গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
গ্লোবাল
উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করতে আগামী বৃহস্পতিবার দুপুরে
অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি সিডনিতে
অনুষ্ঠেয় ‘২০১৮ গ্লোবাল সামিট অব উইমেন’ শীর্ষক সভায় অংশ নেবেন। সফরকালে
তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ
মাহমুদ আলী একথা জানান। মন্ত্রী জানান, জেন্ডার সমতা নিশ্চিতে ব্যাপক
অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সিডনিতে ওই সভায় অংশগ্রহণের জন্য
আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। এ
আমন্ত্রণ গ্রহণ করে শেখ হাসিনা আগামী ২৬ থেকে ২৮শে এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ায়
সরকারি সফর করবেন। ২৭শে এপ্রিল সন্ধ্যায় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের
উপস্থিতিতে গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন। পরদিন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়
বৈঠকে মিলিত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী,
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সদস্য, পররাষ্ট্র সচিব এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থাকবেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনজিও ‘গ্লোবাল সামিট অব উইমেন’ বাংলাদেশ এবং এশিয়া ও
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নারী শিক্ষা এবং নারী উদ্যোক্তাদের কর্মকাণ্ড
প্রসারে অভূতপূর্ব নেতৃত্ব প্রদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনাকে গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ
জানিয়েছে। ‘গ্লোবাল সামিট অব উইমেন’ প্রতিবছর নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে
উৎসাহিত এবং সারা বিশ্বে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করে।
এতে নারীর সামগ্রিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বিশিষ্ট
ব্যক্তিদের বিশেষভাবে সম্মাননা দেয়া হয়। এ বছর সভাটি সিডনিতে আগামী
২৬-২৮শে এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড একটি
আজীবন সম্মাননামূলক স্বীকৃতি। গত বছর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এ
পদক পান। এ ছাড়া জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, ইউনেস্কোর সাবেক
মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা, জাতিসংঘের সাবেক শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার সাদাকো
ওগাতা, চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাশেলেট, আয়ারল্যান্ডের সাবেক
রাষ্ট্রপতি মেরি রবিনসনসহ অনেক প্রথিতযশা ব্যক্তি এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা
গ্রহণ করেছেন। শুক্রবার (২৭শে এপ্রিল) সম্মাননা গ্রহণ উপলক্ষে
প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন, সমসুযোগ, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারীকে
জাতীয় উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্তকরণের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের গৃহীত
উদ্যোগ, অবদান এবং সাফল্য তুলে ধরে বক্তব্য দেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
‘এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অগ্রগামী
ভূমিকা বিশ্বে জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে যা, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে
বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো সুদৃঢ় করতে সহায়ক হবে। তা ছাড়া, স্বল্পোন্নত দেশ
থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সন্ধিক্ষণে এই স্বীকৃতির ফলে বর্তমান সরকারের
নারীর অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের
প্রচেষ্টা আরো দৃশ্যমান হবে।’
No comments