ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করা হয় ডেমরার দুই শিশুকে
সবেমাত্র
বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়া শুরু করেছিল তারা। পাশাপাশি বাসা হওয়ায় গড়ে
উঠেছিল ঘনিষ্ঠতা। এক সঙ্গে খেলার ফাঁকে তাদের লিপস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেয়ার
প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়েছিল দুই দুর্বৃত্ত। দরজা বন্ধ করে তাদের লিপস্টিক
দিয়ে সাজিয়েও ছিল। এরপরই বেরিয়ে আসে তাদের আসল চেহারা। অবুঝ দুই শিশুকে
তারা ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। এতে তারা চিৎকার দিতে শুরু করলে ফারিয়া আক্তার
দোলা ও নুসরাত ফারিয়াকে গলাটিপে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে গোলাম মোস্তফা ও
আজিজুল। গত সোমবার চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের হাতে ধরা পরে
হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছে খুনিরা।
গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সাংবাদিকদের জানান পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার দিন লিপস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই দুই শিশুকে বাসায় ডেকে নিয়ে যায় গোলাম মোস্তফা ও আজিজুল বাউনিয়া। ঘরের দরজা বন্ধ করে তারা প্রথমে লিপস্টিক দিয়ে নুসরাত ও ফারিয়াকে সাজিয়ে দেয়। এরপর মোস্তফা ও আজিজুল দুজনেই ইয়াবা সেবন করে। স্পিকারে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে তারা ওই দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় শিশুরা চিৎকার করতে থাকে। আশেপাশের লোকজন চিৎকার শুনে ফেলবে- এই ভেবে ফারিয়ার গলা টিপে ধরে আজিজুল। এক পর্যায়ে ফারিয়া মারা যায়। আর নুশরাতকে গলায় গামছা পেঁছিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মোস্তফা। হত্যার পর আজিজুল পালিয়ে চলে যায়। আর মোস্তফা নিজে নুসরাত ও ফারিয়ার মরদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে।
ডিসি বলেন, ওই দুই শিশুকে সকাল থেকে খুঁজে না পাওয়াতে এলাকায় মাইকিং করায় তাদের পরিবার। এলাকার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোনো সন্ধান পায়নি নিখোঁজ দুই শিশুর পরিবার। সন্ধ্যার দিকে মোস্তফার পোশাককর্মী স্ত্রী বাসায় ফিরে তার স্বামীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখতে পান। ঘরের মেঝেতে শিশুদের স্যান্ডেল পরে থাকতে দেখে তার সন্দেহ বাড়ে। এক পর্যায়ে তিনি ঘটনা জানতে পারেন। এসময় মোস্তফা ও তার স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তাদের চিৎকার ও চেঁচামেচিতে আশেপাশের বাসিন্দারা ঘটনার কথা জেনে যায়। তখন বাসা থেকে পালিয়ে যায় মোস্তফা। প্রতিবেশীরা তখন পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মোস্তফার বাসার খাটের নিচ থেকে নুসরাত ও ফারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। ডিসি বলেন, মোস্তফা ও আজিজুল সম্পর্কে চাচাতো ভাই। মোস্তফা সিরামিকের কারখানায় ও আজিজুল একটি বেকারিতে কাজ করতো।
পাশাপাশি তারা দুজন খুচরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল ও নিজেরাও মাদকাসক্ত ছিল। এ ছাড়া তাদের দুজনের নামে যাত্রাবাড়ী থানায় ডাকাতির মামলা আছে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা এই কাজ করেছে। কারণ মোস্তফা আগে থেকেই আজিজুলকে ফোন করে ডেকে নিয়েছিল। এবং মূলত ধর্ষণের উদ্দেশ্যেই তারা শিশু দুটিকে লোভ দেখিয়ে নিয়ে যায়। অপরাধীরা শিশুদের কেন টার্গেট করছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ডিসি বলেন, মাদকাসক্তি ও বিকৃত মানসিকতার কারণে এমনটা হচ্ছে। এ ছাড়া অসচেতন অভিভাবকদের কারণেও এমনটা হচ্ছে। ৭ই জানুয়ারি সকাল থেকে নিখোঁজ থাকার পর রাত পৌনে ১০টার দিকে ফারিয়া আক্তার দোলা ও নুসরাত ফারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দোলা কোনাপাড়ার সামিউল আহসান রোডের আট নম্বর লেনের ৮ নম্বর বাড়ির নিচ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। সে পলাশ হাওলাদার ও পারভিন আক্তার দম্পতির মেয়ে। দোলা কোনাপাড়া একে আইডিয়াল স্কুলের নার্সারিতে লেখাপড়া করতো। আর নুসরাত একই এলাকার ফাহিমা বেগমের মেয়ে। দোলা ও নুসরাত দুজনেই সহপাঠী ও তারা পাশাপাশি বাসায় থাকতো। নুসরাত ঘটনার দিনে দোলার স্কুলেই ভর্তি হয়েছিল।
গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সাংবাদিকদের জানান পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার দিন লিপস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই দুই শিশুকে বাসায় ডেকে নিয়ে যায় গোলাম মোস্তফা ও আজিজুল বাউনিয়া। ঘরের দরজা বন্ধ করে তারা প্রথমে লিপস্টিক দিয়ে নুসরাত ও ফারিয়াকে সাজিয়ে দেয়। এরপর মোস্তফা ও আজিজুল দুজনেই ইয়াবা সেবন করে। স্পিকারে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে তারা ওই দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় শিশুরা চিৎকার করতে থাকে। আশেপাশের লোকজন চিৎকার শুনে ফেলবে- এই ভেবে ফারিয়ার গলা টিপে ধরে আজিজুল। এক পর্যায়ে ফারিয়া মারা যায়। আর নুশরাতকে গলায় গামছা পেঁছিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মোস্তফা। হত্যার পর আজিজুল পালিয়ে চলে যায়। আর মোস্তফা নিজে নুসরাত ও ফারিয়ার মরদেহ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে।
ডিসি বলেন, ওই দুই শিশুকে সকাল থেকে খুঁজে না পাওয়াতে এলাকায় মাইকিং করায় তাদের পরিবার। এলাকার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোনো সন্ধান পায়নি নিখোঁজ দুই শিশুর পরিবার। সন্ধ্যার দিকে মোস্তফার পোশাককর্মী স্ত্রী বাসায় ফিরে তার স্বামীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখতে পান। ঘরের মেঝেতে শিশুদের স্যান্ডেল পরে থাকতে দেখে তার সন্দেহ বাড়ে। এক পর্যায়ে তিনি ঘটনা জানতে পারেন। এসময় মোস্তফা ও তার স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তাদের চিৎকার ও চেঁচামেচিতে আশেপাশের বাসিন্দারা ঘটনার কথা জেনে যায়। তখন বাসা থেকে পালিয়ে যায় মোস্তফা। প্রতিবেশীরা তখন পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মোস্তফার বাসার খাটের নিচ থেকে নুসরাত ও ফারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। ডিসি বলেন, মোস্তফা ও আজিজুল সম্পর্কে চাচাতো ভাই। মোস্তফা সিরামিকের কারখানায় ও আজিজুল একটি বেকারিতে কাজ করতো।
পাশাপাশি তারা দুজন খুচরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল ও নিজেরাও মাদকাসক্ত ছিল। এ ছাড়া তাদের দুজনের নামে যাত্রাবাড়ী থানায় ডাকাতির মামলা আছে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা এই কাজ করেছে। কারণ মোস্তফা আগে থেকেই আজিজুলকে ফোন করে ডেকে নিয়েছিল। এবং মূলত ধর্ষণের উদ্দেশ্যেই তারা শিশু দুটিকে লোভ দেখিয়ে নিয়ে যায়। অপরাধীরা শিশুদের কেন টার্গেট করছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ডিসি বলেন, মাদকাসক্তি ও বিকৃত মানসিকতার কারণে এমনটা হচ্ছে। এ ছাড়া অসচেতন অভিভাবকদের কারণেও এমনটা হচ্ছে। ৭ই জানুয়ারি সকাল থেকে নিখোঁজ থাকার পর রাত পৌনে ১০টার দিকে ফারিয়া আক্তার দোলা ও নুসরাত ফারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দোলা কোনাপাড়ার সামিউল আহসান রোডের আট নম্বর লেনের ৮ নম্বর বাড়ির নিচ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। সে পলাশ হাওলাদার ও পারভিন আক্তার দম্পতির মেয়ে। দোলা কোনাপাড়া একে আইডিয়াল স্কুলের নার্সারিতে লেখাপড়া করতো। আর নুসরাত একই এলাকার ফাহিমা বেগমের মেয়ে। দোলা ও নুসরাত দুজনেই সহপাঠী ও তারা পাশাপাশি বাসায় থাকতো। নুসরাত ঘটনার দিনে দোলার স্কুলেই ভর্তি হয়েছিল।
No comments