বর্মী সেনা রিপোর্টেও গণহত্যার স্বীকৃতি!
বৃটিশ
সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে গিয়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর
থলের বিড়াল অবশেষে বেরিয়ে পড়েছে। হাউস অব কমন্সের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এমপি
তাদের বিদেশমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ইইউকে লেখা চিঠিতে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা
আরোপে চিঠি দিয়েছিলেন। ওই চিঠিকে নাকচ করতে গিয়ে মিয়ানমারের আর্মি
প্রথমবারের মতো আরাকানের গণহত্যার বিষয়ে তাদের করা ‘গোপন তদন্ত রিপোর্ট’
প্রকাশ করেছে। আর তাতে দেখা যাচ্ছে, সেখানে গণহত্যা যে ঘটেছে, সেটা তারা
স্বীকার করেছে। তবে তাদের দাবি হলো, এই জেনোসাইড ও এথনিক ক্লিনজিং’
মিলিটারি করেনি, করেছে আরসা। ৭ই মার্চে বৃটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান মিয়ানমারের
সামরিক বাহিনীর ওই চিঠির বিষয়বস্তু প্রকাশ করেছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মতে, এমপিরা প্রকৃত পরিস্থিতির দিকে অন্ধ ও একচোখা নীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। তারা বলেছেন যে, সম্প্রতি বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন থেকে লেখা এক চিঠিতে কয়েক ডজন বৃটিশ সংসদ সদস্য দাবি করেছেন যে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা চলছে এবং সেটা বন্ধ করতে তাদেরকে অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। কিন্তু এটা সত্যের অপলাপ মনে করে বর্মী আর্মি।
গার্ডিয়ান বলেছে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নারীরা সহিংসতার শিকার হয়েছেন। তারা ব্যাপকভিত্তিক নির্বিচার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মনে করে সেখানে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
বৃটিশ এমপিদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিতে গিয়ে তারা তাদের তথাকথিত তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে নাকচ করা হয়নি যে, বড় ধরনের সহিংসতা ও গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করার ঘটনা ঘটেনি। তাদের দাবি হলো, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী করেনি। করেছে তথাকথিত অবৈধ অভিবাসীরা। এজন্য তারা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-আরসাকে দায়ী করেছে।
ওই তদন্ত রিপোর্টের কথায়, ‘ব্যাপকভিত্তিক গণহত্যা এবং এথনিক ক্লিনজিং হয়েছে। বুথিডং-মংডু অঞ্চলের একটি জাতিগত সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে গণহত্যা ও এথনিক ক্লিনজিং চলেছে।’ তারা দাবি করেছে, এই সংখ্যালঘু হলো বুদ্ধরা। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-আরসা, তাদের মতে, এজন্য দায়ী। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ‘হার্ড এভিডেন্স’ সংগ্রহ করেছে। তারা আরো দাবি করেছে যে গত বছরের আগস্টে ১০০০০ থেকে ২০০০০ রোহিঙ্গার একটি দল ব্যাপকভিত্তিতে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছে। তাতে আরো দাবি করা হয়েছে যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কিংবা ব্যাপকভিত্তিক ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। বরং এ সবই করেছে আরসা।
তারা তাদের ডকুমেন্টে আরো হাস্যকর দাবি করেছে যে, উগ্রপন্থি বাঙালি সন্ত্রাসীরা বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। আর সে কারণেই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তারা তাদেরকে হুমকি, মারধর, অকথ্য নির্যাতন এবং গ্রামের পর গ্রাম আক্রমণ চালিয়েছে। বাংলাদেশ তাদেরকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।’ এমনটাই আজগুবি হলো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নিজস্ব তদন্ত প্রতিবেদনের বক্তব্য।
গার্ডিয়ান লিখেছে, মিলিটারির বিরুদ্ধে যখন পর্বতপ্রমাণ অভিযোগ রয়েছে, যখন তারা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ ব্যাপক ভিত্তিক গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী দ্বারা অভিযুক্ত, তখন তারা বলছে যে, এসব তারা করেনি। বরং এই মুহূর্তে মিয়ানমারে রয়টার্সের দুজন সাংবাদিক বিচারের সম্মুখীন। তারা গণকবরের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরিতে নিয়োজিত ছিলেন।
