সড়কে পৌনে ৫ লাখ ফিটনেসবিহীন গাড়ি: দুই মাসের মধ্যে নবায়নের নির্দেশ
রাজধানী
ঢাকাসহ সারা দেশে নিবন্ধনকৃত ফিটনেসবিহীন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি গাড়ি দুই
মাসের মধ্যে ফিটনেস নবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১লা আগস্ট
থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে গাড়ির ফিটনেস নবায়ন সম্পন্ন করতে বলা হয়।
গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের
হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১৫ই অক্টোবর দিন
ধার্য করেছেন আদালত। আদেশ বাস্তবায়নে ব্যাপকভাবে গণমাধ্যমে
প্রচার-প্রচারণার নির্দেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান ও
পুলিশের আইজিকে আদেশ কতটুকু বাস্তবায়ন হলো তা প্রতিবেদনের মাধ্যমে আদালতকে
জানাতে বলা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়ম মামুন মাহবুব। বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন ফিরোজী ও মো. রাফিউল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, ফিটনেস নবায়ন না করলে আদালত এসব গাড়ি বন্ধে প্রয়োজনীয় আদেশ দেবেন।
শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, বিদেশে গাড়িগুলোতে কোনো দাগ নেই, রং জ্বলে যায় না। কিন্তু আমাদের দেশের গাড়িগুলোতে দাগ, রং জ্বলে গেছে, দুই পাশ চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। লুকিং গ্লাস নেই- এমন কেন? জবাবে বিআরটিএ’র আইনজীবী বলেন, প্রাইভেট গাড়িগুলোতে তেমন সমস্যা নেই। কিন্ত গণপরিবহণগুলো দুর্ঘটনাসহ নানা কারণে আর ঠিক থাকে না।
এরপর আদালত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) উদ্দেশ করে বলেন, আপনাদের নাকের ডগার ওপর দিয়ে কীভাবে লাখ লাখ ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলে। রাস্তায় আর কোনো ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলতে দেয়া হবেনা। আমরা যদি এসব গাড়ি জব্দের নির্দেশ দেই, তাহলে আপনারদের কোনো সমস্যা আছে? তখন বিআরটিএ’র আইনজীবী বলেন, তাহলে বিআরটিএ রেভিনিউ থেকে বঞ্চিত হবেন। আদালত বলেন, প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ নিবন্ধিত গাড়ি রয়েছে, ফিটনেস নবায়ন করছেনা। বলেন, কতদিন সময় দিলে এসব নিবন্দ্বিত গাড়ির ফিটনেস নবায়ন সম্পন্ন হবে। একমাস সময় দিলে হবে ? জবাবে বিআরটিএ’র আইনজীবী বলেন, সামনে কোরবানীর ঈদ। দুই মাস সময় দেয়া হোক। তখন আদালত দুই মাস সময়ের মধ্যে নিবন্ধ্বিত গাড়ির ফিটনেস নবায়ন সম্পন্ন করতে বলা হয়। এই দুই মাস পর যথাযথ কর্তৃপক্ষ অভিযান পরিচালনা করবে, যাতে গাড়ির মালিক বলতে না পারেন , লাইসেন্স নবায়নের জন্য তাদের সময় দেয়া হয়নি। আমরা কারও পক্ষে বা বিপক্ষে নই। বিষয়টি আমরা শক্তভাবে দেখবো। আমরা মানুষের পক্ষে কাজ করি।
এর আগে বিআরটিএ’র আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তিনি জানান, ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২ লাখ ৬১ হাজার ১১৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৮, রাজশাহী বিভাগে ২৬ হাজার ২৪০, রংপুর বিভাগে ৬ হাজার ৫৬৮, খুলনা বিভাগে ১৫ হাজার ৬৬৮, সিলেট বিভাগে ৪৪ হাজার ৮০৫ এবং বরিশাল বিভাগে ৫ হাজার ৩৩৮টি গাড়ি মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেসবিহীন রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে লাইসেন্সধারী ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর দায়ে চলতি বছর ৬ কোটি ৭২ লাখ ২৩ হাজার ৩৯২ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া ৩৯ হাজার ৮৩৭টি মামলা করা হয়েছে। একই সময়ে ফিটনেসবিহীন ২১৪টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে। কারাদন্ড দেয়া হয়েছে ৭২৮ চালককে।
