শাহ বুলবুলের মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা
আর্জেন্টাইন বিপ্লবী নেতা আর্নেস্তো চে
গুয়েভারার জীবন এতই বর্ণিল- তাকে নিয়ে হাজার পৃষ্ঠার বই লিখলেও লেখা যায়।
আর সেই কাজটি যখন মাত্র ২৫৬ পৃষ্ঠায় শেষ করা যায়, তখন বুঝতে হবে অত্যন্ত
সুবিন্যস্তভাবে বাছাই করা ঘটনাবলি নিয়েই রচিত হয়েছে বইটি। আর এ কাজটি
সুনিপুণভাবে সম্পন্ন করেছেন লেখক শাহ বুলবুল।
মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা সফল একজন কমরেডের জীবনীগ্রন্থ হলেও এটিকে চের জীবন নিয়ে গবেষণাগ্রন্থ বললে ভুল হবে না। এ ধরনের বইগুলো সাধারণত গবেষণা ও অনুবাদনির্ভর হয়। কিন্তু বুলবুলের বইটিতে রয়েছে একটি অতিরিক্ত মাত্রা। আর তা হচ্ছে শব্দ ব্যবহারে মুন্সিয়ানা, বর্ণনা হচ্ছে গল্পের মতো। যে গল্পে রয়েছে পাত্রপাত্রীর সংলাপও। এ কারণেই একটি অনুবাদনির্ভর গবেষণাগ্রন্থ হয়ে উঠেছে প্রায়মৌলিক। মঞ্চে নাট্যকার নির্দেশক মামুনুর রশীদের নাটক চের সাইকেল দেখে দর্শক যখন হা-হুতাশ করেন, আহ্, চের জীবনী এত সংক্ষিপ্ত হয়- তখন তার জন্য সান্ত্বনা হতে পারে মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা বইটি।
বলিভিয়ার ডায়েরি লিখেছিলেন চে। আর সেটি হচ্ছে ইতিহাসখ্যাত গেরিলা বাহিনীর রোজনামচা। ১৯৬৬ সালের ৭ নভেম্বর গেরিলা বাহিনীর নাকাহুয়াজু ক্যাম্প থেকে ডায়েরির সূচনা। শেষ হয় ১৯৬৭ সালের ৭ অক্টোবর লা হিগুয়েরা গ্রামে কুয়েব্রাডা যুদ্ধের আগে। ৮ অক্টোবর সে যুদ্ধে চে গুয়েভারাকে আহত অবস্থায় বন্দি ও নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়। লাশের মতোই গুম করা হয়েছিল ডায়েরিটি। বিপ্লবীর স্বীকৃতি এ ডায়েরির ফটোকপি আসে কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর হাতে। ডায়েরিতে গেরিলা বাহিনীর দিনকার কথা লিখে রাখতে চে।
আর্নেস্তো চে গুয়েভারা ছিলেন কবি এবং কবিতার একনিষ্ঠ ভক্ত। মেক্সিকোর হাসপাতালে ডাক্তার হিসেবে কাজ করার সময় চের রোগী ছিল অসহায় বৃদ্ধা মারিয়া। যিনি মৃত্যুর জন্য দিন গুনছিলেন। চে চিকিৎসা দিয়ে মারিয়াকে বাঁচানোর সর্বাত্মক চেষ্ট করেন। কিন্তু মারিয়ার শেষ দিনগুলো তাকে বিরামহীন যন্ত্রণা দেয়। চে মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধা মারিয়াকে নিয়ে কবিতা লিখলেন, তুমি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছ। চে গুয়েভারার ঐতিহাসিক এপিকের নাম ফিদেলের গান।
চে গুয়েভারা সম্পর্কে এ রকম অনেক অজানা তথ্য স্থান পেয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা বইটিতে। রয়েছে চের জীবনসংশ্লিষ্ট বেশকিছু দুর্লভ ছবি। বইটি রচনায় বুলবুল যেসব বই ও ওয়েবসাইটের সহযোগিতা নিয়েছেনÑ একটি গবেষণাগ্রন্থের নিয়মানুযায়ী বইয়ের শেষে উল্লেখ করেছেন সেসবও।
