অসম প্রেম, তবে যৌন জীবন মধুময়
অনলাইনেই
পরিচয়। অনলাইনেই প্রেম। তবে ভীষণ অসম সেই প্রেম। কারণ, প্রেমিকা আভালান
গারভে মাত্র ১৯ বছর বয়সী বৃটিশ টিনেজার। আর তার প্রেমিক ক্যালিফোর্নিয়ার ৪৪
বছর বয়সী পুরুষ ডগ ট্রেসার। তিনি আভালান গারভের পিতার চেয়েও বয়সে বড়। শুধু
তাই নয়। দু’বার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে তার। সেই পুরুষের প্রেমে সাড়া দিয়ে
নতুন জীবন খুঁজে পেয়েছে বৃটেনের ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ব্রাডফোর্ডের মেয়ে
আভালান। তবে তাদের যৌন জীবন খুব সুখের বলে জানিয়েছেন আভালান নিজে। বলেছেন,
তাদের যৌন জীবনের আনন্দ সীমাহীন। যখন সে সিক্সথ ফর্মে পড়ে তখনই অনলাইনে
তাদের জানাশোনা হয়ে যায়। তারপর থেকে নিজের বয়ফ্রেন্ডকে ত্যাগ করে আভালান।
অনলাইন ভিত্তিক একটি বার্তা আদানপ্রদান বিষয়ক বা ম্যাসেজিং ওয়েবসাইটে
প্রথমে তাদের পরিচয়। তারপর তাদের একের প্রতি অন্যের আগ্রহ বেড়ে যায়। এক
পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়, তারা সাক্ষাত করবে। তবে ডগ তার অবস্থানে সৎ বলে
মন্তব্য করেছে আভালান। বলেছে, প্রেমের শুরুতে ডগ তাকে তার স্ত্রী ও
সন্তানদের বিষয়ে জানিয়েছে। আর তার বসবাস বৃটেন থেকে ৮৫০০ মাইল দূরে সান
ফ্রান্সিসকোতে। তাতে কি প্রেম তো আর দূরত্ব বোঝে না। তাই কয়েক মাসের
জানাশোনার পর ডগ সিদ্ধান্ত নেন তিনিই একটি ফ্লাইট ধরে চলে আসবেন লন্ডনের
লিডস-এ। সেখানে সাক্ষাতকার করবেন তার নতুন প্রেমিকার সঙ্গে। সত্যি তিনি চলে
আসেন। তাকে দেখার পর প্রথম অনুভূতি সম্পর্কে আভালান বলেছেন, তাকে
দেখামাত্র আমি প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। ওই সময়েই এক ট্রিপে যান তারা এবং সে
সময়েই তারা প্রথম যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। আভালান বলেন, তখন আমার বয়স ছিল
১৭ বছর। আইনগতভাবে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বয়স হতে হয় ১৬। সুতরাং আমি ডগের
সঙ্গে যে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছি তা পুরোপুরি বৈধ। নিজেদের যৌন জীবন
সম্পর্কে আভালান বলেন, যখন আমরা একে অন্যের কাছে আসি তখন তা হয়ে ওঠে অসীম
আনন্দের। তাকে নিয়ে আমি খুশি। তাদের মধ্যে এই যৌন সম্পর্ক এখন অব্যাহত
রয়েছে। প্রতি মাসেই তাদের সাক্ষাত হয়। হয়তো ডগ ট্রেসার ছুটে আসেন লিডসে তার
প্রেমিকার কাছে। না হয় আভালান ছুটে যান সান ফ্রান্সিকোতে। এভাবেই চলছে
দু’বছর। বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্কের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আভালান। এক
রাতে ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাত করাতে ডগকে ক্যাম্পাসে নিয়ে
গিয়েছেন তিনি।
No comments