যুদ্ধের দামামা, আসাদের স্ত্রীর বিলাসী জীবন
চারদিকে যুদ্ধের দামামা। জলে, স্থলে
হামলার প্রস্তুতি। গৃহযুদ্ধে ছারখার সিরিয়া। এমন অবস্থার মধ্যেও বিলাসী
জীবন যাপন করছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের স্ত্রী আসমা আসাদ।
এমন পরিস্থিেিতও তিনি বুলেট প্রুফ বাঙ্কারে ঘটনা করে ছেলের জন্মদিন পালন
করেছেন। খবর সংবাদ সংস্থার।
৩৮ বছর বয়সী আসমাকে একসময় বলা
হতো ‘মরুভূমির গোলাপ’। সিরিয়ার সাবেক কূটনীতিক ফাওয়াজ আখরাজের কন্যা আসমা
লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পাস করে এক সময় ছিলেন ব্যাংকার। আসাদের সঙ্গে বিয়ের
আগে তিনি কাজ করতেন লন্ডনের জেপি মরগান ব্যাংকে। ২০০০ সালে তিনি বাসার আল
আসাদকে বিয়ে করে সিরিয়ার ফাস্ট লেডি হন। এরপর থেকেই শুরু হয় তার বিলাসবহুল
জীবনযাপন। আসাদের সাবেক এক উপদেষ্টা আসমাকে অগভীর চরিত্রের এবং পুরোপরি
হৃদয়হীন বলেও উল্লেখ করেছেন। দেশে যখন যুদ্ধের ঢামাডোল তখনও আসমা আছেন তার
পশ্চিমা ধাঁচের বিলাসবহুল জীবন যাপন নিয়ে। এরমধ্যেও তিনি দামি ব্রান্ডের
পোশাক, খাবার থেকে শুরু করে প্রসাধনী নিয়মিত কিনছেন। গত সপ্তাহে ফটো
শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ছবিতে আসমাকে দেখা যায় ৮০ পাউন্ড
মূল্যের নতুন নীল জামা এবং ডান হাতের কবজিতে বিশেষ একটি ডিভাইস পরিহিত
অবস্থায়। এই ডিভাইসের মাধ্যমে প্রতিদিন পরিহিত ব্যক্তি কত পা হাঁটলেন এবং
কতটুকু ক্যালরি খরচ করলেন তা জানা যায়। বাসার আল আসাদের সাবেক উপদেষ্টা
আইমান আবদেল নূর জানান, আসমা বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে প্রায়ই লেবাননে
যান কারণ রাজধানী দামেস্ক থেকে সেখানে যাওয়া সহজ। এছাড়া তার বাবা-মা লন্ডনে
বাস করলেও বছরের বেশিরভাগ সময় লেবাননেই থাকেন কারণ তারা চান একমাত্র
কন্যার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে। আবদেল নূর বলেন, তিনি আসলে বাস করছেন
বোকাদের মধ্যমনি হয়ে। অন্যরা যেখানে বাসারকে দাগি খুনি হিসেবে আখ্যায়িত
করছে সেখানে আসমা পতিপরায়ন স্ত্রী রূপেই স্বামীর কাছে পরিচিত হতে আগ্র্রহী।
নূর বলেন, আসমা আসাদ আসলে হৃদয়হীন। তিনি ব্যস্ত কিভাবে নিজের শৈলি এবং
নিজেকে সুন্দর প্রমাণিত করা যায় তা নিয়ে। তিনি তার বিলাসবহুল জীবন চালিয়ে
যাচ্ছেন। বাকি আর কিছুতে তার যায় আসে না।
No comments