কুর্দিদের প্রথম দল তুরস্ক ছেড়েছে
একটি শান্তি পরিকল্পনার আওতায় কুর্দি বিদ্রোহীদের প্রথম দলটি গতকাল
মঙ্গলবার তুরস্ক ছেড়ে ইরাকে প্রবেশ করেছে। কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স
পার্টির (পিকেকে) ওই সদস্যরা ইরাক সীমান্তের মেতিনা পার্বত্য এলাকায়
সহযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দেন। এ ঘটনাকে ওই অঞ্চলের তিন দশকের পুরোনো
বিদ্রোহের অবসানের পথে একটি প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কুর্দি
বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনাকে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ
এরদোয়ানের একটি ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ এতে তাঁকে
হয়তো আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে জাতীয়তাবাদীদের বিরূপ
সমালোচনার মুখোমুখি হতে হবে। তবে বর্তমান জনমত জরিপ অনুযায়ী, এই শান্তি
পরিকল্পনার প্রতি জনগণের একটা বড় অংশের সমর্থন রয়েছে। কারণ, এতে দেশটির
ইরাক-ইরান-সিরিয়া সীমান্ত এলাকায় স্থিতিশীলতা আসতে পারে।পিকেকের
কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওসালান গত মার্চে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।
সংগঠনটির যোদ্ধারা গত সপ্তাহে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে
শুরু করে। জাতিগত সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও তুরস্কের বিবেচনায় পিকেকে একটি
সন্ত্রাসী সংগঠন। তুরস্কের বিশেষ বাহিনী ১৯৯৯ সালে ওসালানকে গ্রেপ্তার করে।
তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হলেও পরে তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিবর্তিত হয়।
পিকেকের তিন থেকে চার হাজার যোদ্ধা বর্তমানে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় পার্বত্য
এলাকায় অবস্থান করছে। এ ছাড়া তুরস্কের অভ্যন্তরে রয়েছে আরও প্রায় দুই
হাজার যোদ্ধা। তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কুর্দিদের জন্য একটি স্বাধীন
রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালে পিকেকের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
No comments