উল্লেখ্য, গত ২৩শে মার্চ একটি ইংরেজি পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর গত ২৭শে মার্চ ওই প্রতিবেদনটি নজরে আনা হলে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারিসহ অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেন। একইসঙ্গে লাইসেন্সবিহীন চালক ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন যানের সংখ্যা-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে বিআরটিএকে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়ম মামুন মাহবুব। বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন ফিরোজী ও মো. রাফিউল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, ফিটনেস নবায়ন না করলে আদালত এসব গাড়ি বন্ধে প্রয়োজনীয় আদেশ দেবেন।
শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, বিদেশে গাড়িগুলোতে কোনো দাগ নেই, রং জ্বলে যায় না। কিন্তু আমাদের দেশের গাড়িগুলোতে দাগ, রং জ্বলে গেছে, দুই পাশ চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। লুকিং গ্লাস নেই- এমন কেন? জবাবে বিআরটিএ’র আইনজীবী বলেন, প্রাইভেট গাড়িগুলোতে তেমন সমস্যা নেই। কিন্ত গণপরিবহণগুলো দুর্ঘটনাসহ নানা কারণে আর ঠিক থাকে না।
এরপর আদালত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) উদ্দেশ করে বলেন, আপনাদের নাকের ডগার ওপর দিয়ে কীভাবে লাখ লাখ ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলে। রাস্তায় আর কোনো ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলতে দেয়া হবেনা। আমরা যদি এসব গাড়ি জব্দের নির্দেশ দেই, তাহলে আপনারদের কোনো সমস্যা আছে? তখন বিআরটিএ’র আইনজীবী বলেন, তাহলে বিআরটিএ রেভিনিউ থেকে বঞ্চিত হবেন। আদালত বলেন, প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ নিবন্ধিত গাড়ি রয়েছে, ফিটনেস নবায়ন করছেনা। বলেন, কতদিন সময় দিলে এসব নিবন্দ্বিত গাড়ির ফিটনেস নবায়ন সম্পন্ন হবে। একমাস সময় দিলে হবে ? জবাবে বিআরটিএ’র আইনজীবী বলেন, সামনে কোরবানীর ঈদ। দুই মাস সময় দেয়া হোক। তখন আদালত দুই মাস সময়ের মধ্যে নিবন্ধ্বিত গাড়ির ফিটনেস নবায়ন সম্পন্ন করতে বলা হয়। এই দুই মাস পর যথাযথ কর্তৃপক্ষ অভিযান পরিচালনা করবে, যাতে গাড়ির মালিক বলতে না পারেন , লাইসেন্স নবায়নের জন্য তাদের সময় দেয়া হয়নি। আমরা কারও পক্ষে বা বিপক্ষে নই। বিষয়টি আমরা শক্তভাবে দেখবো। আমরা মানুষের পক্ষে কাজ করি।
এর আগে বিআরটিএ’র আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তিনি জানান, ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২ লাখ ৬১ হাজার ১১৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৮, রাজশাহী বিভাগে ২৬ হাজার ২৪০, রংপুর বিভাগে ৬ হাজার ৫৬৮, খুলনা বিভাগে ১৫ হাজার ৬৬৮, সিলেট বিভাগে ৪৪ হাজার ৮০৫ এবং বরিশাল বিভাগে ৫ হাজার ৩৩৮টি গাড়ি মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেসবিহীন রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে লাইসেন্সধারী ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর দায়ে চলতি বছর ৬ কোটি ৭২ লাখ ২৩ হাজার ৩৯২ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া ৩৯ হাজার ৮৩৭টি মামলা করা হয়েছে। একই সময়ে ফিটনেসবিহীন ২১৪টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে। কারাদন্ড দেয়া হয়েছে ৭২৮ চালককে।
উল্লেখ্য, গত ২৩শে মার্চ একটি ইংরেজি পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর গত ২৭শে মার্চ ওই প্রতিবেদনটি নজরে আনা হলে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারিসহ অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেন। একইসঙ্গে লাইসেন্সবিহীন চালক ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন যানের সংখ্যা-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে বিআরটিএকে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত।
No comments