নির্বাচন নিয়ে পাঁচ প্রশ্ন
ভারতে গতকাল সোমবার শেষ হলো লোকসভা নির্বাচন৷ ছয় সপ্তাহ ধরে নয় পর্বে ভোট নেওয়া হয়৷ নির্বাচন নিয়ে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা ও তার উত্তর নিচে দেওয়া হলো:
এই নির্বাচন এত বেশি সময় নিল কেন?
ভারতজুড়ে প্রায় ৮১ কোটি ৪০ লাখ ভোটার৷ ফলে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নির্বাচনে পরিণত হয় এটি৷ আয়োজকদের ভাষ্যমতে, সারা দেশে এক দিনে ভোট নেওয়া অসম্ভব একটা ব্যাপার৷ কারণ, দেশজুড়ে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা নয় লাখ ৩০ হাজারটি৷ এক দিনে এতটি কেন্দ্রের নিরাপত্তা দেওয়া এবং কেন্দ্রগুলোতে ভোট গ্রহণ পরিচালনা সত্যিই একটা কঠিন কাজ৷ মূলত এ কারণেই নয় পর্বে এ নির্বাচন হলো৷ আগামী শুক্রবার ফলাফল ঘোষণা করা হবে৷
ফলাফল কী হতে পারে?
বিভিন্ন জরিপ ও বিশ্লেষকদের ভাষ্যমতে, ভোটাররা লাগামছাড়া দুর্নীতি, বেকারত্ব ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যস্ফীতি নিয়ে অসন্তুষ্ট৷ তাই তাঁরা নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার পক্ষে রায় দিতে পারেন৷ গতকাল নির্বাচন-পরবর্তী জনমত জরিপেও দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেসের হার অনেকটা নিশ্চিত৷
জরিপ কী বলছে?
লোকসভার মোট আসন ৫৪৩টি৷ বিভিন্ন জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, নির্বাচনে বিজেপি জিতে প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি৷ অবশ্য বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসন পাবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন জরিপের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে৷ আবার অতীতে বিভিন্ন জরিপে যেসব আভাস দেওয়া হয়েছে, তা পরে ভুল প্রমাণিতও হয়েছে৷ বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস জিতবে, তা আন্দাজ করতে ব্যর্থ হয়েছিল জরিপগুলো৷ আবার গত বছর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করতেও ব্যর্থ হয়েছিল তারা৷ ওই নির্বাচনে একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবেই ভালো ফল করে সরকার গঠন করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (এএপি)৷
নতুন সরকার কবে দায়িত্ব নেবে?
কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে, নিয়মানুযায়ী দেশের রাষ্ট্রপতি সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দলকে অন্য দলের সমর্থন নিয়ে জোট গঠনের আহ্বান জানাবেন৷ সেিট হলে নতুন সরকার দায়িত্ব নিতে বেশ সময় লেগে যেতে পারে৷ অনেক সময় কয়েক সপ্তাহও লেগে যায়৷ কারণ, ছোট যেসব দলকে জোটে ভেড়ানোর চেষ্টা করা হয়, তারা নানা দাবিদাওয়া তুলে ধরে৷ তাদের সঙ্গে দর-কষাকষি করতে হয়৷
বিজেপি সরকার গড়লে, তার ধরন কেমন হতে পারে?
নরেন্দ্র মোদি বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতির চাকা সচল করার ওপর গুরুত্ব দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ অবশ্য, সমালোচকেরা বলছেন, মোদি বিভাজনের রাজনীতি করে থাকেন৷ তিনি ২০০২ সালের আলোচিত গুজরাট দাঙ্গা থামাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন৷ সূত্র: এএফপি
এই নির্বাচন এত বেশি সময় নিল কেন?
ভারতজুড়ে প্রায় ৮১ কোটি ৪০ লাখ ভোটার৷ ফলে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নির্বাচনে পরিণত হয় এটি৷ আয়োজকদের ভাষ্যমতে, সারা দেশে এক দিনে ভোট নেওয়া অসম্ভব একটা ব্যাপার৷ কারণ, দেশজুড়ে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা নয় লাখ ৩০ হাজারটি৷ এক দিনে এতটি কেন্দ্রের নিরাপত্তা দেওয়া এবং কেন্দ্রগুলোতে ভোট গ্রহণ পরিচালনা সত্যিই একটা কঠিন কাজ৷ মূলত এ কারণেই নয় পর্বে এ নির্বাচন হলো৷ আগামী শুক্রবার ফলাফল ঘোষণা করা হবে৷
ফলাফল কী হতে পারে?
বিভিন্ন জরিপ ও বিশ্লেষকদের ভাষ্যমতে, ভোটাররা লাগামছাড়া দুর্নীতি, বেকারত্ব ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যস্ফীতি নিয়ে অসন্তুষ্ট৷ তাই তাঁরা নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার পক্ষে রায় দিতে পারেন৷ গতকাল নির্বাচন-পরবর্তী জনমত জরিপেও দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেসের হার অনেকটা নিশ্চিত৷
জরিপ কী বলছে?
লোকসভার মোট আসন ৫৪৩টি৷ বিভিন্ন জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, নির্বাচনে বিজেপি জিতে প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি৷ অবশ্য বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসন পাবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন জরিপের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে৷ আবার অতীতে বিভিন্ন জরিপে যেসব আভাস দেওয়া হয়েছে, তা পরে ভুল প্রমাণিতও হয়েছে৷ বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস জিতবে, তা আন্দাজ করতে ব্যর্থ হয়েছিল জরিপগুলো৷ আবার গত বছর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করতেও ব্যর্থ হয়েছিল তারা৷ ওই নির্বাচনে একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবেই ভালো ফল করে সরকার গঠন করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (এএপি)৷
নতুন সরকার কবে দায়িত্ব নেবে?
কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে, নিয়মানুযায়ী দেশের রাষ্ট্রপতি সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দলকে অন্য দলের সমর্থন নিয়ে জোট গঠনের আহ্বান জানাবেন৷ সেিট হলে নতুন সরকার দায়িত্ব নিতে বেশ সময় লেগে যেতে পারে৷ অনেক সময় কয়েক সপ্তাহও লেগে যায়৷ কারণ, ছোট যেসব দলকে জোটে ভেড়ানোর চেষ্টা করা হয়, তারা নানা দাবিদাওয়া তুলে ধরে৷ তাদের সঙ্গে দর-কষাকষি করতে হয়৷
বিজেপি সরকার গড়লে, তার ধরন কেমন হতে পারে?
নরেন্দ্র মোদি বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতির চাকা সচল করার ওপর গুরুত্ব দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ অবশ্য, সমালোচকেরা বলছেন, মোদি বিভাজনের রাজনীতি করে থাকেন৷ তিনি ২০০২ সালের আলোচিত গুজরাট দাঙ্গা থামাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন৷ সূত্র: এএফপি
No comments