পরিবার থেকে পালানো সৌদি তরুণী থাইল্যান্ডে আটক: ‘আমার পরিবার আমাকে হত্যা করতে চায়’ -রাহাফ
নিজের
পরিবারের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়া এক সৌদি তরুণী ব্যাংকক বিমানবন্দরে এক
হোটেল কক্ষে নিজেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা চাইছেন
তাকে কুয়েতে পরিবারের কাছে ফেরত পাঠাতে। কিন্তু এই তরুণী দাবি করছেন সেখানে
পাঠালে পরিবার তাকে হত্যা করবে। সোমবার কুয়েতগামী একটি ফ্লাইটে উঠতে
অস্বীকৃতি জানান ১৮ বছর বয়সী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান। তিনি বলেন, কুয়েতে
আমার ভাইয়েরা, আমার পরিবার এবং সৌদি দূতাবাস আমার অপেক্ষায় বসে আছে। তারা
আমাকে মেরে ফেলবে। আমার জীবন এখন বিপন্ন। আমার পরিবার একেবারে সামান্য
ঘটনার জন্য পর্যন্ত আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ খবর দিয়েছে, বিবিসি বাংলা।
মোহাম্মদ আল-কুনান বিবিসিকে বলেছেন, তিনি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছেন। তিনি আশঙ্কা করছেন, তার পরিবার এ জন্য তাকে হত্যা করবে। তিনি বলেন, আমি আমার নিজের দেশে পড়াশোনা ও কাজ করতে পারি না। আমি স্বাধীনতা চাই, আমি আমার মতো করে পড়াশোনা করতে চাই, কাজ করতে চাই। এর আগে, ২০১৭ সালের এপ্রিলে আরেক সৌদি নারীকে নিয়ে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। দিনা আলি লাসলুম নামের সেই নারী কুয়েত থেকে ম্যানিলা হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সহ বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন টুইটারে লিখেছেন, রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান হোটেল কক্ষের দরোজা আটকে বসে আছেন এবং কুয়েতে যাবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি আশ্রয় চাওয়ার জন্য জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন।
রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান তার পরিবারের সঙ্গে কুয়েতে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। দুদিন আগে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনি ব্যাংকক হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেখানে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু রোববার ব্যাংককে নামার পরই নাকি সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে একজন সৌদি কূটনীতিক এসে তার পাসপোর্ট জব্দ করেন। রাহাফ দাবি করছেন, তার পাসপোর্টে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা রয়েছে এবং তিনি কখনোই থাইল্যান্ডে থাকতে চাননি। অন্যদিকে ব্যাংককের সৌদি দূতাবাস দাবি করছে, রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনানের কোনো রিটার্ন টিকিট নেই, সেজন্যই তাকে আটকে রাখা হয়েছে। আর যেহেতু তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য কুয়েতে থাকে, তাই তাকে সেখানেই পাঠানো হচ্ছে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ফিল রবার্টসন বিবিসিকে জানিয়েছেন, থাই সরকার আসলে এখন একটা কাহিনী রটনার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বলছে, রাহাফ একটি ভিসার আবেদন করার চেষ্টা করেছিল, সেটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। তিনি বলেন, থাই কর্তৃপক্ষ সৌদি আরবের সঙ্গে সহযোগিতা করছে, সে কারণেই বিমানটি ব্যাংককে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই সৌদি কর্মকর্তারা রাহাফের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান। সৌদি আরবে নারীকে ‘পুরুষ অভিভাবকত্ব আইনের’ অধীনে চলতে হয়। তাই এর আগেও সৌদি নারী দিনা আলি লাসলুম দেশ থেকে পালাতে চায়। কিন্তু তাকে ম্যানিলা বিমানবন্দর থেকেই তার পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়। সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার পর তার কি পরিণতি হয়েছে তা জানা যায়নি।
মোহাম্মদ আল-কুনান বিবিসিকে বলেছেন, তিনি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছেন। তিনি আশঙ্কা করছেন, তার পরিবার এ জন্য তাকে হত্যা করবে। তিনি বলেন, আমি আমার নিজের দেশে পড়াশোনা ও কাজ করতে পারি না। আমি স্বাধীনতা চাই, আমি আমার মতো করে পড়াশোনা করতে চাই, কাজ করতে চাই। এর আগে, ২০১৭ সালের এপ্রিলে আরেক সৌদি নারীকে নিয়ে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। দিনা আলি লাসলুম নামের সেই নারী কুয়েত থেকে ম্যানিলা হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সহ বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন টুইটারে লিখেছেন, রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান হোটেল কক্ষের দরোজা আটকে বসে আছেন এবং কুয়েতে যাবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি আশ্রয় চাওয়ার জন্য জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন।
রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান তার পরিবারের সঙ্গে কুয়েতে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। দুদিন আগে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনি ব্যাংকক হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেখানে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু রোববার ব্যাংককে নামার পরই নাকি সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে একজন সৌদি কূটনীতিক এসে তার পাসপোর্ট জব্দ করেন। রাহাফ দাবি করছেন, তার পাসপোর্টে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা রয়েছে এবং তিনি কখনোই থাইল্যান্ডে থাকতে চাননি। অন্যদিকে ব্যাংককের সৌদি দূতাবাস দাবি করছে, রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনানের কোনো রিটার্ন টিকিট নেই, সেজন্যই তাকে আটকে রাখা হয়েছে। আর যেহেতু তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য কুয়েতে থাকে, তাই তাকে সেখানেই পাঠানো হচ্ছে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ফিল রবার্টসন বিবিসিকে জানিয়েছেন, থাই সরকার আসলে এখন একটা কাহিনী রটনার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বলছে, রাহাফ একটি ভিসার আবেদন করার চেষ্টা করেছিল, সেটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। তিনি বলেন, থাই কর্তৃপক্ষ সৌদি আরবের সঙ্গে সহযোগিতা করছে, সে কারণেই বিমানটি ব্যাংককে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই সৌদি কর্মকর্তারা রাহাফের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান। সৌদি আরবে নারীকে ‘পুরুষ অভিভাবকত্ব আইনের’ অধীনে চলতে হয়। তাই এর আগেও সৌদি নারী দিনা আলি লাসলুম দেশ থেকে পালাতে চায়। কিন্তু তাকে ম্যানিলা বিমানবন্দর থেকেই তার পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়। সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার পর তার কি পরিণতি হয়েছে তা জানা যায়নি।
No comments