করণীয় নিয়ে কী ভাবছে ঐক্যফ্রন্ট by আব্দুল আলীম
নির্বাচনের
পর নিজেদের করণীয় নিয়ে ভাবছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।
নির্বাচনের আগে রাজপথে কঠোর কোনো কর্মসূচিতে না গেলেও ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক
আন্দোলনের সব ধরনের কর্মসূচি দেয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তারা। ভবিষ্যৎ
কর্মসূচি নির্ধারণ করতে আজ বিকালে বৈঠক করার কথা রয়েছে নেতাদের। ফ্রন্ট
সূত্র বলছে এই মুহূর্তে জোরালো কর্মসূচিতে না গিয়ে সভা-সমাবেশ,
মিছিল-মিটিংয়ের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে শীর্ষ
নেতারা। একইসঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দল এমনকি জোটের বাইরে থাকা ইসলামী
দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গঠন করে সরকারবিরোধী
আন্দোলনের দিকে যেতে চাইছেন তারা।
এর জন্য দেশের বাম রাজনৈতিক দলগুলোসহ ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে ইতিবাচক অবস্থানে আছে ঐক্যফ্রন্ট। ইতিমধ্যে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল অনিয়ম নিয়ে ভিডিও এবং পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনসহ বিভিন্ন নথিপত্র দেয়া হয়েছে বিদেশি কূটনৈতিকদের কাছে। ফ্রন্ট নেতারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করার আবেদন রেখেছেন বিদেশিদের কাছে।
ভবিষ্যতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কি করতে চায় সে বিষয়েও জানতে চেয়েছেন বিদেশি কূটনৈতিকরা।
ঐক্যফ্রন্টের এক নেতা বলেন, সারা দেশের সকল প্রার্থীদের ঢাকায় এনে ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে তাদের মতামত নেয়া হতে পারে খুব শিগগিরই। একই সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সকল দল নিজ নিজ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও করণীয় নিয়ে বৈঠক করবে। নিজেদের মতামত গ্রহণ করবে।
গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক মানবজমিনকে বলেন, আমরা অহিংস আন্দোলন করতে চাই। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে আন্দোলনের মধ্যে জনমত গঠন, প্রতিবাদ সভা-সমাবেশ করা হয়ে থাকে। আমরা সেগুলো করতে চাই। তবে এগুলোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জাতীয় এক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা বসে কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলনের যে কর্মসূচিগুলো আছে আমরা তার সবগুলো নিয়েই ভাবছি। সাধারণত আমরা সভা-সমাবেশ ও মিছিল-মিটিং নিয়ে ভাবছি। আগামীতে আমাদের করণীয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে চাই। এক্ষেত্রে সারা দেশের সকল প্রার্থীদের ঢাকায় আনা যেতে পারে। অন্যদিকে সরকারবিরোধী সকল রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আমরা আলোচনা করতে চাই।
ইসলামিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা অব্যাহত রাখতে চাই। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু মানবজমিনকে বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে শিগগিরই আমাদের কর্মসূচি আসবে। মঙ্গলবার আমরা নতুন কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য বৈঠক করব। কি ধরনের কর্মসূচি আমরা গ্রহণ করবো সে বিষয়ে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ বৈঠকে বসছে ঐক্যফ্রন্ট। ফ্রন্ট সূত্র জানিয়েছে, ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় বিকালে এ বৈঠক হবে। এতে শীর্ষ নেতারা পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এদিকে ঐক্যফ্রন্টের বাইরে বিএনপি নিজেদের করণীয় নিয়ে দলীয়ভাবে চিন্তাভাবনা করছে। নির্বাচনের পরই স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাৎক্ষণিক আলোচনা করেছেন। সূত্র জানায়, নির্বাচনে অনিয়মকে মোটা দাগে সামনে আনা হলেও সাংগঠনিক দুর্বলতাকেও অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বিএনপি নেতারা। তাই আন্দোলন কর্মসূচির পাশাপাশি সুশৃঙ্খল সংগঠন গড়ার দিকেও নজর দিচ্ছেন তারা।
এর জন্য দেশের বাম রাজনৈতিক দলগুলোসহ ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে ইতিবাচক অবস্থানে আছে ঐক্যফ্রন্ট। ইতিমধ্যে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল অনিয়ম নিয়ে ভিডিও এবং পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনসহ বিভিন্ন নথিপত্র দেয়া হয়েছে বিদেশি কূটনৈতিকদের কাছে। ফ্রন্ট নেতারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করার আবেদন রেখেছেন বিদেশিদের কাছে।
ভবিষ্যতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কি করতে চায় সে বিষয়েও জানতে চেয়েছেন বিদেশি কূটনৈতিকরা।
ঐক্যফ্রন্টের এক নেতা বলেন, সারা দেশের সকল প্রার্থীদের ঢাকায় এনে ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে তাদের মতামত নেয়া হতে পারে খুব শিগগিরই। একই সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সকল দল নিজ নিজ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও করণীয় নিয়ে বৈঠক করবে। নিজেদের মতামত গ্রহণ করবে।
গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক মানবজমিনকে বলেন, আমরা অহিংস আন্দোলন করতে চাই। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে আন্দোলনের মধ্যে জনমত গঠন, প্রতিবাদ সভা-সমাবেশ করা হয়ে থাকে। আমরা সেগুলো করতে চাই। তবে এগুলোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জাতীয় এক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা বসে কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলনের যে কর্মসূচিগুলো আছে আমরা তার সবগুলো নিয়েই ভাবছি। সাধারণত আমরা সভা-সমাবেশ ও মিছিল-মিটিং নিয়ে ভাবছি। আগামীতে আমাদের করণীয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে চাই। এক্ষেত্রে সারা দেশের সকল প্রার্থীদের ঢাকায় আনা যেতে পারে। অন্যদিকে সরকারবিরোধী সকল রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আমরা আলোচনা করতে চাই।
ইসলামিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা অব্যাহত রাখতে চাই। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু মানবজমিনকে বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে শিগগিরই আমাদের কর্মসূচি আসবে। মঙ্গলবার আমরা নতুন কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য বৈঠক করব। কি ধরনের কর্মসূচি আমরা গ্রহণ করবো সে বিষয়ে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ বৈঠকে বসছে ঐক্যফ্রন্ট। ফ্রন্ট সূত্র জানিয়েছে, ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় বিকালে এ বৈঠক হবে। এতে শীর্ষ নেতারা পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এদিকে ঐক্যফ্রন্টের বাইরে বিএনপি নিজেদের করণীয় নিয়ে দলীয়ভাবে চিন্তাভাবনা করছে। নির্বাচনের পরই স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাৎক্ষণিক আলোচনা করেছেন। সূত্র জানায়, নির্বাচনে অনিয়মকে মোটা দাগে সামনে আনা হলেও সাংগঠনিক দুর্বলতাকেও অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বিএনপি নেতারা। তাই আন্দোলন কর্মসূচির পাশাপাশি সুশৃঙ্খল সংগঠন গড়ার দিকেও নজর দিচ্ছেন তারা।
No comments