পর্যবেক্ষকদের দামেস্ক ত্যাগ, সিরিয়াজুড়ে উৎকণ্ঠা
রাসায়নিক অস্ত্র হামলাস্থল পরিদর্শন শেষে
শনিবার সিরিয়া ত্যাগ করেছে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দল। অন্য দিকে প্রেসিডেন্ট
বাশার আল-আসাদকে শায়েস্তা করতে সামরিক অভিযানের সর্বাত্মক প্রস্তুতি
নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর
প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ শাখার
প্রতিনিধিদের দামেস্ক ত্যাগের পর থেকে পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর হামলার
আশঙ্কায় সিরিয়াজুড়ে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা লক্ষ্য করা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র কবে সামরিক অভিযান চালাবে এখন পর্যন্ত এমন কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, আসাদবাহিনীই যে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনের কাছে স্পষ্ট তথ্য থাকায় পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদনের প্রয়োজন নেই।
কেরির এ বক্তব্য অনুসারে পর্যবেক্ষকদের দামেস্ক ত্যাগের পরপরই হামলার আশঙ্কায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন নাগরিকরা।
নিজের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রের একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে দামেস্কের বাসিন্দা ইউসুফ বলেন, আমি জানি না এগুলো কোথায় রাখা নিরাপদ হবে! আর আমিই বা কোথায় নিরাপদে থাকতে পারবো!
বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চল আরবিনের বাসিন্দা চিকিৎসক আবু আকরাম বলেন, আমরা জানি না হয়তো বিদেশি সৈন্যরাও কোনো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করবে। বুঝতে পারছি না সিরিয়ার ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে।
রাজধানীর বাসিন্দা রাবেয়া কারমান বলেন, সিরিয়ায় অনেক রক্ত ঝরেছে। আমরা নিজেরাই নিজেদের রক্ত ঝরিয়েছি। কিন্তু বিদেশিরা এই রক্ত প্রবাহকে আরও বাড়িয়ে দিক এটা আমরা চাই না।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, রাজধানী দামেস্ক ও সিরিয়ার অন্য অঞ্চলের বাসিন্দারা হামলার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। যেকোনো সময় হামলা হলে পরিস্থিতি দেখে অঞ্চল ত্যাগ এমনকি দেশত্যাগেরও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন কেউ কেউ।
সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো জরুরি উদ্ধারকার্য ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে বিশেষ দলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
সিরিয়া অভিযানের সিদ্ধান্ত থেকে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি সরে গেলেও ফরাসি বাহিনীকে নিয়েই অভিযান চালানো হবে উল্লেখ করে জন কেরি শুক্রবার তার বিবৃতিতে বলেন, আসাদকে শায়েস্তা না করলে তার মতো নিজ দেশের নাগরিক হত্যাকারীরা এই নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করতে উৎসাহী হবে।
এছাড়া, গত ২১ এর আগস্টে রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় ১৪২৯ জন নাগরিক মারা গেছে দাবি করে ওয়াশিংটনের দেওয়া বিবৃতির প্রতি ইঙ্গিত করে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, আসাদকে শাস্তি দিতে সংক্ষিপ্ত ও সংকীর্ণ পরিসরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ভূমধ্য সাগরের সিরিয়া উপকূলে চতুর্থ ক্রুজ মিসাইলবাহী যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে মার্কিন নৌবাহিনী। এছাড়া, মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে যৌথ হামলা চালানোর লক্ষ্যে অবস্থান নিয়েছে ফরাসি বাহিনীও।
রাসায়নিক অস্ত্র হামলার জন্য আসাদবাহিনীকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য উপস্থাপনকালে ওবামা বলেন, নারী, শিশু এবং নিরপরাধ নাগরিকরা মৃত্যুর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকবে এমন বিশ্ব আমরা চাই না।
এর আগে শনিবার সকালে সিরিয়া সীমান্ত অতিক্রম করে লেবাননের রাজধানী বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন পর্যবেক্ষকরা। পর্যবেক্ষক দলটি যতদিন সিরিয়ায় ছিল ততদিন পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর কোনো হামলা চালানোর আশঙ্কা ছিল না। কিন্তু শনিবার তাদের দামেস্ক ত্যাগের পর থেকেই ভুতুড়ে রূপ নিয়েছে পুরো সিরিয়া। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি যেন এখন আরও বড় কোনো ধরনের আঘাতের আশঙ্কায় ভীত।
যুক্তরাষ্ট্র কবে সামরিক অভিযান চালাবে এখন পর্যন্ত এমন কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, আসাদবাহিনীই যে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনের কাছে স্পষ্ট তথ্য থাকায় পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদনের প্রয়োজন নেই।
কেরির এ বক্তব্য অনুসারে পর্যবেক্ষকদের দামেস্ক ত্যাগের পরপরই হামলার আশঙ্কায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন নাগরিকরা।
নিজের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রের একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে দামেস্কের বাসিন্দা ইউসুফ বলেন, আমি জানি না এগুলো কোথায় রাখা নিরাপদ হবে! আর আমিই বা কোথায় নিরাপদে থাকতে পারবো!
বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চল আরবিনের বাসিন্দা চিকিৎসক আবু আকরাম বলেন, আমরা জানি না হয়তো বিদেশি সৈন্যরাও কোনো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করবে। বুঝতে পারছি না সিরিয়ার ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে।
রাজধানীর বাসিন্দা রাবেয়া কারমান বলেন, সিরিয়ায় অনেক রক্ত ঝরেছে। আমরা নিজেরাই নিজেদের রক্ত ঝরিয়েছি। কিন্তু বিদেশিরা এই রক্ত প্রবাহকে আরও বাড়িয়ে দিক এটা আমরা চাই না।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, রাজধানী দামেস্ক ও সিরিয়ার অন্য অঞ্চলের বাসিন্দারা হামলার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। যেকোনো সময় হামলা হলে পরিস্থিতি দেখে অঞ্চল ত্যাগ এমনকি দেশত্যাগেরও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন কেউ কেউ।
সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো জরুরি উদ্ধারকার্য ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে বিশেষ দলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
সিরিয়া অভিযানের সিদ্ধান্ত থেকে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি সরে গেলেও ফরাসি বাহিনীকে নিয়েই অভিযান চালানো হবে উল্লেখ করে জন কেরি শুক্রবার তার বিবৃতিতে বলেন, আসাদকে শায়েস্তা না করলে তার মতো নিজ দেশের নাগরিক হত্যাকারীরা এই নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করতে উৎসাহী হবে।
এছাড়া, গত ২১ এর আগস্টে রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় ১৪২৯ জন নাগরিক মারা গেছে দাবি করে ওয়াশিংটনের দেওয়া বিবৃতির প্রতি ইঙ্গিত করে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, আসাদকে শাস্তি দিতে সংক্ষিপ্ত ও সংকীর্ণ পরিসরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ভূমধ্য সাগরের সিরিয়া উপকূলে চতুর্থ ক্রুজ মিসাইলবাহী যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে মার্কিন নৌবাহিনী। এছাড়া, মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে যৌথ হামলা চালানোর লক্ষ্যে অবস্থান নিয়েছে ফরাসি বাহিনীও।
রাসায়নিক অস্ত্র হামলার জন্য আসাদবাহিনীকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য উপস্থাপনকালে ওবামা বলেন, নারী, শিশু এবং নিরপরাধ নাগরিকরা মৃত্যুর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকবে এমন বিশ্ব আমরা চাই না।
এর আগে শনিবার সকালে সিরিয়া সীমান্ত অতিক্রম করে লেবাননের রাজধানী বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন পর্যবেক্ষকরা। পর্যবেক্ষক দলটি যতদিন সিরিয়ায় ছিল ততদিন পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর কোনো হামলা চালানোর আশঙ্কা ছিল না। কিন্তু শনিবার তাদের দামেস্ক ত্যাগের পর থেকেই ভুতুড়ে রূপ নিয়েছে পুরো সিরিয়া। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি যেন এখন আরও বড় কোনো ধরনের আঘাতের আশঙ্কায় ভীত।
No comments