সংগ্রহে রাখা কিংবা কাউকে উপহার দেয়ার মতো বই মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলার দাম ৪০০ টাকা। অনার্য থেকে বইটি বেরিয়েছে গত বইমেলায়।
সেলিম কামাল
মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা সফল একজন কমরেডের জীবনীগ্রন্থ হলেও এটিকে চের জীবন নিয়ে গবেষণাগ্রন্থ বললে ভুল হবে না। এ ধরনের বইগুলো সাধারণত গবেষণা ও অনুবাদনির্ভর হয়। কিন্তু বুলবুলের বইটিতে রয়েছে একটি অতিরিক্ত মাত্রা। আর তা হচ্ছে শব্দ ব্যবহারে মুন্সিয়ানা, বর্ণনা হচ্ছে গল্পের মতো। যে গল্পে রয়েছে পাত্রপাত্রীর সংলাপও। এ কারণেই একটি অনুবাদনির্ভর গবেষণাগ্রন্থ হয়ে উঠেছে প্রায়মৌলিক। মঞ্চে নাট্যকার নির্দেশক মামুনুর রশীদের নাটক চের সাইকেল দেখে দর্শক যখন হা-হুতাশ করেন, আহ্, চের জীবনী এত সংক্ষিপ্ত হয়- তখন তার জন্য সান্ত্বনা হতে পারে মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা বইটি।
বলিভিয়ার ডায়েরি লিখেছিলেন চে। আর সেটি হচ্ছে ইতিহাসখ্যাত গেরিলা বাহিনীর রোজনামচা। ১৯৬৬ সালের ৭ নভেম্বর গেরিলা বাহিনীর নাকাহুয়াজু ক্যাম্প থেকে ডায়েরির সূচনা। শেষ হয় ১৯৬৭ সালের ৭ অক্টোবর লা হিগুয়েরা গ্রামে কুয়েব্রাডা যুদ্ধের আগে। ৮ অক্টোবর সে যুদ্ধে চে গুয়েভারাকে আহত অবস্থায় বন্দি ও নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়। লাশের মতোই গুম করা হয়েছিল ডায়েরিটি। বিপ্লবীর স্বীকৃতি এ ডায়েরির ফটোকপি আসে কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর হাতে। ডায়েরিতে গেরিলা বাহিনীর দিনকার কথা লিখে রাখতে চে।
আর্নেস্তো চে গুয়েভারা ছিলেন কবি এবং কবিতার একনিষ্ঠ ভক্ত। মেক্সিকোর হাসপাতালে ডাক্তার হিসেবে কাজ করার সময় চের রোগী ছিল অসহায় বৃদ্ধা মারিয়া। যিনি মৃত্যুর জন্য দিন গুনছিলেন। চে চিকিৎসা দিয়ে মারিয়াকে বাঁচানোর সর্বাত্মক চেষ্ট করেন। কিন্তু মারিয়ার শেষ দিনগুলো তাকে বিরামহীন যন্ত্রণা দেয়। চে মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধা মারিয়াকে নিয়ে কবিতা লিখলেন, তুমি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছ। চে গুয়েভারার ঐতিহাসিক এপিকের নাম ফিদেলের গান।
চে গুয়েভারা সম্পর্কে এ রকম অনেক অজানা তথ্য স্থান পেয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা বইটিতে। রয়েছে চের জীবনসংশ্লিষ্ট বেশকিছু দুর্লভ ছবি। বইটি রচনায় বুলবুল যেসব বই ও ওয়েবসাইটের সহযোগিতা নিয়েছেনÑ একটি গবেষণাগ্রন্থের নিয়মানুযায়ী বইয়ের শেষে উল্লেখ করেছেন সেসবও।
