বুথ–ফেরত জরিপের জন্য এবার কঠিন পরীক্ষা
১৯৪৮ সালের কথা৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে বুথ-ফেরত ভোটারদের ওপর জরিপ চালানো হয়৷ বেিশর ভাগ জরিপে এগিয়ে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী টমাস ই ডিওয়ে৷ বেিশর ভাগ গণমাধ্যমে তাঁকে ৩১তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে খবর প্রকাশ করা হয়৷ কিন্তু আনুষ্ঠানিক ফলাফলে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির হ্যাির এস ট্রুম্যান৷ ভারতেও বুথ-ফেরত ভোটারদের ওপর পরিচালিত জরিপে ব্যর্থতার পাল্লা বেশ ভারী৷ ১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচন বাদ দিলে, বিগত চারটি লোকসভা নির্বাচনেই তার প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ এসব জরিপে যেসব পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃত ফল তার ধারেকাছেও নেই৷ বিশেষ করে ২০০৪ ও ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর পরিচালিত জরিপগুলোর ফলাফল এ ধরনের জরিপের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে৷ এবারের জরিপের ফলাফল সঠিক না হলে ভারতে এ ধরনের জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়তে পারে৷
দিল্লিভিত্তিক জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটির (সিএসডিএস) প্রবীণ রায় আশা করছেন, এবার আর তেমনটি ঘটবে না৷ এবারের জরিপগুলোর পূর্বাভাস সত্যি হলে গত দুটি লোকসভা নির্বাচন নিয়ে দেওয়া পূর্বাভাস সত্যি না হওয়ার পাপমোচন হবে৷ আর এবার ভুল প্রমাণিত হলে, পুরো মতামত-জরিপ শিল্প অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হবে৷ জাতীয়তাবাদী ভাবধারায় ভর করে ১৯৯৬ সালের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)৷ তখন অটল বিহারির নেতৃত্বে দলটি সরকার গঠন করলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য অন্যান্য দলের সমর্থন না পাওয়ায় ১৩ দিনের মাথায় সরকারের পতন ঘটে৷ এরপর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) ১৯৯৮ সালের নির্বাচনে ৩১৫টির বেশি পাবে বলে বিভিন্ন জরিপে আভাস দেওয়া হয়েছিল৷ তবে তারা পেয়েছিল ২৯৬টি৷
২০০৪ সালে পরিচালিত বুথ-ফেরত জরিপ ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে আছে আজও৷ সে সময় কোনো জরিপই আন্দাজ করতে পারেনি, কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় ফিরছে৷ তখন কেউ বলেছিল, বিজেপি বড় ব্যবধানে, অন্যরা বলেছিল সামান্য ব্যবধানে জিতবে৷ বিজেপি যে হারছে, তেমন আভাস দিতে সব জরিপই ব্যর্থ হয়েছিল৷ ২০০৯ সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) এগিয়ে থাকবে বলে সবাই আভাস দিলেও একটা প্রবণতা ধরতে তারা ঠিকই ব্যর্থ হয়েছিল৷ কংগ্রেস সেবার নিজেদের ভোট বাড়াতে না পারলেও অতিরিক্ত ৪০টি আসন ঠিকই নিজেদের ঝুলিতে ভরেছিল৷ হিন্দুস্তান টাইমস৷
দিল্লিভিত্তিক জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটির (সিএসডিএস) প্রবীণ রায় আশা করছেন, এবার আর তেমনটি ঘটবে না৷ এবারের জরিপগুলোর পূর্বাভাস সত্যি হলে গত দুটি লোকসভা নির্বাচন নিয়ে দেওয়া পূর্বাভাস সত্যি না হওয়ার পাপমোচন হবে৷ আর এবার ভুল প্রমাণিত হলে, পুরো মতামত-জরিপ শিল্প অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হবে৷ জাতীয়তাবাদী ভাবধারায় ভর করে ১৯৯৬ সালের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)৷ তখন অটল বিহারির নেতৃত্বে দলটি সরকার গঠন করলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য অন্যান্য দলের সমর্থন না পাওয়ায় ১৩ দিনের মাথায় সরকারের পতন ঘটে৷ এরপর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) ১৯৯৮ সালের নির্বাচনে ৩১৫টির বেশি পাবে বলে বিভিন্ন জরিপে আভাস দেওয়া হয়েছিল৷ তবে তারা পেয়েছিল ২৯৬টি৷
২০০৪ সালে পরিচালিত বুথ-ফেরত জরিপ ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে আছে আজও৷ সে সময় কোনো জরিপই আন্দাজ করতে পারেনি, কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় ফিরছে৷ তখন কেউ বলেছিল, বিজেপি বড় ব্যবধানে, অন্যরা বলেছিল সামান্য ব্যবধানে জিতবে৷ বিজেপি যে হারছে, তেমন আভাস দিতে সব জরিপই ব্যর্থ হয়েছিল৷ ২০০৯ সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) এগিয়ে থাকবে বলে সবাই আভাস দিলেও একটা প্রবণতা ধরতে তারা ঠিকই ব্যর্থ হয়েছিল৷ কংগ্রেস সেবার নিজেদের ভোট বাড়াতে না পারলেও অতিরিক্ত ৪০টি আসন ঠিকই নিজেদের ঝুলিতে ভরেছিল৷ হিন্দুস্তান টাইমস৷
No comments