সুবর্ণচরে গণধর্ষণ: সোহেল ও জসিমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
নোয়াখালীর
সুবর্ণচরে গণধর্ষণের ঘটনায় ২ আসামি সোহেল ও জসিম গতকাল বিকালে নোয়াখালীর
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি দিয়েছে। তারা ৩০শে ডিসেম্বর রাতে জঘন্যতম বর্বরতার সঙ্গে জড়িত
বলে স্বীকার করেছে। এ নিয়ে ৪ জন আসামি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলো। ডিবি অফিস সূত্র জানায়, রিমান্ডে থাকা ৭
জনের মধ্যে সোহেল ও জসিম ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় বেলা ২টায়
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন মামলার ১নং
আসামি সোহেল ও এজাহার বহির্ভূত আসামি জসিমকে আদালতে পাঠান।
এলাকার ভূমিহীন বিবি মরিয়ম (৫০) জানায়, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলায় রুহুল আমিনের প্রধান সহযোগী আবদুর রব, সুবর্ণচর উপজেলার এক কর্মী সিজার ও সেলিম আমাকে হুমকি দিয়েছে এলাকা ছেড়ে চলে না গেলে আমাকেও ঐ নির্যাতিতার মতো করবে। তারা এলাকায় এ বলে হুমকি দিচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যে রুহুল আমিনকে বের করে তারপর সবাইকে এলাকা ছাড়া করবে। ভূমিহীন বিধবা মরিয়ম জানান, আবদুর রব হুমকি দিয়ে বলেছে মুখ খুললে আমার ৩ মেয়েকে তুলে নিয়ে যাবে এবং সরকার থেকে পাওয়া বাড়ি ও জমি দখল করবে। তিনি জানান, রুহুল আমিন মেম্বার, আবদুল খালেক, রুবেল, মনির ২০১৮ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর তার মেয়ে ইয়াসনুর বেগম (১৮) কে তার স্বামীর বাড়িতে নির্যাতন করে হত্যা করে। হত্যার পরদিন থেকে ৪-৫ বার চরজব্বর থানায় গেলেও ওসি মামলা না নিয়ে উল্টো ধমক দিয়ে থানা থেকে বের করে দিয়েছে।
পরে উপায় না দেখে ১৮-৯-২০১৮ নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ শামছুউদ্দিন খালেদের আদালতে মামলা করলে আদালত অভিযোগটি এফ.আই.আর হিসেবে প্রতিপালন প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।
এ আদেশ পাওয়ার পরও থানা পুলিশ অনেক ঘোরাঘুরির পর ১৪-১০-১৮ইং মামলা রেকর্ড করতে বাধ্য হন। তারপরও চরজব্বর থানা পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও রুহুল আমিন বাহিনীকে রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার করেনি। এলাকার আমেনা খাতুন (২৫) জানায়, রুহুল আমিন এ চরের যে মহিলার দিকে চোখ দিয়েছে তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। তার ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি।
কেউ থানা পর্যন্ত গেলে পুলিশের ধমক খেয়ে বাড়ি ফিরে এসেছে। এভাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো ৮-১০ জন মহিলার সঙ্গে এ প্রতিনিধির কথা হয়েছে। রুহুল আমিন তাদের স্বামীদের ডেকে নিয়ে তার ক্লাব ঘরে আটকে রাখতো এবং তাদের বাড়ি গিয়ে দলবল নিয়ে মহিলাদের নির্যাতন করতো। যারা নির্যাতনে রাজি হতো না তাদের স্বামীকে ছাড়িয়ে আনতে ২০-২৫ হাজার টাকা দিতে হতো রুহুল আমিনকে। এ বছর সে ভূমিহীনদের জমি দখল করে একটি ব্রিকফিল্ড চালু করে। হাসপাতালের একজন ডাক্তার জানায়, পাশবিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অথবা পিজি হাসপাতালে দ্রুত নেয়া দরকার। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামে ভোটের রাতে গণধর্ষণের শিকার নির্যাতিত গৃহবধূকে সকল ধরনের আইনি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে নোয়াখালী আইন সহায়তা কমিটি ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
গতকাল দুপুরে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়া হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র দাস লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্যাতিত গৃহবধূকে সকল আইনি সহায়তা দেয়া হবে। সর্বোচ্চ আইনি সহায়তার মাধ্যমে ওই গৃহবধূর পাশে দাঁড়ানো হবে যাতে ধর্ষকরা কোনোভাবে যেন আইনের ফাঁকে বের হতে না পারে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের আইনজীবীদের নিয়ে আইনি সহায়তা কমিটি করা হয়েছে। আমরা সবসময় নির্যাতিত নারীদের পাশে আছি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা আহ্বায়ক ও সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) কাজী মানছুরুল হক খসরু, আইনি সহায়তা কমিটি নোয়াখালীর সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সহিদ উল্যা বাবু, সদস্য অ্যাডভোকেট রিপন চক্রবর্তী প্রমুখ।
