একুশ বছর পর .... by সাজেদা সুইটি
প্রায় ২১ বছর পর আসছেন তিনি। তাকে স্বাগত জানাতে ২০ কিলোমিটার জুড়ে পাঁচ
হাজার তোরণ হচ্ছে ‘ঢাকা টু নরসিংদী’ মহাসড়কে। চারপাশ ছেয়ে যাচ্ছে স্বাগতম
বার্তাবাহী নানা আকারের ব্যানারে।
চারপাশে সাজ সাজ রব। বিশেষ কারও অপেক্ষায়
সাজছে পুরো এলাকা।এই চিত্র নরসিংদী শহরের, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৮ সেপ্টেম্বর
এখানে আসছেন। সরকার পতনের আন্দোলনের জন্য দেওয়া জনসভা কর্মসূচি তিনি এখান
থেকেই শুরু করবেন।
মহাসড়ক
সংলগ্ন পৌর শিশুপার্কে (বালুর মাঠ) এই জনসভা আয়োজন করা হচ্ছে। খালেদার
আগমনকে কেন্দ্র করে কেবল বালুর মাঠেই নয়, পুরো নরসিংদীতে জুড়েই চলছে ব্যাপক
আয়োজন।
নরসিংদীর জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির শিক্ষা বিষয়ক
সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন বাংলানিউজকে জনসভার প্রস্তুতি নিয়ে বলেন,
পরিকল্পিতভাবে কাজ এগোচ্ছে। একটি সফল জনসভা দেখবে দেশবাসী।
তিনি বলেন, পুরো নরসিংদী এখন খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এতোবছর পরে তিনি আসছেন, এলাকাবাসী তাকে উষ্ণভাবে স্বাগত জানাতে চায়।
খালেদা জিয়াকে চমকে দেওয়ার মতো প্রস্তুতি রাখতে চাইছি আমরা- বাংলানিউজকে বলেন নরসিংদী শহর বিএনপির সভাপতি গোলাম কবির কামাল।
সভাস্থলে কাজ তদারকি করতে এসে তিনি বলেন, ১৯৯২ সালে সর্বশেষ নরসিংদী
স্টেডিয়ামে জনসভা করেছিলেন খালেদা জিয়া। এবার প্রায় ২১ বছর পরে আসছেন।
প্রস্তুতি সম্পর্কে কামাল আরও বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর মঞ্চের কাজ শুরু হবে।
এখন তোরণ, ব্যানার লাগানো, লিফলেট বিতরণ, মাইকিং ও মাঠের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, নরসিংদীর সবচে’ বড় মাঠ এটি। আমরা পাঁচ থেকে সাত লাখ লোকসমাগম আশা করছি জনসভায়।
এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী উপস্থিতি থাকবেন বলেও আশা করছেন কামাল।
এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী উপস্থিতি থাকবেন বলেও আশা করছেন কামাল।
তিনি বলেন, ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ, ঘোড়াশাল,
জামালপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ
আসবেন।
মঞ্চ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনো মঞ্চের মাপ চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে ঢাকা
থেকে একটি টিম আসবে। নিরাপত্তা ও আকারের দিক দিয়ে খালেদা জিয়ার ঢাকার
সভাগুলোতে যেমন মঞ্চ হয়, সেই আদলেই এখানেও তৈরি হবে।
তোরণগুলো নরসিংদীর সীমানা ছাড়িয়ে আড়াইহাজার পর্যন্ত গড়িয়েছে বলেও জানান তিনি।
তোরণগুলো নরসিংদীর সীমানা ছাড়িয়ে আড়াইহাজার পর্যন্ত গড়িয়েছে বলেও জানান তিনি।
সভার প্রস্তুতিতে প্রত্যেক নেতাকর্মী সম্পৃক্ত হতে উৎসাহ দেখিয়েছেন বলে জানান কামাল।
তিনি বলেন, কর্মসূচি সফল করতে অঙ্গ-সংগঠনগুলো পথসভা, মিছিল, মাইকিং করছে।
এর মধ্যে আয়োজনের প্রধান সমন্বয়ক দলের ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল
নোমান এসে কাজ তদারকি দেখে গেছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন এসে
প্রতিনিধি সভা করে গেছেন।
কর্মসূচিতে কোনো প্রকার ভুলচুকের সুযোগ রাখতে চান না বলে জানান শহর বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মো. রমজান আলী।
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আমিনুল হক বাচ্চু, সদস্য হাবিবুল্লাহ বাহার
হাবিব, জেলা তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলামও তার কথায় সায় জানালেন।
তারা জানান, কেন্দ্রীয় বিএনপি থেকে দফায় দফায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে সভার প্রস্তুতি নিয়ে।
উল্লেখ্য, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের
লক্ষ্যে জনমত গঠন ও জোটকে সুসংগঠিত করতে দেড় মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ
হিসেবে খালেদা জিয়া জনসভাগুলো করবেন।
আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রোববার নরসিংদী, ১৫ সেপ্টেম্বর রোববার রংপুর, ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার রাজশাহী, ২২ সেপ্টেম্বর রোববার খুলনা, ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার বরিশাল এবং ৫ অক্টোবর শনিবার সিলেটে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখবেন খালেদা জিয়া। এরপর বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এবং রাজধানী ঢাকায় আরো দু’টি জনসভা করবেন বিএনপি প্রধান।
আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রোববার নরসিংদী, ১৫ সেপ্টেম্বর রোববার রংপুর, ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার রাজশাহী, ২২ সেপ্টেম্বর রোববার খুলনা, ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার বরিশাল এবং ৫ অক্টোবর শনিবার সিলেটে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখবেন খালেদা জিয়া। এরপর বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এবং রাজধানী ঢাকায় আরো দু’টি জনসভা করবেন বিএনপি প্রধান।
No comments