তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা- ‘‘নূর হোসেন গুমের শিকার হতে পারেন’’:র্যাব-১১’র নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্প তল্লাশির দাবি
নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
আজ বুধবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে সংশ্লিষ্টদের পক্ষে তাঁদের প্রতিনিধিরা
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে আইন কর্মকর্তার কাছে এসব প্রতিবেদন জমা দেন
বলে সূত্র জানায়। তবে প্রতিবেদনে কী আছে, বিস্তারিত জানা যায়নি।
সূত্র জানায়, আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পক্ষে তাঁদের প্রতিনিধিরা আদালতের নির্দেশ অনুসারে সংশ্লিষ্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেন। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশ অনুসারে ঘটনা তদন্তে গঠিত সাত সদস্যের কমিটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। কমিটির সদস্য ও আইন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিজানুর রহমান খান প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি সন্তোষজনক। তদন্ত শেষ করতে সময় প্রয়োজন। তাই চার সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে।
৫ মে বিচারপতি রেজাউল হকও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারির পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন৷ এতে সাতজনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কোনো গাফিলতি আছে কি না, এটিসহ পুরো ঘটনা তদন্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ এ ঘটনায় র্যাবের সম্পৃক্ততা আছে কি না, এ বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত করতে র্যাবের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ এ ছাড়া এ ঘটনায় করা মামলা গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পাশাপাশি সিআইডিকে (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়৷
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আদালত নির্দেশনার পাশাপাশি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন। কাল ১৫ মে বিষয়টি কার্যতালিকায় আসার তারিখ ধার্য রয়েছে। আগামীকাল প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে বলেও তিনি জানান। @প্রথম আলো
‘‘নূর হোসেন গুমের শিকার হতে পারেন’’:র্যাব-১১’র নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্প তল্লাশির দাবি
তিন
র্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেফতার ও র্যাব-১১’র নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্প তল্লাশির
দাবি জানিয়েছেন নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম৷ তাঁর
আশঙ্কা প্রধান অভিযুক্ত নূর হোসেনকে গুম করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হতে পারে৷
তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, তদন্তের নামে ঢাকঢোল পেটানো হলেও আসামিদের গ্রেফতার
না করা রহস্যজনক৷
নারায়ণগঞ্জের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয় ২৭ এপ্রিল৷ আর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয় ৩০ এপ্রিল৷ তারপর ১০ দিন কেটে গেলেও আসামি এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই৷ আর মূল অভিযুক্ত আরেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনকে নিয়ে নতুন নাটক চলছে বলে দাবি করেন নিহত নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম৷
ডয়চে ভেলেকে তিনি জানান, ‘‘প্রথমে হাতের কাছে পেয়েও নূর হোসেনকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ৷ আর এখন প্রচার করা হচ্ছে নূর হোসেন দেশের বাইরে পালিয়ে গেছে৷” তিনি আশঙ্কা করেন, ‘‘নূর হোসেন শেষ পর্যন্ত গুমের শিকার হতে পারেন৷ কারণ নূর হোসেন গ্রেফতার হলে সব কিছু প্রকাশ পাবে৷
এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন র্যাব কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালীদের নাম প্রকাশ করে দেবে সে৷ আর সে কারণেই হয়তো নূর হোসেনকেও আর পাওয়া নাও যেতে পারে৷” শহিদুল ইসলাম দাবি করেন, ‘‘নূর হোসেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণেই আছে৷ তাঁকে দিয়ে হয়তো নতুন কোনো নাটকের অধ্যায় তৈরি হচ্ছে৷”