গত সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সহকারী সচিব এন্ডু্র গিলমার বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এথনিক ক্লিনজিং এখনো পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশীয় ডেপুটি পরিচালক ফিল রবার্টসন বলছেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নির্লজ্জ মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত। তাদের কোনো লজ্জা নেই এবং তারা গত কয়েক দশক ধরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘন চালিয়েছে তা তারা গোপন রাখতে সক্ষম হয়েছিল। তার কথায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত হবে সিনিয়র জেনারেল মিন অং হিলাংসহ অন্যান্য বর্মী সামরিক বাহিনীর অধিনায়কদের অবিলম্বে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। তাদের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনতে হবে। এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর যুক্তরাজ্যের পরিচালক কেট অ্যালেন বলেছেন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধ করেনি, বরং রোহিঙ্গারা করেছে বলে যে দাবি করেছে, সেটা ডাহা মিথ্যা।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মতে, এমপিরা প্রকৃত পরিস্থিতির দিকে অন্ধ ও একচোখা নীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। তারা বলেছেন যে, সম্প্রতি বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন থেকে লেখা এক চিঠিতে কয়েক ডজন বৃটিশ সংসদ সদস্য দাবি করেছেন যে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা চলছে এবং সেটা বন্ধ করতে তাদেরকে অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। কিন্তু এটা সত্যের অপলাপ মনে করে বর্মী আর্মি।
গার্ডিয়ান বলেছে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নারীরা সহিংসতার শিকার হয়েছেন। তারা ব্যাপকভিত্তিক নির্বিচার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মনে করে সেখানে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
বৃটিশ এমপিদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিতে গিয়ে তারা তাদের তথাকথিত তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে নাকচ করা হয়নি যে, বড় ধরনের সহিংসতা ও গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করার ঘটনা ঘটেনি। তাদের দাবি হলো, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী করেনি। করেছে তথাকথিত অবৈধ অভিবাসীরা। এজন্য তারা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-আরসাকে দায়ী করেছে।
ওই তদন্ত রিপোর্টের কথায়, ‘ব্যাপকভিত্তিক গণহত্যা এবং এথনিক ক্লিনজিং হয়েছে। বুথিডং-মংডু অঞ্চলের একটি জাতিগত সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে গণহত্যা ও এথনিক ক্লিনজিং চলেছে।’ তারা দাবি করেছে, এই সংখ্যালঘু হলো বুদ্ধরা। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-আরসা, তাদের মতে, এজন্য দায়ী। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ‘হার্ড এভিডেন্স’ সংগ্রহ করেছে। তারা আরো দাবি করেছে যে গত বছরের আগস্টে ১০০০০ থেকে ২০০০০ রোহিঙ্গার একটি দল ব্যাপকভিত্তিতে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছে। তাতে আরো দাবি করা হয়েছে যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কিংবা ব্যাপকভিত্তিক ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। বরং এ সবই করেছে আরসা।
তারা তাদের ডকুমেন্টে আরো হাস্যকর দাবি করেছে যে, উগ্রপন্থি বাঙালি সন্ত্রাসীরা বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। আর সে কারণেই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তারা তাদেরকে হুমকি, মারধর, অকথ্য নির্যাতন এবং গ্রামের পর গ্রাম আক্রমণ চালিয়েছে। বাংলাদেশ তাদেরকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।’ এমনটাই আজগুবি হলো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নিজস্ব তদন্ত প্রতিবেদনের বক্তব্য।
গার্ডিয়ান লিখেছে, মিলিটারির বিরুদ্ধে যখন পর্বতপ্রমাণ অভিযোগ রয়েছে, যখন তারা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ ব্যাপক ভিত্তিক গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী দ্বারা অভিযুক্ত, তখন তারা বলছে যে, এসব তারা করেনি। বরং এই মুহূর্তে মিয়ানমারে রয়টার্সের দুজন সাংবাদিক বিচারের সম্মুখীন। তারা গণকবরের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরিতে নিয়োজিত ছিলেন।
গত সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সহকারী সচিব এন্ডু্র গিলমার বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এথনিক ক্লিনজিং এখনো পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশীয় ডেপুটি পরিচালক ফিল রবার্টসন বলছেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নির্লজ্জ মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত। তাদের কোনো লজ্জা নেই এবং তারা গত কয়েক দশক ধরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘন চালিয়েছে তা তারা গোপন রাখতে সক্ষম হয়েছিল। তার কথায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত হবে সিনিয়র জেনারেল মিন অং হিলাংসহ অন্যান্য বর্মী সামরিক বাহিনীর অধিনায়কদের অবিলম্বে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। তাদের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনতে হবে। এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর যুক্তরাজ্যের পরিচালক কেট অ্যালেন বলেছেন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধ করেনি, বরং রোহিঙ্গারা করেছে বলে যে দাবি করেছে, সেটা ডাহা মিথ্যা।
No comments