এলাকার ভূমিহীন বিবি মরিয়ম (৫০) জানায়, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলায় রুহুল আমিনের প্রধান সহযোগী আবদুর রব, সুবর্ণচর উপজেলার এক কর্মী সিজার ও সেলিম আমাকে হুমকি দিয়েছে এলাকা ছেড়ে চলে না গেলে আমাকেও ঐ নির্যাতিতার মতো করবে। তারা এলাকায় এ বলে হুমকি দিচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যে রুহুল আমিনকে বের করে তারপর সবাইকে এলাকা ছাড়া করবে। ভূমিহীন বিধবা মরিয়ম জানান, আবদুর রব হুমকি দিয়ে বলেছে মুখ খুললে আমার ৩ মেয়েকে তুলে নিয়ে যাবে এবং সরকার থেকে পাওয়া বাড়ি ও জমি দখল করবে। তিনি জানান, রুহুল আমিন মেম্বার, আবদুল খালেক, রুবেল, মনির ২০১৮ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর তার মেয়ে ইয়াসনুর বেগম (১৮) কে তার স্বামীর বাড়িতে নির্যাতন করে হত্যা করে। হত্যার পরদিন থেকে ৪-৫ বার চরজব্বর থানায় গেলেও ওসি মামলা না নিয়ে উল্টো ধমক দিয়ে থানা থেকে বের করে দিয়েছে।
পরে উপায় না দেখে ১৮-৯-২০১৮ নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ শামছুউদ্দিন খালেদের আদালতে মামলা করলে আদালত অভিযোগটি এফ.আই.আর হিসেবে প্রতিপালন প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।
এ আদেশ পাওয়ার পরও থানা পুলিশ অনেক ঘোরাঘুরির পর ১৪-১০-১৮ইং মামলা রেকর্ড করতে বাধ্য হন। তারপরও চরজব্বর থানা পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও রুহুল আমিন বাহিনীকে রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার করেনি। এলাকার আমেনা খাতুন (২৫) জানায়, রুহুল আমিন এ চরের যে মহিলার দিকে চোখ দিয়েছে তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। তার ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি।
কেউ থানা পর্যন্ত গেলে পুলিশের ধমক খেয়ে বাড়ি ফিরে এসেছে। এভাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো ৮-১০ জন মহিলার সঙ্গে এ প্রতিনিধির কথা হয়েছে। রুহুল আমিন তাদের স্বামীদের ডেকে নিয়ে তার ক্লাব ঘরে আটকে রাখতো এবং তাদের বাড়ি গিয়ে দলবল নিয়ে মহিলাদের নির্যাতন করতো। যারা নির্যাতনে রাজি হতো না তাদের স্বামীকে ছাড়িয়ে আনতে ২০-২৫ হাজার টাকা দিতে হতো রুহুল আমিনকে। এ বছর সে ভূমিহীনদের জমি দখল করে একটি ব্রিকফিল্ড চালু করে। হাসপাতালের একজন ডাক্তার জানায়, পাশবিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অথবা পিজি হাসপাতালে দ্রুত নেয়া দরকার। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামে ভোটের রাতে গণধর্ষণের শিকার নির্যাতিত গৃহবধূকে সকল ধরনের আইনি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে নোয়াখালী আইন সহায়তা কমিটি ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
গতকাল দুপুরে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়া হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র দাস লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্যাতিত গৃহবধূকে সকল আইনি সহায়তা দেয়া হবে। সর্বোচ্চ আইনি সহায়তার মাধ্যমে ওই গৃহবধূর পাশে দাঁড়ানো হবে যাতে ধর্ষকরা কোনোভাবে যেন আইনের ফাঁকে বের হতে না পারে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের আইনজীবীদের নিয়ে আইনি সহায়তা কমিটি করা হয়েছে। আমরা সবসময় নির্যাতিত নারীদের পাশে আছি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা আহ্বায়ক ও সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) কাজী মানছুরুল হক খসরু, আইনি সহায়তা কমিটি নোয়াখালীর সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সহিদ উল্যা বাবু, সদস্য অ্যাডভোকেট রিপন চক্রবর্তী প্রমুখ।
No comments