটা সন্দেহ আছে। এই বিশ্বাসের ঘাটতি দূর করতে সরাসরি না হলেও নিজেদের বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, আসিয়ান দেশের লোকজন যদি রাখাইনে থাকে এবং দেখভাল করে তবে রোহিঙ্গারা স্বস্তিবোধ করতে পারে। রোহিঙ্গারা যেতে না চাইলে কী করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।
আর মামলার বিষয়ে বলেছি, সরকার কেস করবে কি-না? সেটা বলতে পারবো না। মামলা সংক্রান্ত পৃথক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, প্রিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করার কোন চিন্তা সরকারের নেই। সরকারের এতো সময়ও নেই। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মাল্টা সফরের আউটকাম জানান। এ সময় তিনি বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন।
মন্ত্রীর সূচনা বক্তব্য থেকে শুরু করে শেষ অবধি ৪২ মিনিটের ওই ব্রিফিংয়ের বড় অংশজুড়ে ছিল প্রিয়া সাহা প্রসঙ্গ। মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলাম আমি। বাংলাদেশ সরকার থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধি এতে যোগ দেন। সরকারের বাইরে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি সেখানে গেছেন। তাদের সঙ্গে আমার বা সরকারের কোন কিছু ছিল না। দেখাও হয়নি। কে কিভাবে গেছেন তা আমরা জানিও না। তাদের যাওয়ার জন্য যেটা প্রয়োজন ছিল ভিসা আর আমন্ত্রণ। সেটা তারা পেয়েছেন বলেই গেছেন। মন্ত্রী বলেন, কোন কোন মিডিয়ায় এসেছে প্রিয়া সাহার আমার ডেলিগেশনে ছিলেন। না, তিনি আমার ডেলিগেশনে ছিলেন না। সরকারের প্রতিনিধি হিসেবেও এতে যোগ দেননি। অন্তত ৩ দফা প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন এটা স্পষ্ট করেন যে প্রিয়া সাহাকে গ্রেপ্তারে সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই। তার বিরুদ্ধে মামলারও চিন্তা নেই। বরং সরকার তাকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে গত ১৭ই জুলাই বাংলাদেশি প্রিয়া সাহা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু উধাও হয়ে গেছে। তার ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, জমি কেড়ে নেয়া হয়েছে। মুসলিম উগ্রবাদীরা এটা করছে ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায়। তার এ বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা ক্ষুব্দ প্রকিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে পরবর্তীতে সরকারের প্রতিনিধিরা অবস্থান বদল করেন।
প্রিয়াও তার আত্মপক্ষ সমর্থন করে ট্রাম্পের কাছে দেয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারও পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র সচিব ডেকে পাঠিয়েছিলেন মর্মে গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশের বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি অবশ্য এটা জানেন না বলে এড়িয়ে যান। উল্লেখ্য, সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতা চর্চায় বাংলাদেশ যে বিশ্বে অনন্য সেটি তিনি ওয়াশিংটন তুলেছেন। এখানে যে সব ধর্মের প্রধান উৎসবের দিনে সরকারি ছুটি থাকে এবং অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে এগুলো পালিত হয় সেটি মোটা দাগে মন্ত্রী তুলেছেন বলে জানান। বাংলাদেশের এমন অবস্থার মধ্যেই প্রিয়া সাহা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, জমি দখল এবং ডাকাতির ঘটনায় অনেকে ধর্মীয় ফ্লেভার দেয়ার চেষ্টা করে। প্রিয়ার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। তাছাড়া পলিটিক্যাল অ্যাসাইলামের জন্য তিনি এমন উদ্ভট বক্তব্য দিতে পারেন বলে ধারণা মন্ত্রী। সরকার প্রিয়া সাহার বিষয়ে কি চিন্তা করছে এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি পুরো সরকারের কথা বলতে পারবো না। তবে আমার মনে হয় এটি ইগনর বা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কত জনই তো কত কথা বলে। আমরা কি সবাইকে আইনের আওতায় আনি? তবে মন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বাড়ানোর এমন আয়োজনে সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন বক্তব্য প্রদানকারী ব্যক্তিদের দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে আয়োজকরা আরও সচেতন থাকবেন এটাই আমরা আশা করি।
সেপ্টেম্বরের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর: এদিকে রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না পেলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আশা করছেন, সেপ্টেম্বরের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে। কিন্তু কিভাবে? এর তো কোন আলামত এখনও দৃশ্যমান নয়- পাল্টা প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এটা আমার বিশ্বাস, ‘গাট ফিলিং’। প্রত্যাবাসন লোক দেখানো হবে কি-না? এমন প্রশ্ন আসে। জবাবে মন্ত্রী মোমেন বলেন, আমি লোকদেখানো মনে করি না। প্রক্রিয়াটি শুরু হবে এবং আমি সেটাতে বিশ্বাসী। রাখাইনে বর্তমানে অস্থিরতা চলছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি সমস্যা তাদের জন্য। উগ্রপন্থিরা সেখানে তাদের সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। রাখাইনের পরিস্থিতি কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ওখানে যেতেই পারি না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার বারবার আমাদের আশ্বস্ত করছে এবং জাতিসংঘ এখন রাখাইনে কিছুটা কাজ করতে পারছে। তবে সব অঞ্চলে নয়। আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা মোটামুটি সব জায়গা থেকে খুব ভালো আশ্বাস পেয়েছি। চীনও আমাদের এ ব্যাপারে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছে। এ জন্য আমার বিশ্বাস প্রত্যাবাসন শুরু হবে। তবে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে মিয়ানমারের ওপর। মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই এটা হবে বলে আমার বিশ্বাস। সাধারণ অধিবেশনে এটি নিয়ে আমরা বকাবকি করি, এটা হয়তো তারা চায় না। মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাদের বিতাড়িত করেছে এবং নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এজন্য রোহিঙ্গাদের একটা সন্দেহ আছে। এই বিশ্বাসের ঘাটতি দূর করতে সরাসরি না হলেও নিজেদের বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, আসিয়ান দেশের লোকজন যদি রাখাইনে থাকে এবং দেখভাল করে তবে রোহিঙ্গারা স্বস্তিবোধ করতে পারে। রোহিঙ্গারা যেতে না চাইলে কী করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।
No comments