সংগ্রহে রাখা কিংবা কাউকে উপহার দেয়ার মতো বই মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলার দাম ৪০০ টাকা। অনার্য থেকে বইটি বেরিয়েছে গত বইমেলায়।
সেলিম কামাল
আর্জেন্টাইন
বিপ্লবী নেতা আর্নেস্তো চে গুয়েভারার জীবন এতই বর্ণিল- তাকে নিয়ে হাজার
পৃষ্ঠার বই লিখলেও লেখা যায়। আর সেই কাজটি যখন মাত্র ২৫৬ পৃষ্ঠায় শেষ করা
যায়, তখন বুঝতে হবে অত্যন্ত সুবিন্যস্তভাবে বাছাই করা ঘটনাবলি নিয়েই রচিত
হয়েছে বইটি। আর এ কাজটি সুনিপুণভাবে সম্পন্ন করেছেন লেখক শাহ বুলবুল।
মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা সফল একজন কমরেডের
জীবনীগ্রন্থ হলেও এটিকে চের জীবন নিয়ে গবেষণাগ্রন্থ বললে ভুল হবে না। এ
ধরনের বইগুলো সাধারণত গবেষণা ও অনুবাদনির্ভর হয়। কিন্তু বুলবুলের বইটিতে
রয়েছে একটি অতিরিক্ত মাত্রা। আর তা হচ্ছে শব্দ ব্যবহারে মুন্সিয়ানা, বর্ণনা
হচ্ছে গল্পের মতো। যে গল্পে রয়েছে পাত্রপাত্রীর সংলাপও। এ কারণেই একটি
অনুবাদনির্ভর গবেষণাগ্রন্থ হয়ে উঠেছে প্রায়মৌলিক।মঞ্চে
নাট্যকার নির্দেশক মামুনুর রশীদের নাটক চের সাইকেল দেখে দর্শক যখন
হা-হুতাশ করেন, আহ্, চের জীবনী এত সংক্ষিপ্ত হয়- তখন তার জন্য সান্ত্বনা
হতে পারে মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা বইটি।বলিভিয়ার
ডায়েরি লিখেছিলেন চে। আর সেটি হচ্ছে ইতিহাসখ্যাত গেরিলা বাহিনীর রোজনামচা।
১৯৬৬ সালের ৭ নভেম্বর গেরিলা বাহিনীর নাকাহুয়াজু ক্যাম্প থেকে ডায়েরির
সূচনা। শেষ হয় ১৯৬৭ সালের ৭ অক্টোবর লা হিগুয়েরা গ্রামে কুয়েব্রাডা যুদ্ধের
আগে। ৮ অক্টোবর সে যুদ্ধে চে গুয়েভারাকে আহত অবস্থায় বন্দি ও নির্দয়ভাবে
হত্যা করা হয়। লাশের মতোই গুম করা হয়েছিল ডায়েরিটি। বিপ্লবীর স্বীকৃতি এ
ডায়েরির ফটোকপি আসে কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর হাতে। ডায়েরিতে গেরিলা বাহিনীর
দিনকার কথা লিখে রাখতে চে।আর্নেস্তো
চে গুয়েভারা ছিলেন কবি এবং কবিতার একনিষ্ঠ ভক্ত। মেক্সিকোর হাসপাতালে
ডাক্তার হিসেবে কাজ করার সময় চের রোগী ছিল অসহায় বৃদ্ধা মারিয়া। যিনি
মৃত্যুর জন্য দিন গুনছিলেন। চে চিকিৎসা দিয়ে মারিয়াকে বাঁচানোর সর্বাত্মক
চেষ্ট করেন। কিন্তু মারিয়ার শেষ দিনগুলো তাকে বিরামহীন যন্ত্রণা দেয়। চে
মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধা মারিয়াকে নিয়ে কবিতা লিখলেন, তুমি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছ।
চে গুয়েভারার ঐতিহাসিক এপিকের নাম ফিদেলের গান।চে
