ভারতের লোকসভা নির্বাচন- উজ্জীবিত বিজেপির নানা তৎপরতা
বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার গঠন করার মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে—বুথ-ফেরত জরিপে এ আভাস পাওয়ার পর করণীয় নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার নানামুখী তৎপরতা শুরু করেছেন দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা৷ এদিকে ভোট গ্রহণের শেষ দিন সোমবার বুথ-ফেরত জরিপের যেসব ফল প্রকাশিত হয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে কংগ্রেস দল৷ তারা আরও বলেছে, নির্বাচনের ফলাফল যা-ই হোক, তা রাহুল গান্ধীর সাফল্য-ব্যর্থতার মূল্যায়ন নয়৷ বুথ-ফেরত সব জরিপের ফলাফলেই কংগ্রেসের ভরাডুবি ও ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার স্পষ্ট আভাস পাওয়া গেছে৷ বিপরীতে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্তত ২৭২ আসন পাবে বলে দেখা যাচ্ছে৷ বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার গঠন করতে চলেছে—জরিপে এ আভাস পাওয়ার পর নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সলাপরামর্শে ব্যস্ত ছিলেন দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা৷ বিজেপির একটি সূত্র জানায়, যেহেতু দলটির জন্য সরকার গঠনের সম্ভাবনা অনেকটাই নিশ্চিত, তাই ১৬ মের ভোট গণনা-পরবর্তী প্রত্যাশিত দৃশ্যের প্রেক্ষাপটে কৌশল নির্ধারণ করতে বিজেপি নেতারা বৈঠক করছেন৷
দলের শীর্ষ পর্যায়ের আলাপ-আলোচনার অংশ হিসেবে বিজেপির সাবেক সভাপতি নীতিন গড়কাির গতকাল প্রভাবশালী নেতা লালকৃষ্ণ আদভানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন৷ এর আগের দিন তিনি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন৷ জয়ের হাওয়া বুঝে গত কয়েক দিন ধরেই বিজেপির শীর্ষস্থানীয় অন্য নেতারা পরস্পরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে৷ দলের সভাপতি রাজনাথ সিং দেখা করেছেন সুষমা স্বরাজের সঙ্গে৷ মোদি সংঘ নেতাদের পাশাপাশি বৈঠক করেছেন রাজনাথ সিংসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে৷ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমণ সিংও মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন গত সোমবার৷ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুজরাটের গান্ধীনগরে মোদি রাজ্য বিধানসভার সব বিজেপি সদস্যকে এক বৈঠকে ডাকেন৷ মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর উত্তরসূরি খোঁজার চেষ্টাতেই এ বৈঠক আহ্বান করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছিল৷ তবে বিজেপির কিছু সূত্র জানায়, এটি দলের নিয়মিত বৈঠক৷ জরিপের ফল প্রত্যাখ্যান কংগ্রেসের বুথ-ফেরত ভোটারদের জনমত জরিপের অবমাননাকর ফলের এক দিন পর গতকাল মঙ্গলবার দলটি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে৷