তিনি বলেন, ‘‘র্যাব-১১’র কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল তারেক সাইদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং র্যাবের নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের প্রধান লে. কমান্ডার মাসুদ রানা – এই তিনজনকে এখনো গ্রেফতার বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি৷ নূর হোসেনকে পাওয়া না গেলেও এই তিনজনতো পালিয়ে যাননি৷ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে৷” শহিদুল ইসলাম প্রশ্ন করেন, ‘‘কি কারণে এখনো এই তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না?” তিনি দাবি করেন, ‘‘এই তিন কর্মকর্তা যে ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে সাতজনকে হত্যা করেছেন তা এখন পুরোপুরি পরিষ্কার৷ হত্যার পর লাশ নদীতে ডোবাতে যে ইট, দড়ি এবং বস্তা ব্যবহার করা হয়েছে তা সবই র্যাবের নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের৷” তারপরও বিষযটি নিয়ে সময় পার করা হচ্ছে বলে তাঁর দাবি৷ তিনি বলেন, ‘‘নারায়ণগঞ্জের র্যাব ক্যাম্পে তল্লাশি চালানো হলে হত্যাকাণ্ডের সব আলামত পাওয়া যাবে৷ কিন্তু তাও করা হচ্ছে না৷”
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘‘নূর হোসেনকে পাওয়া গেলেই সব কিছু জানা যাবে, পুলিশ এই দাবি করছে৷ কিন্তু তাকে আদৌ পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে এখন সন্দেহ আছে৷ আর তাকে পাওয়া না গেলেও তিন র্যাব কর্মকর্তাইতো সব জানেন৷ তাদের কেন ধরা হচ্ছে না৷”
তিনি বলেন, ‘‘এখন মামলার তদন্ত নয়, এটা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে৷ তিন র্যাব কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে৷ রাজনীতি নয়, আমি হত্যার বিচার চাই৷”
নারায়ণগঞ্জের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয় ২৭ এপ্রিল৷ আর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয় ৩০ এপ্রিল৷ তারপর ১০ দিন কেটে গেলেও আসামি এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই৷ আর মূল অভিযুক্ত আরেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনকে নিয়ে নতুন নাটক চলছে বলে দাবি করেন নিহত নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম৷
ডয়চে ভেলেকে তিনি জানান, ‘‘প্রথমে হাতের কাছে পেয়েও নূর হোসেনকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ৷ আর এখন প্রচার করা হচ্ছে নূর হোসেন দেশের বাইরে পালিয়ে গেছে৷” তিনি আশঙ্কা করেন, ‘‘নূর হোসেন শেষ পর্যন্ত গুমের শিকার হতে পারেন৷ কারণ নূর হোসেন গ্রেফতার হলে সব কিছু প্রকাশ পাবে৷
এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন র্যাব কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালীদের নাম প্রকাশ করে দেবে সে৷ আর সে কারণেই হয়তো নূর হোসেনকেও আর পাওয়া নাও যেতে পারে৷” শহিদুল ইসলাম দাবি করেন, ‘‘নূর হোসেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণেই আছে৷ তাঁকে দিয়ে হয়তো নতুন কোনো নাটকের অধ্যায় তৈরি হচ্ছে৷”
তিনি বলেন, ‘‘র্যাব-১১’র কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল তারেক সাইদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং র্যাবের নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের প্রধান লে. কমান্ডার মাসুদ রানা – এই তিনজনকে এখনো গ্রেফতার বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি৷ নূর হোসেনকে পাওয়া না গেলেও এই তিনজনতো পালিয়ে যাননি৷ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে৷” শহিদুল ইসলাম প্রশ্ন করেন, ‘‘কি কারণে এখনো এই তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না?” তিনি দাবি করেন, ‘‘এই তিন কর্মকর্তা যে ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে সাতজনকে হত্যা করেছেন তা এখন পুরোপুরি পরিষ্কার৷ হত্যার পর লাশ নদীতে ডোবাতে যে ইট, দড়ি এবং বস্তা ব্যবহার করা হয়েছে তা সবই র্যাবের নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের৷” তারপরও বিষযটি নিয়ে সময় পার করা হচ্ছে বলে তাঁর দাবি৷ তিনি বলেন, ‘‘নারায়ণগঞ্জের র্যাব ক্যাম্পে তল্লাশি চালানো হলে হত্যাকাণ্ডের সব আলামত পাওয়া যাবে৷ কিন্তু তাও করা হচ্ছে না৷”
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘‘নূর হোসেনকে পাওয়া গেলেই সব কিছু জানা যাবে, পুলিশ এই দাবি করছে৷ কিন্তু তাকে আদৌ পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে এখন সন্দেহ আছে৷ আর তাকে পাওয়া না গেলেও তিন র্যাব কর্মকর্তাইতো সব জানেন৷ তাদের কেন ধরা হচ্ছে না৷”
তিনি বলেন, ‘‘এখন মামলার তদন্ত নয়, এটা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে৷ তিন র্যাব কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালীদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে৷ রাজনীতি নয়, আমি হত্যার বিচার চাই৷”
@probasebangladesh.com
No comments