পুলিশ টিএসসির নরপশুদের চেয়ে কম নয় -ইসমত জাহানের অভিমত
পহেলা বৈশাখে নারীদের লাঞ্ছিত করা ও যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার প্রতিবাদে ১০ মে ডিএমপি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হন ইসমত জাহান জোঁ। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী। শহরের দেওভোগ শুক্কুর কারী মসজিদ গলির একটি বাড়িতে থাকেন তিনি। কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, ‘ভালো নেই। শরীরে ব্যথার যন্ত্রণা আর ফুলের টব দিয়ে চোখে আঘাত করায় ডান চোখে ঝাপসা দেখছি। গরম পানির ফোস্কা পড়েছে শরীরের বিভিন্ন অংশে।’
পুলিশের শাস্তি হয়েছে- এ বিষয় ক্ষোভের সঙ্গে ইসমত বললেন, ‘তাকে তো সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এটা কি কোনো বড় শাস্তি হল। একটা সময় দেখবেন তার প্রমোশন হয়ে গেছে। তাছাড়া সেখানে কি একজন পুলিশই ছিল? অন্যরা তো বহাল তবিয়তে আছে। পুলিশ টিএসসির নরপশুদেও চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’
১০ মে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা পৌনে ১২টায় প্রায় ৩ শতাধিক কর্মী টিএসসি থেকে একটি মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসলে পুলিশ মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এরপর আমরা সেই বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে গেলে কার্জন হল এবং দোয়েল চত্বরেও পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ মাইক্রোফোনের তার কেটে দেয় এবং সভাপতি হাসান তারেকের সঙ্গে কথা বলার নাম করে তাকে রাস্তার একপাশে নিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ সময় কর্মীরা বাধা দিতে গেলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ, হেলমেট দিয়ে আঘাত, ফুলের টব ছুড়ে মারা এবং রাস্তায় ফেলে লাথি মারতে থাকে।’ ইসমত জাহান জানান, ‘পুলিশ আমাকে ধর ধর বলে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। দৌড়ে পালাতে গেলে পেছন থেকে খোঁপায় ধরে ফেলে দিয়ে আমাকে পেটাতে শুরু করে। এ সময় একজন সাংবাদিক না মারার জন্য অনুরোধ করলে অবশেষে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়।’
পুলিশের শাস্তি হয়েছে- এ বিষয় ক্ষোভের সঙ্গে ইসমত বললেন, ‘তাকে তো সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এটা কি কোনো বড় শাস্তি হল। একটা সময় দেখবেন তার প্রমোশন হয়ে গেছে। তাছাড়া সেখানে কি একজন পুলিশই ছিল? অন্যরা তো বহাল তবিয়তে আছে। পুলিশ টিএসসির নরপশুদেও চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’
১০ মে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা পৌনে ১২টায় প্রায় ৩ শতাধিক কর্মী টিএসসি থেকে একটি মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসলে পুলিশ মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এরপর আমরা সেই বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে গেলে কার্জন হল এবং দোয়েল চত্বরেও পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ মাইক্রোফোনের তার কেটে দেয় এবং সভাপতি হাসান তারেকের সঙ্গে কথা বলার নাম করে তাকে রাস্তার একপাশে নিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ সময় কর্মীরা বাধা দিতে গেলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ, হেলমেট দিয়ে আঘাত, ফুলের টব ছুড়ে মারা এবং রাস্তায় ফেলে লাথি মারতে থাকে।’ ইসমত জাহান জানান, ‘পুলিশ আমাকে ধর ধর বলে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। দৌড়ে পালাতে গেলে পেছন থেকে খোঁপায় ধরে ফেলে দিয়ে আমাকে পেটাতে শুরু করে। এ সময় একজন সাংবাদিক না মারার জন্য অনুরোধ করলে অবশেষে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়।’
No comments