গুয়েভারা সম্পর্কে এ রকম অনেক অজানা তথ্য স্থান পেয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা
বইটিতে। রয়েছে চের জীবনসংশ্লিষ্ট বেশকিছু দুর্লভ ছবি। বইটি রচনায় বুলবুল
যেসব বই ও ওয়েবসাইটের সহযোগিতা নিয়েছেনÑ একটি গবেষণাগ্রন্থের নিয়মানুযায়ী
বইয়ের শেষে উল্লেখ করেছেন সেসবও।সংগ্রহে রাখা কিংবা কাউকে উপহার দেয়ার মতো বই মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলার দাম ৪০০ টাকা। অনার্য থেকে বইটি বেরিয়েছে গত বইমেলায়।সেলিম কামাল - See more at: http://www.jugantor.com/literature-magazine/2014/04/04/84338#sthash.8nFGJROC.dpuf
<a
href='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=acd94d5f'
target='_blank'><img
src='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=780&amp;n=acd94d5f'
border='0' alt='' /></a>
আর্জেন্টাইন
বিপ্লবী নেতা আর্নেস্তো চে গুয়েভারার জীবন এতই বর্ণিল- তাকে নিয়ে হাজার
পৃষ্ঠার বই লিখলেও লেখা যায়। আর সেই কাজটি যখন মাত্র ২৫৬ পৃষ্ঠায় শেষ করা
যায়, তখন বুঝতে হবে অত্যন্ত সুবিন্যস্তভাবে বাছাই করা ঘটনাবলি নিয়েই রচিত
হয়েছে বইটি। আর এ কাজটি সুনিপুণভাবে সম্পন্ন করেছেন লেখক শাহ বুলবুল।
মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা সফল একজন কমরেডের
জীবনীগ্রন্থ হলেও এটিকে চের জীবন নিয়ে গবেষণাগ্রন্থ বললে ভুল হবে না। এ
ধরনের বইগুলো সাধারণত গবেষণা ও অনুবাদনির্ভর হয়। কিন্তু বুলবুলের বইটিতে
রয়েছে একটি অতিরিক্ত মাত্রা। আর তা হচ্ছে শব্দ ব্যবহারে মুন্সিয়ানা, বর্ণনা
হচ্ছে গল্পের মতো। যে গল্পে রয়েছে পাত্রপাত্রীর সংলাপও। এ কারণেই একটি
অনুবাদনির্ভর গবেষণাগ্রন্থ হয়ে উঠেছে প্রায়মৌলিক।মঞ্চে
নাট্যকার নির্দেশক মামুনুর রশীদের নাটক চের সাইকেল দেখে দর্শক যখন
হা-হুতাশ করেন, আহ্, চের জীবনী এত সংক্ষিপ্ত হয়- তখন তার জন্য সান্ত্বনা
হতে পারে মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা বইটি।বলিভিয়ার
ডায়েরি লিখেছিলেন চে। আর সেটি হচ্ছে ইতিহাসখ্যাত গেরিলা বাহিনীর রোজনামচা।
১৯৬৬ সালের ৭ নভেম্বর গেরিলা বাহিনীর নাকাহুয়াজু ক্যাম্প থেকে ডায়েরির
সূচনা। শেষ হয় ১৯৬৭ সালের ৭ অক্টোবর লা হিগুয়েরা গ্রামে কুয়েব্রাডা যুদ্ধের
আগে। ৮ অক্টোবর সে যুদ্ধে চে গুয়েভারাকে আহত অবস্থায় বন্দি ও নির্দয়ভাবে
হত্যা করা হয়। লাশের মতোই গুম করা হয়েছিল ডায়েরিটি। বিপ্লবীর স্বীকৃতি এ
ডায়েরির ফটোকপি আসে কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর হাতে। ডায়েরিতে গেরিলা বাহিনীর
দিনকার কথা লিখে রাখতে চে।আর্নেস্তো
