হতাশ ক্যাথরিন মাসুদ
সড়ক
দুর্ঘটনায় নিহত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ এবং এটিএন নিউজের
প্রধান নির্বাহী এবং আলোকচিত্রী মিশুক মুনীরের পরিবারের পক্ষ থেকে
ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা মামলার সাত বছর পেরিয়ে গেলেও নিষ্পত্তির কোন আভাশ না
মেলায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ।
মিশুক মুনীরের করা মামলায় পরাপর তিন দিন সাক্ষ্য দিতে না পারলে আজ সোমবার দৈনিক মানবজমিনকে এই হতাশার কথা জানান তিনি।
ক্যাথরিন মাসুদ বলেন, ' আজ আমার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা থাকলেও তা নেয়া হয়নি। প্রথমে ৮ই আগস্ট নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তীতে তা পিছিয়ে ১২ই আগস্ট করা হয়। এরপর সেটাও পরিবর্তন করে ১৩ই আগস্ট করা হয়। কিন্তু আজও সে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। আমি বলবো আমরা একটু হতাশ। তারপরও দ্রুত প্রক্রিয়ার মধ্যে সমাধান হবে এমনটিই আশা করছি '।
তবে তারিখ বারবার পরিবর্তন করার প্রশ্নে তিনি মানবজমিনকে জানান, তিনি দেশের বাইরে থাকেন। আসন্ন ১৫ তারিখ আবার আমেরিকা চলে যাবেন। তাই তার স্বাক্ষ্য গ্রহণ নেওয়া দেরি হলে মামলাটির নি®পত্তি হতে আরও সময় লাগবে। ঠিক এই কারণেই বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা বারবার সময় চাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিপূরনের এ মামলাটি একটি চ্যালেঞ্জ। কেননা এ মামলার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনের। যাতে অন্যরাও ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। আজকের দিনকে শোকের দিন উল্লেখ করে তিনি জানান, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ সড়কে প্রাণ হারাচ্ছে। দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে সেই পরিবারকেই কষ্ট করতে হয়। ঠিক সেই কারণেই এ মামলায় ক্ষতিপূরনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আদালতের মাধ্যমে এটা দ্রুত সমাধান হবে এমনটি প্রত্যাশা করছি। সুবিচার পাবো সেটিও আশা করছি।’
আজ আদালত এ মামলায় আগামী ১৬ই অক্টোবর পুলিশের জবানবন্দি গ্রহনের জন্য দিন ঠিক করে মুলতবি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মানিকগঞ্জের ঘিওরে সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ ৫ জন নিহত হলে ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জে মোটরযান অর্ডিন্যান্সে ১২৮ ধারায় বাস মালিক, চালক ও ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে দুটি মামলা করেন।
পরবর্তীতে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, হাইকোর্টে বদলির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হলে মামলা দুটি হাইকোর্টে চলে আসে। দীর্ঘ শুনানি শেষে গত বছরের ৩রা ডিসেম্বর তারেক মাসুদের পরিবারকে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বাসমালিক, চালক ও সংশ্লিষ্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে নির্দেশ দেন বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
কিন্তু এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করায় মামলাটি আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে।
অপ্রদিকে, মিশুক মুনীরের মামলাটি হাইকোর্টের বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের বেঞ্চে শুনানির পর্যায়ে রয়েছে।
মিশুক মুনীরের করা মামলায় পরাপর তিন দিন সাক্ষ্য দিতে না পারলে আজ সোমবার দৈনিক মানবজমিনকে এই হতাশার কথা জানান তিনি।
ক্যাথরিন মাসুদ বলেন, ' আজ আমার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা থাকলেও তা নেয়া হয়নি। প্রথমে ৮ই আগস্ট নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তীতে তা পিছিয়ে ১২ই আগস্ট করা হয়। এরপর সেটাও পরিবর্তন করে ১৩ই আগস্ট করা হয়। কিন্তু আজও সে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। আমি বলবো আমরা একটু হতাশ। তারপরও দ্রুত প্রক্রিয়ার মধ্যে সমাধান হবে এমনটিই আশা করছি '।
তবে তারিখ বারবার পরিবর্তন করার প্রশ্নে তিনি মানবজমিনকে জানান, তিনি দেশের বাইরে থাকেন। আসন্ন ১৫ তারিখ আবার আমেরিকা চলে যাবেন। তাই তার স্বাক্ষ্য গ্রহণ নেওয়া দেরি হলে মামলাটির নি®পত্তি হতে আরও সময় লাগবে। ঠিক এই কারণেই বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা বারবার সময় চাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিপূরনের এ মামলাটি একটি চ্যালেঞ্জ। কেননা এ মামলার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনের। যাতে অন্যরাও ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। আজকের দিনকে শোকের দিন উল্লেখ করে তিনি জানান, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ সড়কে প্রাণ হারাচ্ছে। দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে সেই পরিবারকেই কষ্ট করতে হয়। ঠিক সেই কারণেই এ মামলায় ক্ষতিপূরনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আদালতের মাধ্যমে এটা দ্রুত সমাধান হবে এমনটি প্রত্যাশা করছি। সুবিচার পাবো সেটিও আশা করছি।’
আজ আদালত এ মামলায় আগামী ১৬ই অক্টোবর পুলিশের জবানবন্দি গ্রহনের জন্য দিন ঠিক করে মুলতবি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মানিকগঞ্জের ঘিওরে সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ ৫ জন নিহত হলে ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জে মোটরযান অর্ডিন্যান্সে ১২৮ ধারায় বাস মালিক, চালক ও ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে দুটি মামলা করেন।
পরবর্তীতে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, হাইকোর্টে বদলির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হলে মামলা দুটি হাইকোর্টে চলে আসে। দীর্ঘ শুনানি শেষে গত বছরের ৩রা ডিসেম্বর তারেক মাসুদের পরিবারকে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বাসমালিক, চালক ও সংশ্লিষ্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে নির্দেশ দেন বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
কিন্তু এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করায় মামলাটি আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে।
অপ্রদিকে, মিশুক মুনীরের মামলাটি হাইকোর্টের বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের বেঞ্চে শুনানির পর্যায়ে রয়েছে।
No comments