নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করবে ঐক্যফ্রন্ট, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
বাংলাদেশের
সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণিত করার আভিযোগ করে
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের দাবির পক্ষে জনমত তৈরি করতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় সংলাপ, ও ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বিভিন্ন
জেলা সফর। আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসবভনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেনাবাহিনীকে নিস্ক্রিয় করে একাদশ নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে সরকার। এই নির্বাচন গোটা জাতি প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা পুনঃনির্বাচন দাবি করছি। মির্জা ফখরুল আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে; যে নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে, কেন্দ্র দখল হয়েছে, আগেই ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার। এর আগে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যে নির্বাচনের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই, জনগণ যে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়নি, সেই নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে গঠিত সরকারের কোনো নৈতিক অধিকার নেই বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের উপর কর্তৃত্ব করার। কারণ, জনগণ ভোট দিয়ে এ সরকারকে নির্বাচিত করে নাই। নতুন নির্বাচন দাবি চরমোনাই পীরের অপরদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর চরমোনাই) বলেছেন, নির্বাচনের পরও সারাদেশে নেতাকর্মীদের ওপর দলীয় ক্যাডার ও পুলিশের হামলা, মামলা বন্ধ হয়নি। মানুষের মৌলিক ও ভোটাধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। তিনি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা ও হয়রানি অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান। গত রাতে (সোমবার) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়ামের এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের আমীর আরো বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। তিনি প্রহসনের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দাবি করেন। সভায় ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রেসিডেন্টের বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সভায় ১৫ জানুয়ারি মজলিসে শুরা অধিবেশন এবং ১৬ জানুয়ারি ৩০০ আসনের প্রার্থীদের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। |
No comments