কংগ্রেস ঘোষণা করে, বুথ-ফেরত জরিপের ফলাফল নিয়ে কোনো বিতর্কেও তারা অংশ নেবে না৷ কংগ্রেসের মুখপাত্র শাকিল আহমেদ বলেন, 'দলের প্রচলিত রীতিনীতি মেনে আমরা এসব জরিপ নিয়ে বিতর্কে অংশ নেব না৷ গতবারের নির্বাচনে বুথ-ফেরত জরিপগুলোর ফলাফলে আমাদের প্রাপ্ত আসনের চেয়ে ৬৮টি আসন কম দেখানো হয়েছিল৷' কংগ্রেস নেতারা বলছেন, ২০০৪ ও ২০০৯ সালের নির্বাচনে বুথ-ফেরত জিরপেও বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের আসন নিয়ে 'ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে' ফলাফল প্রকাশ করা হয়৷ অথচ শেষ পর্যন্ত জয়ী হয় কংগ্রেস৷ রাহুল গান্ধীর অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত জ্যেষ্ঠ নেতা জয়রাম রমেশ এ বিষয়ে বলেন, 'তাঁরা (বিজেপি নেতারা) আগের মতোই এবারও ভুল প্রমাণিত হবেন৷ কংগ্রেস যথেষ্ট ভালো ফল করবে এবং বিজেপি কাঙ্ক্ষিত ফল পাবে না৷'
এবারের লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে কংগ্রেসের হাল ধরেন দলটির চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধীর ছেলে অপেক্ষাকৃত তরুণ সহসভাপতি রাহুল গান্ধী (৪৩)৷ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার সামনে থেকেছেন তিনি৷ কিন্তু বুথ-ফেরত জরিপে দলটির বিপর্যয়কর ফলাফলের যে আভাস দেওয়া হয়েছে, সে দায় সহসভাপতি রাহুলের ওপর চাপাতে নারাজ কংগ্রেস৷ গতকাল ইিঙ্গত দেওয়া হয়, জরিপের আভাস পুরোপুরি মিলে গিয়ে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে কংগ্রেসের ভরাডুবি যদি নিশ্চিতও হয়, তবুও তাকে রাহুলের ব্যর্থতা বলে মনে করা হবে না৷ এ ব্যাপারে মুখপাত্র শাকিল বলেন, 'রাহুল গান্ধী এই সরকারে নেই৷ (ফলাফলের জন্য) আমাদের সবাইকে দায়দায়িত্ব নেওয়া উচিত৷' তবে তিনি আশা প্রকাশ করে এ-ও বলেন, 'আমরা অবশ্যই ভালো ফল করব এবং আপনারা সবাই বিস্মিত হবেন৷' মুখপাত্রের কথার মতোই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কমল নাথ বলেন, 'নির্বাচনী ফলাফল হবে সরকারের সাফল্যের ওপর নির্ভর করে৷ রাহুল গান্ধী এ সরকারের কোনো অংশ নন৷'
প্রধান বিরোধী দল বিজেপি বলেছে, সমালোচনার তির থেকে সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর ছেলেকে বাঁচাতে কংগ্রেস দলটির প্রবীণ নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে শেষমেশ 'বলির পাঁঠা' বানাতে পারে৷ জরিপের ফলাফলকে ঘিরে কংগ্রেসের এই প্রতিক্রিয়ার জবাবে বিজেপির মুখপাত্র প্রকাশ জাভাদেকার বলেন, 'খারাপ কিছু হলে কংগ্রেসের নীতি-নির্ধারকেরা অন্যদের ওপর দোষ চাপান৷ তবে ভালো কিছু ঘটলে তার সব কৃিতত্ব দলের চেয়ারপারসন ও সহসভাপতিকে দেন৷ তাই, (পরাজয়ের জন্য) প্রধানমন্ত্রী ও অন্যদের দোষী করা হবে৷ তাঁদের উচিত, সম্মিলিত দায়ভার নিয়ে কথা বলা৷' বিজেপির মুখপাত্র দাবি করেন, বুথ-ফেরত জরিপে দেওয়া আভাসের চেয়েও ভালো ফলাফল করবেন তাঁরা৷ তাঁর আশা, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ৩০০ আসন অতিক্রম করবে৷ সরকার গঠনের জন্য লোকসভায় ২৭২টি আসনের প্রয়োজন৷
কংগ্রেসকে ত্যাগ করবে এনসিপি?
