ভয়ংকর দুর্গ by সারিনা হোসেন
এক শ বছর আগের কথা। গভীর জঙ্গলে ঘেরা এক রাজ্য ছিল,
নাম—পিক্সিডুমল্যান্ড। সেখানে মানুষ বসবাস করত জঙ্গলের ভেতর। খাবার জোগাড়
করতে তারা বনের পশুপাখি শিকার করত। খুব যে আনন্দে তাদের দিন কাটত, তা নয়।
বরং ভীষণ কষ্ট করে তারা জীবনযাপন করত। কারণ, পিক্সিডুমল্যান্ড ছিল এক
মৃত্যুপুরী!
সেখানে
গভীর জঙ্গলের ভেতর একটা ভয়ংকর দুর্গ ছিল। বিদঘুটে প্রাণী, মমি, জীবন্ত
কাকতাড়ুয়া, ড্রাকুলা আর বিষধর সাপ সেই দুর্গে ঘাপটি মেরে থাকত। থাকত ভয়ংকর
সব জীবজন্তু! একদিন কিছু মানুষ ঠিক করল, তারা আজ সেই দুর্গে ঢুঁ মেরে
দেখবে।
‘উফ! আমাদের এখানে আসা উচিত হয়নি।’ নির্জন জঙ্গলে কর্নেলের
কথাটা চিৎকারের মতো শোনাল। ‘অবশ্য আমাদের অভিযানটা বেশ মজারও হতে পারে।
শুনেছি, এই দুর্গে একটা ডাইনি বাস করে!’
সংখ্যায় ওরা ছিল ১০ জন। কর্নেল, মেলিসা, ভেনেসা, বিউটি, জন, মিকেলি, রোজিটা, অ্যান্ডি, স্যাম আর জো। শুরু হলো তাদের ভুতুড়ে অভিযান!
পায়ে পায়ে ওরা দুর্গের ভেতর প্রবেশ করল। হঠাৎই শোনা গেল একটা তীক্ষ্ন শব্দ!
আঁতকে উঠে বলল মিকেলি, ‘কী! কী ওটা?’
একটা কিছু ওদের দিকে এগিয়ে আসছিল। একটা ছায়ার মতো, কিন্তু ঠিক দেখা যাচ্ছিল না। অদৃশ্য প্রাণীটা খপ করে মিকেলির একটা পা আঁকড়ে ধরল। টেনেহিঁচড়ে কোথায় যেন নিয়ে যেতে লাগল। প্রচণ্ড আতঙ্কে মিকেলি চোখ বন্ধ করে ফেলেছিল। যখন চোখ খুলল, দেখল বিশাল একটা ভুতুড়ে জায়গায় পড়ে আছে সে। তাঁর গলায় একটা দড়ি বাঁধা। বিষাক্ত কতগুলো কাঁকড়া চারদিকে কিলবিল করছে!
‘আআআআআআ! অদৃশ্য ডাইনিটা আমাকে মেরে ফেলবে!’ চিৎকার করে বলল সে।
তখনই ডাইনিটা চোখের সামনে দেখা দিল। একটা জাদুর কাপড় দিয়ে সে মিকেলির মুখটা ঢেকে দিল। মিকেলি প্রায় কিছুই দেখতে পাচ্ছিল না। শুধু হাত জোর করে বলছিল, ‘না না! প্লিজ, আমাকে মেরো না!’
কিন্তু ডাইনিটা কোনো কথাই শুনল না। সে মিকেলিকে হত্যা করল। আর তাঁর মাথাটা রেখে দিল ডাইনির ভুতুড়ে সংগ্রহশালা—ডুমঘরে!
এদিকে বাকিরা তখন ভয়ে কাঁপছিল। ‘কী হলো মিকেলির?’ চাপা স্বরে বলল মেলিসা। ‘ও কি খুব খারাপভাবে আঘাত পেল? নাকি...নাকি ও আর বেঁচে নেই!’
‘আমিও তাই ভাবছি।’ কর্নেল বলল। ‘জায়গাটা খুবই ভয়ংকর। যে করেই হোক, আমাদের এখান থেকে বেরিয়ে যেতে হবে!’
‘আমি আর কখনো এখানে ফিরে আসব না। কখনো না। কখ্খনো না!’ মেলিসা প্রায় কেঁদে ফেলল।
অদৃশ্য থেকেও ডাইনিটা সব শুনতে পেল। সে হাত নাড়ল, আর বিড়বিড় করে কী যেন মন্ত্র পড়ল। ‘ইইক! আমি ওদের দুজনকেই মেরে ফেলব। একজনও বেঁচে ফিরতে পারবে না। আমার রক্ত টগবগ করছে! আজ সবগুলোকে খুন করব!’ বলতে বলতে ডাইনিটা অদৃশ্য হয়ে গেল।
অভিযাত্রীরা তখন ফেরার পথ ধরেছে। কিন্তু দরজার কাছে গিয়েই আবিষ্কার করল—দরজাটা বন্ধ! ‘এটা হতে পারে না! এখন...এখন আমরা...’ মেলিসা কথা শেষ করতে পারল না। কারণ, সে কাঁদছিল!
