ডাকসু’র গঠনতন্ত্র সংশোধনে সভা আজ: সবার আগে সহাবস্থান নিশ্চিত করার দাবি ছাত্র সংগঠনগুলোর by মুনির হোসেন
প্রায়
তিন দশক ধরে বন্ধ থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও
হল ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবারো আলোচনায়। অচল ডাকসুকে সচল করার লক্ষ্যে কাজ
করছেন অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান
প্রশাসন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হলেও এবারের
প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ইতিমধ্যে বর্তমান প্রশাসন পরিবেশ সংসদের সভা করেছেন,
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশও হয়েছে। আগামী ৩১শে মার্চের মধ্যে নির্বাচন করার
লক্ষ্যে গত ৬ই জানুয়ারি ডাকসুর গঠনতন্ত্র যুযোপযোগী ও সংশোধন করার জন্য
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড.
মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি করা হয়েছে।
আজ সে কমিটি বসছে- ডাকসুর গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়। সকাল ১১টায়
প্রশাসনিক ভবনে ভিসির কার্যালয় সংগলগ্ন লাউঞ্জে এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা
রয়েছে। ইতিমধ্যে সভায় অংশগ্রহণ ও নিজ নিজ সংগঠনের পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনা
দিতে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশনসহ ক্রিয়াশীল ছাত্র
সংগঠনগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
গত ৬ই জানুয়ারি ইস্যুকৃত চিঠিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল ছাত্র সংসদ গঠনতন্ত্র যুযোপযোগী করার জন্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনী/পরিমার্জনের সুপারিশ প্রণয়নের জন্য মাননীয় ভিসি একটি কমিটি গঠন করেছেন। এতদুদ্দেশ্যে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা আগামী ১০ই জানুয়ারি সকাল ১১টায় উপাচার্যের কার্যালয় সংগলগ্ন লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় উপস্থিত হয়ে অথবা লিখিতভাবে আপনার সংগঠনের বক্তব্য/সুপারিশমালা উপস্থাপনের জন্য আপনাকে সবিনয় অনুরোধ করছি।’ এদিকে সব ছাত্র সংগঠন নিজ নিজ অবস্থান থেকে গঠনতন্ত্র নিয়ে পর্যালোচনা করে নিজেদের প্রস্তাবনাও ঠিক করেছে। আজকের সভায় সেগুলো তুলে ধরা হবে বলে মানবজমিনকে জানিয়েছে সংগঠনগুলোর নেতারা। তবে এত আয়োজনেও শাসকদলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাড়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ অন্যান্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নেই বলে দাবি করেছে। সংগঠনগুলো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ক্যাম্পাসে সবার জন্য সমান সুযোগ সহাবস্থান নিশ্চিতের দাবি করে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি ক্যাম্পাসে সহাবস্থান আছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সহাবস্থান রয়েছে। বর্তমানে ডাকসু নির্বাচন দেয়ার মতো পরিবেশ রয়েছে তা সবাই স্বীকার করে এবং এটি বাস্তবতা। তারপরও কেউ অভিযোগ করলে সহাবস্থানের বিষয়টি আমরা দেখবো।’ এ ছাড়াও ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীদের বয়স শিথিল করার লক্ষ্যে নিজ নিজ সংগঠনের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনগুলো। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজীর মানবজমিনকে বলেন, ‘সবার আগে ডাকসু নির্বাচনের জন্য সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এখনো পর্যন্ত ক্যাম্পাসের যে পরিবেশ তাতে সহাবস্থান আছে বলে আমরা মনে করছি না। আগামীকালকের (আজ) মিটিংয়ের পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি সত্যিকার অর্থে ৩১শে মার্চের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করতে চান, তাহলে তাদেরই দায়িত্ব হবে সব ছাত্র সংগঠনের জন্য সহাবস্থান ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।’ তিনি বলেন, ‘গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করতে গিয়ে আমাদের একটি বিষয় নজরে এসেছে যে ডাকসুর প্রেসিডেন্ট চাইলে একক সিদ্ধান্তে যেকোনো কিছু করতে পারে। এটা আমাদের কাছে অগণতান্ত্রিক মনে হয়েছে। এটা সময়ের প্রেক্ষিতে পর্যলোচনা করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে এটা স্বৈরতান্ত্রিকও বটে। এটা নিয়ে বিবেচনা করার সময় হয়েছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে যে প্রার্থিতা। যেহেতু গত ২৮টি বছর ডাকসু নির্বাচন হয়নি, ফলে প্রার্থিতার ক্ষেত্রে প্রশাসন কিছুটা আইন শিথিল করতে পারে কিনা, সেই বিষয়ে প্রস্তাবনা থাকবে।’ ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার মানবজমিনকে বলেন, ‘আমাদের প্রথম দাবি হচ্ছে- সব ছাত্র সংগঠনের জন্য সহাবস্থান নিশ্চিত করা। সবাই যেন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ারভাবে নির্বাচনের কাজ করতে পারে। সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে। এর আগে পরিবেশ সংসদের একটি সভা হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন। কিন্তু যেভাবে পাহারা দিয়ে আমাদের ক্যাম্পাসে নেয়া হয়েছে, এর থেকেই প্রমাণ হয় যে সহাবস্থান নেই। এভাবে এলে নির্বাচনের পরিবেশ হয় না। আমরা চাই আগে সহাবস্থান, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হোক।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ডাকসুর গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করেছি। দীর্ঘদিন যেহেতু ডাকসু নির্বাচন হয়নি, সেহেতু এর গঠনতন্ত্রে অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যা সংশোধন করা এখন সময়ের দাবি। প্রার্থীদের বয়সের বিষয়টিও আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়াও অনেকগুলো বিষয় যুগোপযোগী করা দরকার বলে আমাদের মনে হয়েছে। আমরা সেগুলো মতবিনিময় সভায় তুলে ধরবো।’ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন মানবজমিনকে বলেন, ‘আমাদের গঠনতন্ত্র নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা থাকবে। কিন্তু আমরা চাই গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী, আধুনিক ও অ্যাকাডেমিক হোক।’ তিনি বলেন, ‘কালকের মিটিংয়ে আমরা অংশগ্রহণ করবো সর্বোচ্চ ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়ে। কারণ, আমরা জানি যে দীর্ঘ তিন দশক যাবৎ নির্বাচন না হওয়ার কারণে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ হতে পারে। আমরা যে প্রস্তাবনাই দিয়ে থাকি, আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে যেন ডাকসু নির্বাচন হয়। এতে কে বিজয়ী হবে কে প্রার্থী হবে এটা আমাদের কাছে একেবারেই মুখ্য বিষয় নয়। আমরা চাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাক। সে জায়গা থেকে আমরা সর্বোচ্চ উদারতা, গণতান্ত্রিক মানসিকতা এবং সর্বোচ্চ ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়ে গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় অংশ নিবো।’
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর থেকে বন্ধ রয়েছে জাতীয় নেতৃত্ব তৈরির কারখানা হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল ছাত্র সংসদ নির্বাচন। বিভিন্ন সময় ভিসিরা উদ্যোগ নিয়েও ডাকসু নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
গত ৬ই জানুয়ারি ইস্যুকৃত চিঠিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল ছাত্র সংসদ গঠনতন্ত্র যুযোপযোগী করার জন্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনী/পরিমার্জনের সুপারিশ প্রণয়নের জন্য মাননীয় ভিসি একটি কমিটি গঠন করেছেন। এতদুদ্দেশ্যে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা আগামী ১০ই জানুয়ারি সকাল ১১টায় উপাচার্যের কার্যালয় সংগলগ্ন লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় উপস্থিত হয়ে অথবা লিখিতভাবে আপনার সংগঠনের বক্তব্য/সুপারিশমালা উপস্থাপনের জন্য আপনাকে সবিনয় অনুরোধ করছি।’ এদিকে সব ছাত্র সংগঠন নিজ নিজ অবস্থান থেকে গঠনতন্ত্র নিয়ে পর্যালোচনা করে নিজেদের প্রস্তাবনাও ঠিক করেছে। আজকের সভায় সেগুলো তুলে ধরা হবে বলে মানবজমিনকে জানিয়েছে সংগঠনগুলোর নেতারা। তবে এত আয়োজনেও শাসকদলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাড়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ অন্যান্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নেই বলে দাবি করেছে। সংগঠনগুলো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ক্যাম্পাসে সবার জন্য সমান সুযোগ সহাবস্থান নিশ্চিতের দাবি করে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি ক্যাম্পাসে সহাবস্থান আছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সহাবস্থান রয়েছে। বর্তমানে ডাকসু নির্বাচন দেয়ার মতো পরিবেশ রয়েছে তা সবাই স্বীকার করে এবং এটি বাস্তবতা। তারপরও কেউ অভিযোগ করলে সহাবস্থানের বিষয়টি আমরা দেখবো।’ এ ছাড়াও ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীদের বয়স শিথিল করার লক্ষ্যে নিজ নিজ সংগঠনের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনগুলো। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজীর মানবজমিনকে বলেন, ‘সবার আগে ডাকসু নির্বাচনের জন্য সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এখনো পর্যন্ত ক্যাম্পাসের যে পরিবেশ তাতে সহাবস্থান আছে বলে আমরা মনে করছি না। আগামীকালকের (আজ) মিটিংয়ের পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি সত্যিকার অর্থে ৩১শে মার্চের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করতে চান, তাহলে তাদেরই দায়িত্ব হবে সব ছাত্র সংগঠনের জন্য সহাবস্থান ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।’ তিনি বলেন, ‘গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করতে গিয়ে আমাদের একটি বিষয় নজরে এসেছে যে ডাকসুর প্রেসিডেন্ট চাইলে একক সিদ্ধান্তে যেকোনো কিছু করতে পারে। এটা আমাদের কাছে অগণতান্ত্রিক মনে হয়েছে। এটা সময়ের প্রেক্ষিতে পর্যলোচনা করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে এটা স্বৈরতান্ত্রিকও বটে। এটা নিয়ে বিবেচনা করার সময় হয়েছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে যে প্রার্থিতা। যেহেতু গত ২৮টি বছর ডাকসু নির্বাচন হয়নি, ফলে প্রার্থিতার ক্ষেত্রে প্রশাসন কিছুটা আইন শিথিল করতে পারে কিনা, সেই বিষয়ে প্রস্তাবনা থাকবে।’ ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার মানবজমিনকে বলেন, ‘আমাদের প্রথম দাবি হচ্ছে- সব ছাত্র সংগঠনের জন্য সহাবস্থান নিশ্চিত করা। সবাই যেন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ারভাবে নির্বাচনের কাজ করতে পারে। সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে। এর আগে পরিবেশ সংসদের একটি সভা হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন। কিন্তু যেভাবে পাহারা দিয়ে আমাদের ক্যাম্পাসে নেয়া হয়েছে, এর থেকেই প্রমাণ হয় যে সহাবস্থান নেই। এভাবে এলে নির্বাচনের পরিবেশ হয় না। আমরা চাই আগে সহাবস্থান, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হোক।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ডাকসুর গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করেছি। দীর্ঘদিন যেহেতু ডাকসু নির্বাচন হয়নি, সেহেতু এর গঠনতন্ত্রে অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যা সংশোধন করা এখন সময়ের দাবি। প্রার্থীদের বয়সের বিষয়টিও আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়াও অনেকগুলো বিষয় যুগোপযোগী করা দরকার বলে আমাদের মনে হয়েছে। আমরা সেগুলো মতবিনিময় সভায় তুলে ধরবো।’ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন মানবজমিনকে বলেন, ‘আমাদের গঠনতন্ত্র নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা থাকবে। কিন্তু আমরা চাই গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী, আধুনিক ও অ্যাকাডেমিক হোক।’ তিনি বলেন, ‘কালকের মিটিংয়ে আমরা অংশগ্রহণ করবো সর্বোচ্চ ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়ে। কারণ, আমরা জানি যে দীর্ঘ তিন দশক যাবৎ নির্বাচন না হওয়ার কারণে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ হতে পারে। আমরা যে প্রস্তাবনাই দিয়ে থাকি, আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে যেন ডাকসু নির্বাচন হয়। এতে কে বিজয়ী হবে কে প্রার্থী হবে এটা আমাদের কাছে একেবারেই মুখ্য বিষয় নয়। আমরা চাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাক। সে জায়গা থেকে আমরা সর্বোচ্চ উদারতা, গণতান্ত্রিক মানসিকতা এবং সর্বোচ্চ ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়ে গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় অংশ নিবো।’
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর থেকে বন্ধ রয়েছে জাতীয় নেতৃত্ব তৈরির কারখানা হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল ছাত্র সংসদ নির্বাচন। বিভিন্ন সময় ভিসিরা উদ্যোগ নিয়েও ডাকসু নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
No comments