জরিপ অনুযায়ী ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের বিদায়ের সম্ভাবনা জোরালো হয়ে ওঠায় দলটির জোটের শরিক ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) বিজেপির প্রতি ঝোঁকার ইঙ্গিত দিয়েছে৷ দলের অন্যতম নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য প্রফুল প্যাটেল গতকাল বলেন, তাঁর দল 'স্থিতিশীল সরকার' দেখতে চায়৷ আর বিজেপি যদি একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে তবে তার জনসমর্থনের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত৷
জরিপ প্রত্যাখ্যান নীতিশ ও ওমরের
প্রকাশিত জরিপের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ৷ জনতা দলের (জেডি-ইউ) বাজে ফল করার আভাস প্রত্যাখ্যান করে গতকাল নীতিশ বলেন, ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে৷ বিহারে জেডি-ইউ ৪০টির মধ্যে মাত্র পাঁচটির মতো আসন পেতে পারে বলে জরিপে আভাস দেওয়া হয়৷ অন্যদিকে ওমর আবদুল্লাহ বলেন, 'একমাত্র যে বুথ-ফেরত জরিপে কিছু আসে-যায় তা হচ্ছে শুক্রবার যা হবে৷ বাকি সব সময় কাটানোর দারুণ উপায় মাত্র৷' উল্লেখ্য, শুক্রবার নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে৷ এনডিটিভি, পিটিআই ও টাইমস অব ইন্ডিয়া৷
দলের শীর্ষ পর্যায়ের আলাপ-আলোচনার অংশ হিসেবে বিজেপির সাবেক সভাপতি নীতিন গড়কাির গতকাল প্রভাবশালী নেতা লালকৃষ্ণ আদভানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন৷ এর আগের দিন তিনি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন৷ জয়ের হাওয়া বুঝে গত কয়েক দিন ধরেই বিজেপির শীর্ষস্থানীয় অন্য নেতারা পরস্পরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে৷ দলের সভাপতি রাজনাথ সিং দেখা করেছেন সুষমা স্বরাজের সঙ্গে৷ মোদি সংঘ নেতাদের পাশাপাশি বৈঠক করেছেন রাজনাথ সিংসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে৷ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমণ সিংও মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন গত সোমবার৷ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুজরাটের গান্ধীনগরে মোদি রাজ্য বিধানসভার সব বিজেপি সদস্যকে এক বৈঠকে ডাকেন৷ মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর উত্তরসূরি খোঁজার চেষ্টাতেই এ বৈঠক আহ্বান করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছিল৷ তবে বিজেপির কিছু সূত্র জানায়, এটি দলের নিয়মিত বৈঠক৷ জরিপের ফল প্রত্যাখ্যান কংগ্রেসের বুথ-ফেরত ভোটারদের জনমত জরিপের অবমাননাকর ফলের এক দিন পর গতকাল মঙ্গলবার দলটি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে৷
কংগ্রেস ঘোষণা করে, বুথ-ফেরত জরিপের ফলাফল নিয়ে কোনো বিতর্কেও তারা অংশ নেবে না৷ কংগ্রেসের মুখপাত্র শাকিল আহমেদ বলেন, 'দলের প্রচলিত রীতিনীতি মেনে আমরা এসব জরিপ নিয়ে বিতর্কে অংশ নেব না৷ গতবারের নির্বাচনে বুথ-ফেরত জরিপগুলোর ফলাফলে আমাদের প্রাপ্ত আসনের চেয়ে ৬৮টি আসন কম দেখানো হয়েছিল৷' কংগ্রেস নেতারা বলছেন, ২০০৪ ও ২০০৯ সালের নির্বাচনে বুথ-ফেরত জিরপেও বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের আসন নিয়ে 'ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে' ফলাফল প্রকাশ করা হয়৷ অথচ শেষ পর্যন্ত জয়ী হয় কংগ্রেস৷ রাহুল গান্ধীর অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত জ্যেষ্ঠ নেতা জয়রাম রমেশ এ বিষয়ে বলেন, 'তাঁরা (বিজেপি নেতারা) আগের মতোই এবারও ভুল প্রমাণিত হবেন৷ কংগ্রেস যথেষ্ট ভালো ফল করবে এবং বিজেপি কাঙ্ক্ষিত ফল পাবে না৷'