চে গুয়েভারা ছিলেন কবি এবং কবিতার একনিষ্ঠ ভক্ত। মেক্সিকোর হাসপাতালে
ডাক্তার হিসেবে কাজ করার সময় চের রোগী ছিল অসহায় বৃদ্ধা মারিয়া। যিনি
মৃত্যুর জন্য দিন গুনছিলেন। চে চিকিৎসা দিয়ে মারিয়াকে বাঁচানোর সর্বাত্মক
চেষ্ট করেন। কিন্তু মারিয়ার শেষ দিনগুলো তাকে বিরামহীন যন্ত্রণা দেয়। চে
মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধা মারিয়াকে নিয়ে কবিতা লিখলেন, তুমি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছ।
চে গুয়েভারার ঐতিহাসিক এপিকের নাম ফিদেলের গান।চে
গুয়েভারা সম্পর্কে এ রকম অনেক অজানা তথ্য স্থান পেয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা
বইটিতে। রয়েছে চের জীবনসংশ্লিষ্ট বেশকিছু দুর্লভ ছবি। বইটি রচনায় বুলবুল
যেসব বই ও ওয়েবসাইটের সহযোগিতা নিয়েছেনÑ একটি গবেষণাগ্রন্থের নিয়মানুযায়ী
বইয়ের শেষে উল্লেখ করেছেন সেসবও।সংগ্রহে রাখা কিংবা কাউকে উপহার দেয়ার মতো বই মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলার দাম ৪০০ টাকা। অনার্য থেকে বইটি বেরিয়েছে গত বইমেলায়।সেলিম কামাল - See more at: http://www.jugantor.com/literature-magazine/2014/04/04/84338#sthash.8nFGJROC.dpuf
<a
href='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=acd94d5f'
target='_blank'><img
src='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=780&amp;n=acd94d5f'
border='0' alt='' /></a>
আর্জেন্টাইন
বিপ্লবী নেতা আর্নেস্তো চে গুয়েভারার জীবন এতই বর্ণিল- তাকে নিয়ে হাজার
পৃষ্ঠার বই লিখলেও লেখা যায়। আর সেই কাজটি যখন মাত্র ২৫৬ পৃষ্ঠায় শেষ করা
যায়, তখন বুঝতে হবে অত্যন্ত সুবিন্যস্তভাবে বাছাই করা ঘটনাবলি নিয়েই রচিত
হয়েছে বইটি। আর এ কাজটি সুনিপুণভাবে সম্পন্ন করেছেন লেখক শাহ বুলবুল।
মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা সফল একজন কমরেডের
জীবনীগ্রন্থ হলেও এটিকে চের জীবন নিয়ে গবেষণাগ্রন্থ বললে ভুল হবে না। এ
ধরনের বইগুলো সাধারণত গবেষণা ও অনুবাদনির্ভর হয়। কিন্তু বুলবুলের বইটিতে
রয়েছে একটি অতিরিক্ত মাত্রা। আর তা হচ্ছে শব্দ ব্যবহারে মুন্সিয়ানা, বর্ণনা
হচ্ছে গল্পের মতো। যে গল্পে রয়েছে পাত্রপাত্রীর সংলাপও। এ কারণেই একটি
অনুবাদনির্ভর গবেষণাগ্রন্থ হয়ে উঠেছে প্রায়মৌলিক।মঞ্চে
নাট্যকার নির্দেশক মামুনুর রশীদের নাটক চের সাইকেল দেখে দর্শক যখন
হা-হুতাশ করেন, আহ্, চের জীবনী এত সংক্ষিপ্ত হয়- তখন তার জন্য সান্ত্বনা
হতে পারে মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা বইটি।বলিভিয়ার
ডায়েরি লিখেছিলেন চে। আর সেটি হচ্ছে ইতিহাসখ্যাত গেরিলা বাহিনীর রোজনামচা।
