ওয়াশিংটন গেলেন মিলার by মিজানুর রহমান
ঢাকায়
দায়িত্ব নেয়ার ১ মাস ১০ দিনের মাথায় ওয়াশিংটনে গেলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
আর্ল রবার্ট মিলার। গতকাল তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে গেছেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো রাষ্ট্রদূতের ওয়াশিংটন যাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কী
কারণে চটজলদি তার যেতে হলো তা এখনো অস্পষ্ট। একটি সূত্র অবশ্য দাবি করেছে,
স্টেট ডিপার্টমেন্টে জরুরি আলোচনা বা কনসালটেশনের জন্য রাষ্ট্রদূত গেছেন।
তবে সেখানে আমেরিকান রাষ্ট্রদূতদের বার্ষিক সম্মেলন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ‘রাজনৈতিক আলোচনা’র কর্মসূচিও রয়েছে। সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, সব মিলেই রাষ্ট্রদূত মিলার জরুরিভিত্তিতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন বলে সরকারকে আগে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজনৈতিক আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। আগামী ২২শে জানুয়ারি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড হ্যালের সঙ্গে সচিবের বৈঠকের সূচি নির্ধারিত হয়েছে। ওয়াশিংটনে সেই বৈঠক হবে।
সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আল রবার্ট মিলারও উপস্থিত থাকছেন। বৈঠকে ৩০শে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, রোহিঙ্গা সংকট, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা হবে বলে আভাস দিয়েছেন ঢাকার কর্মকর্তারা। তারা এ-ও জানান, ওই বৈঠক এবং রাষ্ট্রদূতের ওয়াশিংটন যাত্রাকে সামনে রেখে গত ২রা জানুয়ারি আর্ল রবার্ট মিলার পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। সেখানে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয় এবং ওয়াশিংটনের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন আর্ল মিলার। নির্বাচন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভেশন থাকলেও তারা বাংলাদেশ তথা সরকার ও বিরোধী দলের সঙ্গে কাজ করে যাবে বলে আগেই স্পষ্ট করেছে।
ভোটদানে বিরত রাখাসহ নির্বাচনে যেসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বলা হয় এমনটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর মানুষের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে। অনিয়মের বিষয়ে সব পক্ষকে নিয়ে গঠনমূলকভাবে সমাধান করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোরালো আহ্বানও জানায় ওয়াশিংটন। ঢাকার একাধিক কর্মকর্তা মানবজমিনকে গতকাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক যাই হোক না কেন, দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভীত অনেক শক্তিশালী। একক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া বিদেশি বিনিয়োগেও দেশটির অবস্থান সবার উপরে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অগ্রাধিকার মেগা প্রকল্প ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্যাটেজি নিয়ে এশিয়ার দেশগুলোর স্বতন্ত্র অবস্থান থাকলেও গোড়া থেকেই বাংলাদেশ এর সমর্থক।
বৈশ্বিক ওই প্রকল্প থেকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে কতটা লাভবান হতে পারে তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা চলছে। নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলার ২৯শে নভেম্বর প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশের মধ্য দিয়ে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেন। বঙ্গভবনের ওই আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জনগণ তথা এ অঞ্চল এবং বিশ্ব সমপ্রদায়ের স্বার্থেই দুই দেশের বন্ধন আরো সুদৃঢ় করার তাগিদ দেন রাষ্ট্রদূত।
তবে সেখানে আমেরিকান রাষ্ট্রদূতদের বার্ষিক সম্মেলন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ‘রাজনৈতিক আলোচনা’র কর্মসূচিও রয়েছে। সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, সব মিলেই রাষ্ট্রদূত মিলার জরুরিভিত্তিতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন বলে সরকারকে আগে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজনৈতিক আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। আগামী ২২শে জানুয়ারি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড হ্যালের সঙ্গে সচিবের বৈঠকের সূচি নির্ধারিত হয়েছে। ওয়াশিংটনে সেই বৈঠক হবে।
সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আল রবার্ট মিলারও উপস্থিত থাকছেন। বৈঠকে ৩০শে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, রোহিঙ্গা সংকট, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা হবে বলে আভাস দিয়েছেন ঢাকার কর্মকর্তারা। তারা এ-ও জানান, ওই বৈঠক এবং রাষ্ট্রদূতের ওয়াশিংটন যাত্রাকে সামনে রেখে গত ২রা জানুয়ারি আর্ল রবার্ট মিলার পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। সেখানে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয় এবং ওয়াশিংটনের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন আর্ল মিলার। নির্বাচন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভেশন থাকলেও তারা বাংলাদেশ তথা সরকার ও বিরোধী দলের সঙ্গে কাজ করে যাবে বলে আগেই স্পষ্ট করেছে।
ভোটদানে বিরত রাখাসহ নির্বাচনে যেসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বলা হয় এমনটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর মানুষের আস্থা কমিয়ে দিয়েছে। অনিয়মের বিষয়ে সব পক্ষকে নিয়ে গঠনমূলকভাবে সমাধান করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোরালো আহ্বানও জানায় ওয়াশিংটন। ঢাকার একাধিক কর্মকর্তা মানবজমিনকে গতকাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক যাই হোক না কেন, দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভীত অনেক শক্তিশালী। একক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া বিদেশি বিনিয়োগেও দেশটির অবস্থান সবার উপরে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অগ্রাধিকার মেগা প্রকল্প ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্যাটেজি নিয়ে এশিয়ার দেশগুলোর স্বতন্ত্র অবস্থান থাকলেও গোড়া থেকেই বাংলাদেশ এর সমর্থক।
বৈশ্বিক ওই প্রকল্প থেকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে কতটা লাভবান হতে পারে তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা চলছে। নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলার ২৯শে নভেম্বর প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশের মধ্য দিয়ে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেন। বঙ্গভবনের ওই আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জনগণ তথা এ অঞ্চল এবং বিশ্ব সমপ্রদায়ের স্বার্থেই দুই দেশের বন্ধন আরো সুদৃঢ় করার তাগিদ দেন রাষ্ট্রদূত।
No comments