সিরিয়ার বিষয়ে অগ্রসর হতে রাশিয়াকে নতুন করে চাপ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড
ক্যামেরন সিরিয়ার বিষয়ে অগ্রসর হতে রাশিয়াকে নতুন করে চাপ দিয়েছেন। গত
সোমবার হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকের পর তাঁরা সিরিয়ার বিষয়ে রাশিয়ার
প্রস্তাবিত নতুন শান্তি সম্মেলন নিয়ে কথা বলেন। এদিকে সিরিয়া বলেছে, তারা
রাশিয়ার প্রস্তাবিত শান্তি সম্মেলনে যোগ দেবে কি না, সে ব্যাপারে
সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ওই সম্মেলনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চায়।
ওয়াশিংটনে ডেভিড ক্যামেরন বলেন, সিরিয়ার হত্যাযজ্ঞ থামাতে বিশ্বকে জরুরি
ভিত্তিতে একাত্ম হতে হবে। সিরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া সফর থেকে সবেমাত্র
ফেরা ক্যামেরন বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, সিরীয় সংকটের বিষয়ে ওয়াশিংটন,
লন্ডন ও মস্কো একটা ‘সাধারণ ভিত্তি’ খুঁজে পেয়েছে। ওবামা বলেন, সিরীয়
সংঘাতের ইতি টানতে রাশিয়ার ‘আগ্রহের পাশাপাশি বাধ্যবাধকতাও’ রয়েছে। ওবামা
জানান, তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির মস্কো সফর সামনে রেখে রাশিয়ার
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এ বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। এদিকে ইসরায়েলি
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গতকাল ঝটিকা সফরে মস্কো যাওয়ার
কথা। সিরিয়াকে মস্কোর অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগের
পরিপ্রেক্ষিতে নেতানিয়াহু বৈঠক করবেন পুতিনের সঙ্গে। ‘আসাদের ভূমিকা চাই
না’: পাঁচটি আরব দেশ ও তুরস্ক আবারও বলেছে, ভবিষ্যৎ সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট
বাশার আল-আসাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), মিসর, জর্ডান, কাতার ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সোমবার রাতে আবুধাবিতে এক বৈঠকে মিলিত হন।
খবরে বলা হয়, এই মন্ত্রীরা ততক্ষণ পর্যন্তই সিরিয়ায় ক্ষমতার
পালাবদল-সংক্রান্ত ২০১২ সালের জেনেভা পরিকল্পনাকে সমর্থন করবেন, যতক্ষণ
পর্যন্ত বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে যে ভবিষ্যৎ সিরিয়ায় আসাদ ও তাঁর
রক্তে রঞ্জিত সহযোগীদের কোনো স্থান থাকবে না। ভিডিও নিয়ে বিতর্ক:
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় একটি ভিডিওচিত্র
প্রচারিত হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি (দৃশ্যত বিদ্রোহী যোদ্ধা)
সিরিয়ার সরকারি এক সেনার হূৎপিণ্ড কেটে বের করে খাচ্ছে। বীভৎস ওই
ভিডিওচিত্র নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
No comments