১৯৬৬ সালের ৭ নভেম্বর গেরিলা বাহিনীর নাকাহুয়াজু ক্যাম্প থেকে ডায়েরির
সূচনা। শেষ হয় ১৯৬৭ সালের ৭ অক্টোবর লা হিগুয়েরা গ্রামে কুয়েব্রাডা যুদ্ধের
আগে। ৮ অক্টোবর সে যুদ্ধে চে গুয়েভারাকে আহত অবস্থায় বন্দি ও নির্দয়ভাবে
হত্যা করা হয়। লাশের মতোই গুম করা হয়েছিল ডায়েরিটি। বিপ্লবীর স্বীকৃতি এ
ডায়েরির ফটোকপি আসে কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর হাতে। ডায়েরিতে গেরিলা বাহিনীর
দিনকার কথা লিখে রাখতে চে।আর্নেস্তো
চে গুয়েভারা ছিলেন কবি এবং কবিতার একনিষ্ঠ ভক্ত। মেক্সিকোর হাসপাতালে
ডাক্তার হিসেবে কাজ করার সময় চের রোগী ছিল অসহায় বৃদ্ধা মারিয়া। যিনি
মৃত্যুর জন্য দিন গুনছিলেন। চে চিকিৎসা দিয়ে মারিয়াকে বাঁচানোর সর্বাত্মক
চেষ্ট করেন। কিন্তু মারিয়ার শেষ দিনগুলো তাকে বিরামহীন যন্ত্রণা দেয়। চে
মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধা মারিয়াকে নিয়ে কবিতা লিখলেন, তুমি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছ।
চে গুয়েভারার ঐতিহাসিক এপিকের নাম ফিদেলের গান।চে
গুয়েভারা সম্পর্কে এ রকম অনেক অজানা তথ্য স্থান পেয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা
বইটিতে। রয়েছে চের জীবনসংশ্লিষ্ট বেশকিছু দুর্লভ ছবি। বইটি রচনায় বুলবুল
যেসব বই ও ওয়েবসাইটের সহযোগিতা নিয়েছেনÑ একটি গবেষণাগ্রন্থের নিয়মানুযায়ী
বইয়ের শেষে উল্লেখ করেছেন সেসবও।সংগ্রহে রাখা কিংবা কাউকে উপহার দেয়ার মতো বই মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলার দাম ৪০০ টাকা। অনার্য থেকে বইটি বেরিয়েছে গত বইমেলায়।সেলিম কামাল - See more at: http://www.jugantor.com/literature-magazine/2014/04/04/84338#sthash.8nFGJROC.dpuf
<a
href='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=acd94d5f'
target='_blank'><img
src='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=780&amp;n=acd94d5f'
border='0' alt='' /></a>
আর্জেন্টাইন
বিপ্লবী নেতা আর্নেস্তো চে গুয়েভারার জীবন এতই বর্ণিল- তাকে নিয়ে হাজার
পৃষ্ঠার বই লিখলেও লেখা যায়। আর সেই কাজটি যখন মাত্র ২৫৬ পৃষ্ঠায় শেষ করা
যায়, তখন বুঝতে হবে অত্যন্ত সুবিন্যস্তভাবে বাছাই করা ঘটনাবলি নিয়েই রচিত
হয়েছে বইটি। আর এ কাজটি সুনিপুণভাবে সম্পন্ন করেছেন লেখক শাহ বুলবুল।
মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা সফল একজন কমরেডের
জীবনীগ্রন্থ হলেও এটিকে চের জীবন নিয়ে গবেষণাগ্রন্থ বললে ভুল হবে না। এ
ধরনের বইগুলো সাধারণত গবেষণা ও অনুবাদনির্ভর হয়। কিন্তু বুলবুলের বইটিতে