‘উফ! আমাদেরই ভুল হয়েছে। কেন যে বোকার মতো এই জঘন্য জায়গাটায় এলাম! মনে হচ্ছে আর কখনোই আমরা এখান থেকে বের হতে পারব না। কে জানে কী আছে কপালে!’ কর্নেলও কেঁদে উঠল।
সংখ্যায় ওরা ছিল ১০ জন। কর্নেল, মেলিসা, ভেনেসা, বিউটি, জন, মিকেলি, রোজিটা, অ্যান্ডি, স্যাম আর জো। শুরু হলো তাদের ভুতুড়ে অভিযান!
পায়ে পায়ে ওরা দুর্গের ভেতর প্রবেশ করল। হঠাৎই শোনা গেল একটা তীক্ষ্ন শব্দ!
আঁতকে উঠে বলল মিকেলি, ‘কী! কী ওটা?’
একটা কিছু ওদের দিকে এগিয়ে আসছিল। একটা ছায়ার মতো, কিন্তু ঠিক দেখা যাচ্ছিল না। অদৃশ্য প্রাণীটা খপ করে মিকেলির একটা পা আঁকড়ে ধরল। টেনেহিঁচড়ে কোথায় যেন নিয়ে যেতে লাগল। প্রচণ্ড আতঙ্কে মিকেলি চোখ বন্ধ করে ফেলেছিল। যখন চোখ খুলল, দেখল বিশাল একটা ভুতুড়ে জায়গায় পড়ে আছে সে। তাঁর গলায় একটা দড়ি বাঁধা। বিষাক্ত কতগুলো কাঁকড়া চারদিকে কিলবিল করছে!
‘আআআআআআ! অদৃশ্য ডাইনিটা আমাকে মেরে ফেলবে!’ চিৎকার করে বলল সে।
তখনই ডাইনিটা চোখের সামনে দেখা দিল। একটা জাদুর কাপড় দিয়ে সে মিকেলির মুখটা ঢেকে দিল। মিকেলি প্রায় কিছুই দেখতে পাচ্ছিল না। শুধু হাত জোর করে বলছিল, ‘না না! প্লিজ, আমাকে মেরো না!’
কিন্তু ডাইনিটা কোনো কথাই শুনল না। সে মিকেলিকে হত্যা করল। আর তাঁর মাথাটা রেখে দিল ডাইনির ভুতুড়ে সংগ্রহশালা—ডুমঘরে!
এদিকে বাকিরা তখন ভয়ে কাঁপছিল। ‘কী হলো মিকেলির?’ চাপা স্বরে বলল মেলিসা। ‘ও কি খুব খারাপভাবে আঘাত পেল? নাকি...নাকি ও আর বেঁচে নেই!’
‘আমিও তাই ভাবছি।’ কর্নেল বলল। ‘জায়গাটা খুবই ভয়ংকর। যে করেই হোক, আমাদের এখান থেকে বেরিয়ে যেতে হবে!’
‘আমি আর কখনো এখানে ফিরে আসব না। কখনো না। কখ্খনো না!’ মেলিসা প্রায় কেঁদে ফেলল।
অদৃশ্য থেকেও ডাইনিটা সব শুনতে পেল। সে হাত নাড়ল, আর বিড়বিড় করে কী যেন মন্ত্র পড়ল। ‘ইইক! আমি ওদের দুজনকেই মেরে ফেলব। একজনও বেঁচে ফিরতে পারবে না। আমার রক্ত টগবগ করছে! আজ সবগুলোকে খুন করব!’ বলতে বলতে ডাইনিটা অদৃশ্য হয়ে গেল।
অভিযাত্রীরা তখন ফেরার পথ ধরেছে। কিন্তু দরজার কাছে গিয়েই আবিষ্কার করল—দরজাটা বন্ধ! ‘এটা হতে পারে না! এখন...এখন আমরা...’ মেলিসা কথা শেষ করতে পারল না। কারণ, সে কাঁদছিল!
‘উফ! আমাদেরই ভুল হয়েছে। কেন যে বোকার মতো এই জঘন্য জায়গাটায় এলাম! মনে হচ্ছে আর কখনোই আমরা এখান থেকে বের হতে পারব না। কে জানে কী আছে কপালে!’ কর্নেলও কেঁদে উঠল।
No comments