সংলাপই পথ
বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও অনিশ্চয়তা কাটাতে সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা
বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচিত হচ্ছে। এখন জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও একই আহ্বান
জানানো হলো। দেশের পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব
অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকে দ্রুত সংলাপে
বসার তাগিদ দিয়েছেন।
বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ সংকটের আন্তর্জাতিক অভিঘাত রয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাই উন্নয়ন-সহযোগী ও বন্ধুদেশগুলোর উদ্বেগের কারণ। নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসছে এবং এ নিয়ে বিরোধের কারণে দেশে সংঘাত ও সহিংসতার যে ঘটনা ঘটছে, তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অজানা নয়। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব একটি বিরোধপূর্ণ ও অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সফরে আসেন। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা ও বৈঠক শেষে তিনি দুই পক্ষকে সংলাপে বসার যে আহ্বান জানিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের মানুষের মনের কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগেই বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর এই আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার জন্য বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা জেনেছি, খালেদা জিয়া এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। ফলে সংলাপ শুরু করার ক্ষেত্রে দৃশ্যত বাধা নেই। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের মূলে রয়েছে আগামী নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিতর্ক। যে ধরনের বা যে নামের সরকারের অধীনেই নির্বাচন হোক না কেন, নির্বাচনটি হতে হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। ফলে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও মতৈক্য খুবই জরুরি। কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটা আসলে দুই পক্ষকে বসেই সমাধান করতে হবে, এ ক্ষেত্রে বাইরের কারও কিছু করার নেই।
বাংলাদেশে অতীতেও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংকটে এ ধরনের সংলাপ আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু তা কার্যত সফল হয়নি। এর ফলাফল কী হয়েছে, তা দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলকে স্মরণ করে দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। এবার দল দুটি অতীত থেকে শিক্ষা নেবে—সেটাই প্রত্যাশিত। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু আগেই সংলাপের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন, এখন তা শুরু করার উদ্যোগও সরকারি দলকেই নিতে হবে। বিরোধী দলের উচিত হবে, সরকারি দলের এ ধরনের যেকোনো উদ্যোগে সাড়া দিয়ে আলোচনায় বসা। দুই পক্ষকেই এ ক্ষেত্রে খোলা মন নিয়ে বসতে হবে, তবেই সংলাপ অর্থবহ হবে, আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানের পথ বের হয়ে আসবে। সংলাপের ব্যাপারে দুই পক্ষের ইতিবাচক মনোভাব যে লোক দেখানো নয়, এবং তারা যে দেশকে আরও বেশি সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চায় না, সেটা শুধু মুখে বললেই হবে না, কাজে তার প্রমাণ দিতে হবে।
বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ সংকটের আন্তর্জাতিক অভিঘাত রয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাই উন্নয়ন-সহযোগী ও বন্ধুদেশগুলোর উদ্বেগের কারণ। নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসছে এবং এ নিয়ে বিরোধের কারণে দেশে সংঘাত ও সহিংসতার যে ঘটনা ঘটছে, তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অজানা নয়। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব একটি বিরোধপূর্ণ ও অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সফরে আসেন। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা ও বৈঠক শেষে তিনি দুই পক্ষকে সংলাপে বসার যে আহ্বান জানিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের মানুষের মনের কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগেই বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর এই আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার জন্য বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা জেনেছি, খালেদা জিয়া এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। ফলে সংলাপ শুরু করার ক্ষেত্রে দৃশ্যত বাধা নেই। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের মূলে রয়েছে আগামী নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিতর্ক। যে ধরনের বা যে নামের সরকারের অধীনেই নির্বাচন হোক না কেন, নির্বাচনটি হতে হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। ফলে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও মতৈক্য খুবই জরুরি। কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটা আসলে দুই পক্ষকে বসেই সমাধান করতে হবে, এ ক্ষেত্রে বাইরের কারও কিছু করার নেই।
বাংলাদেশে অতীতেও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংকটে এ ধরনের সংলাপ আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু তা কার্যত সফল হয়নি। এর ফলাফল কী হয়েছে, তা দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলকে স্মরণ করে দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। এবার দল দুটি অতীত থেকে শিক্ষা নেবে—সেটাই প্রত্যাশিত। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু আগেই সংলাপের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন, এখন তা শুরু করার উদ্যোগও সরকারি দলকেই নিতে হবে। বিরোধী দলের উচিত হবে, সরকারি দলের এ ধরনের যেকোনো উদ্যোগে সাড়া দিয়ে আলোচনায় বসা। দুই পক্ষকেই এ ক্ষেত্রে খোলা মন নিয়ে বসতে হবে, তবেই সংলাপ অর্থবহ হবে, আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানের পথ বের হয়ে আসবে। সংলাপের ব্যাপারে দুই পক্ষের ইতিবাচক মনোভাব যে লোক দেখানো নয়, এবং তারা যে দেশকে আরও বেশি সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চায় না, সেটা শুধু মুখে বললেই হবে না, কাজে তার প্রমাণ দিতে হবে।
No comments