রয়েছে একটি অতিরিক্ত মাত্রা। আর তা হচ্ছে শব্দ ব্যবহারে মুন্সিয়ানা, বর্ণনা
হচ্ছে গল্পের মতো। যে গল্পে রয়েছে পাত্রপাত্রীর সংলাপও। এ কারণেই একটি
অনুবাদনির্ভর গবেষণাগ্রন্থ হয়ে উঠেছে প্রায়মৌলিক।মঞ্চে
নাট্যকার নির্দেশক মামুনুর রশীদের নাটক চের সাইকেল দেখে দর্শক যখন
হা-হুতাশ করেন, আহ্, চের জীবনী এত সংক্ষিপ্ত হয়- তখন তার জন্য সান্ত্বনা
হতে পারে মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা বইটি।বলিভিয়ার
ডায়েরি লিখেছিলেন চে। আর সেটি হচ্ছে ইতিহাসখ্যাত গেরিলা বাহিনীর রোজনামচা।
১৯৬৬ সালের ৭ নভেম্বর গেরিলা বাহিনীর নাকাহুয়াজু ক্যাম্প থেকে ডায়েরির
সূচনা। শেষ হয় ১৯৬৭ সালের ৭ অক্টোবর লা হিগুয়েরা গ্রামে কুয়েব্রাডা যুদ্ধের
আগে। ৮ অক্টোবর সে যুদ্ধে চে গুয়েভারাকে আহত অবস্থায় বন্দি ও নির্দয়ভাবে
হত্যা করা হয়। লাশের মতোই গুম করা হয়েছিল ডায়েরিটি। বিপ্লবীর স্বীকৃতি এ
ডায়েরির ফটোকপি আসে কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর হাতে। ডায়েরিতে গেরিলা বাহিনীর
দিনকার কথা লিখে রাখতে চে।আর্নেস্তো
চে গুয়েভারা ছিলেন কবি এবং কবিতার একনিষ্ঠ ভক্ত। মেক্সিকোর হাসপাতালে
ডাক্তার হিসেবে কাজ করার সময় চের রোগী ছিল অসহায় বৃদ্ধা মারিয়া। যিনি
মৃত্যুর জন্য দিন গুনছিলেন। চে চিকিৎসা দিয়ে মারিয়াকে বাঁচানোর সর্বাত্মক
চেষ্ট করেন। কিন্তু মারিয়ার শেষ দিনগুলো তাকে বিরামহীন যন্ত্রণা দেয়। চে
মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধা মারিয়াকে নিয়ে কবিতা লিখলেন, তুমি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছ।
চে গুয়েভারার ঐতিহাসিক এপিকের নাম ফিদেলের গান।চে
গুয়েভারা সম্পর্কে এ রকম অনেক অজানা তথ্য স্থান পেয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলা
বইটিতে। রয়েছে চের জীবনসংশ্লিষ্ট বেশকিছু দুর্লভ ছবি। বইটি রচনায় বুলবুল
যেসব বই ও ওয়েবসাইটের সহযোগিতা নিয়েছেনÑ একটি গবেষণাগ্রন্থের নিয়মানুযায়ী
বইয়ের শেষে উল্লেখ করেছেন সেসবও।সংগ্রহে রাখা কিংবা কাউকে উপহার দেয়ার মতো বই মৃত্যুঞ্জয়ী গেরিলার দাম ৪০০ টাকা। অনার্য থেকে বইটি বেরিয়েছে গত বইমেলায়।সেলিম কামাল - See more at: http://www.jugantor.com/literature-magazine/2014/04/04/84338#sthash.8nFGJROC.dpuf
<a
href='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/ck.php?n=acd94d5f'
target='_blank'><img
src='http://platinum.ritsads.com/ads/server/adserve/www/delivery/avw.php?zoneid=780&amp;n=acd94d5f'
border='0' alt='' /></a>
No comments