এবারের লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে কংগ্রেসের হাল ধরেন দলটির চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধীর ছেলে অপেক্ষাকৃত তরুণ সহসভাপতি রাহুল গান্ধী (৪৩)৷ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার সামনে থেকেছেন তিনি৷ কিন্তু বুথ-ফেরত জরিপে দলটির বিপর্যয়কর ফলাফলের যে আভাস দেওয়া হয়েছে, সে দায় সহসভাপতি রাহুলের ওপর চাপাতে নারাজ কংগ্রেস৷ গতকাল ইিঙ্গত দেওয়া হয়, জরিপের আভাস পুরোপুরি মিলে গিয়ে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে কংগ্রেসের ভরাডুবি যদি নিশ্চিতও হয়, তবুও তাকে রাহুলের ব্যর্থতা বলে মনে করা হবে না৷ এ ব্যাপারে মুখপাত্র শাকিল বলেন, 'রাহুল গান্ধী এই সরকারে নেই৷ (ফলাফলের জন্য) আমাদের সবাইকে দায়দায়িত্ব নেওয়া উচিত৷' তবে তিনি আশা প্রকাশ করে এ-ও বলেন, 'আমরা অবশ্যই ভালো ফল করব এবং আপনারা সবাই বিস্মিত হবেন৷' মুখপাত্রের কথার মতোই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কমল নাথ বলেন, 'নির্বাচনী ফলাফল হবে সরকারের সাফল্যের ওপর নির্ভর করে৷ রাহুল গান্ধী এ সরকারের কোনো অংশ নন৷'
প্রধান বিরোধী দল বিজেপি বলেছে, সমালোচনার তির থেকে সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর ছেলেকে বাঁচাতে কংগ্রেস দলটির প্রবীণ নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে শেষমেশ 'বলির পাঁঠা' বানাতে পারে৷ জরিপের ফলাফলকে ঘিরে কংগ্রেসের এই প্রতিক্রিয়ার জবাবে বিজেপির মুখপাত্র প্রকাশ জাভাদেকার বলেন, 'খারাপ কিছু হলে কংগ্রেসের নীতি-নির্ধারকেরা অন্যদের ওপর দোষ চাপান৷ তবে ভালো কিছু ঘটলে তার সব কৃিতত্ব দলের চেয়ারপারসন ও সহসভাপতিকে দেন৷ তাই, (পরাজয়ের জন্য) প্রধানমন্ত্রী ও অন্যদের দোষী করা হবে৷ তাঁদের উচিত, সম্মিলিত দায়ভার নিয়ে কথা বলা৷' বিজেপির মুখপাত্র দাবি করেন, বুথ-ফেরত জরিপে দেওয়া আভাসের চেয়েও ভালো ফলাফল করবেন তাঁরা৷ তাঁর আশা, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ৩০০ আসন অতিক্রম করবে৷ সরকার গঠনের জন্য লোকসভায় ২৭২টি আসনের প্রয়োজন৷
কংগ্রেসকে ত্যাগ করবে এনসিপি?
জরিপ অনুযায়ী ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের বিদায়ের সম্ভাবনা জোরালো হয়ে ওঠায় দলটির জোটের শরিক ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) বিজেপির প্রতি ঝোঁকার ইঙ্গিত দিয়েছে৷ দলের অন্যতম নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য প্রফুল প্যাটেল গতকাল বলেন, তাঁর দল 'স্থিতিশীল সরকার' দেখতে চায়৷ আর বিজেপি যদি একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে তবে তার জনসমর্থনের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত৷
জরিপ প্রত্যাখ্যান নীতিশ ও ওমরের
প্রকাশিত জরিপের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ৷ জনতা দলের (জেডি-ইউ) বাজে ফল করার আভাস প্রত্যাখ্যান করে গতকাল নীতিশ বলেন, ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে৷ বিহারে জেডি-ইউ ৪০টির মধ্যে মাত্র পাঁচটির মতো আসন পেতে পারে বলে জরিপে আভাস দেওয়া হয়৷ অন্যদিকে ওমর আবদুল্লাহ বলেন, 'একমাত্র যে বুথ-ফেরত জরিপে কিছু আসে-যায় তা হচ্ছে শুক্রবার যা হবে৷ বাকি সব সময় কাটানোর দারুণ উপায় মাত্র৷' উল্লেখ্য, শুক্রবার নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে৷ এনডিটিভি, পিটিআই ও টাইমস অব ইন্ডিয়া৷
No comments