চার দেশে আশ্রয় চাইলেন আলোচিত সৌদি যুবতী কুনুন
থাইল্যান্ডে
অবস্থানকারী বহুল আলোচিত সৌদি আরবের যুবতী রাহাফ মোহাম্মদ আল কুনুন তৃতীয়
কোনো দেশে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। তার এমন পছন্দের দেশের মধ্যে রয়েছে
কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া অথবা বৃটেন। বর্তমানে তিনি থাই সরকারের
একটি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তবে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক এজেন্সি
ইউএনএইচসিআর তার বিষয়টি দেখাশোনা করছে। এরই মধ্যে থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন
কুনুনের পিতা ও ভাই। কিন্তু তাদের সঙ্গে তিনি সাক্ষাত করতে অস্বীকৃতি
জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
সম্প্রতি তিনি কুয়েত থেকে থাইল্যান্ডে আসেন।
সোমবার তাকে ব্যাংকক থেকে বিমানে করে কুয়েতে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু কুনুন দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, দেশে ফিরলে তার পরিবার তাকে হত্যা করবে। কারণ, তিনি ধর্মের সমালোচনা করেন। সৌদি আরবে একে দেখা হয় নাস্তিক্যবাদ হিসেবে। আর এর শাস্তি হলো মৃত্যুদন্ড। এমন অজুহাতে তিনি ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে একটি হোটেলে নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
ওদিকে রাহাফ মোহাম্মদ আল কুনুনকে তার পাসপোর্ট ফেরত দেয়া হয়েছে। গত শনিবার তিনি যখন কুয়েত থেকে থাইল্যান্ডে আসেন তখন এই পাসপোর্টটি জব্দ করেছিলেন সৌদি আরবের একজন কূটনীতিক। পাসপোর্ট ফেরত পাওয়ার পর বিবিসিকে কুনুন বলেছেন, তিনি সুস্থ আছেন। আশা করছেন তৃতীয় কোনো দেশ তাকে আশ্রয় দেবে।
এরই মধ্যে সরাসরি টুইটারে টুইট করে তিনি সারা বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। নতুন একটি টুইট একাউন্ট খুলেছেন। দেড় দিনের মাথায় তা অনুসরণ করছেন ৫০ হাজার মানুষ।
কি কারণে আশ্রয় চাইছেন কুনুন?
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, আমার জীবন বিপদের মুখে। সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ হলো, আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে পরিবার।
সৌদি আরবের হেইল প্রদেশের আল সুলাইমি শহরের গভর্নর তার পিতা। তার পরিবারের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চান না। তারা সবাই চান কুনুনের নিরাপত্তা। কুনুনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অন্যান্য অধিকার বিষয়ক গ্রুপ।
কুনুন মূলত অস্ট্রেলিয়ার একটি ফ্লাইটে করে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য প্রথমে থাইল্যান্ড আসেন। টিকিটও সেভাবে করা। তার আশা ছিল, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করবেন। কিন্তু থাইল্যান্ডে পৌঁছার পর তার পাসপোর্ট নিয়ে নেন সৌদি আরবের একজন কূটনীতিক। ফলে কুনুন আটকা পড়ে যান। শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়। তিনি নিজেকে হোটেলের ভিতর অবরুদ্ধ করে ফেলেন। তারপর অনেক ঘটনা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার সকালে নতুন করে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় আশ্রয়ের জন্য বেছে নেন কানাডাকে।
তাকে সহযোগিতা দেয়ার জন্য ইউএনএইচসিআরের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। সেখানকার স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইউএনএইচসিআর প্রক্রিয়া সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করার পর আল কুনুনের পক্ষ থেকে যদি কোনো মানবিক ভিসার আবেদন আসে তা বিবেচনা করবে অস্ট্রেলিয়া। ওদিকে থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ কুনুনকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফেরত না পাঠানোয় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ইউএনএইচসিআর।
সম্প্রতি তিনি কুয়েত থেকে থাইল্যান্ডে আসেন।
সোমবার তাকে ব্যাংকক থেকে বিমানে করে কুয়েতে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু কুনুন দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, দেশে ফিরলে তার পরিবার তাকে হত্যা করবে। কারণ, তিনি ধর্মের সমালোচনা করেন। সৌদি আরবে একে দেখা হয় নাস্তিক্যবাদ হিসেবে। আর এর শাস্তি হলো মৃত্যুদন্ড। এমন অজুহাতে তিনি ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে একটি হোটেলে নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
ওদিকে রাহাফ মোহাম্মদ আল কুনুনকে তার পাসপোর্ট ফেরত দেয়া হয়েছে। গত শনিবার তিনি যখন কুয়েত থেকে থাইল্যান্ডে আসেন তখন এই পাসপোর্টটি জব্দ করেছিলেন সৌদি আরবের একজন কূটনীতিক। পাসপোর্ট ফেরত পাওয়ার পর বিবিসিকে কুনুন বলেছেন, তিনি সুস্থ আছেন। আশা করছেন তৃতীয় কোনো দেশ তাকে আশ্রয় দেবে।
এরই মধ্যে সরাসরি টুইটারে টুইট করে তিনি সারা বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। নতুন একটি টুইট একাউন্ট খুলেছেন। দেড় দিনের মাথায় তা অনুসরণ করছেন ৫০ হাজার মানুষ।
কি কারণে আশ্রয় চাইছেন কুনুন?
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, আমার জীবন বিপদের মুখে। সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ হলো, আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে পরিবার।
সৌদি আরবের হেইল প্রদেশের আল সুলাইমি শহরের গভর্নর তার পিতা। তার পরিবারের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চান না। তারা সবাই চান কুনুনের নিরাপত্তা। কুনুনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অন্যান্য অধিকার বিষয়ক গ্রুপ।
কুনুন মূলত অস্ট্রেলিয়ার একটি ফ্লাইটে করে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য প্রথমে থাইল্যান্ড আসেন। টিকিটও সেভাবে করা। তার আশা ছিল, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করবেন। কিন্তু থাইল্যান্ডে পৌঁছার পর তার পাসপোর্ট নিয়ে নেন সৌদি আরবের একজন কূটনীতিক। ফলে কুনুন আটকা পড়ে যান। শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়। তিনি নিজেকে হোটেলের ভিতর অবরুদ্ধ করে ফেলেন। তারপর অনেক ঘটনা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার সকালে নতুন করে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় আশ্রয়ের জন্য বেছে নেন কানাডাকে।
তাকে সহযোগিতা দেয়ার জন্য ইউএনএইচসিআরের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। সেখানকার স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইউএনএইচসিআর প্রক্রিয়া সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করার পর আল কুনুনের পক্ষ থেকে যদি কোনো মানবিক ভিসার আবেদন আসে তা বিবেচনা করবে অস্ট্রেলিয়া। ওদিকে থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ কুনুনকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফেরত না পাঠানোয় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ইউএনএইচসিআর।
No comments