কঠোর আইন সংকটকে ঘনীভূত করতে পারে
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান নভি পিল্লাই গতকাল সোমবার বলেছেন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স কঠোর সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইন করার চিন্তাভাবনা করছে। তবে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সম্প্রতি লন্ডন ও প্যারিসে দুই সেনার হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স কঠোর সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইন প্রণয়ন ও নজরদারির ব্যবস্থা জোরালো করার কথা বিবেচনা করছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিউবায় অবস্থিত গুয়ানতানামো বে আটক কেন্দ্র বন্ধ করার অভিপ্রায় পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বসন্তকালীন অধিবেশনের উদ্বোধনকালে নভি পিল্লাই এসব কথা বলেন। ওই অধিবেশনে পিল্লাই বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতাবিরোধী অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে আমি অভিযোগ পেয়েছি।’ তিনি বলেন, এ ধরনের অনুশীলন আত্মশৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। এ ধরনের পদক্ষেপ সন্ত্রাসবাদকে সমূলে উৎপাটন করতে পারবে না, বরং আরও উসকে দেবে। লন্ডন ও প্যারিসে সেনা হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের অনেক রাজনীতিবিদ কঠোর সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইন করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া কিছু গণমাধ্যম প্রতিবেদনে এমন পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে, যার দ্বারা বাকস্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।নভি পিল্লাই বলেন, গুয়ানতানামো আটক কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধ করতে না পারার ব্যর্থতা এমন একটি উদাহরণ যেখানে ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াই মানবাধিকারের মৌলিক নীতি মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে’। গুয়ানতানামোয় ২৩টি দেশের ১৬৬ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেককেই কোনো অভিযোগ ছাড়াই এক দশকের বেশি সময় ধরে আটক রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ওবামা গুয়ানতানামো আটক কেন্দ্র বন্ধের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে নভি পিল্লাই বলেন, গুয়ানতানামো থেকে বন্দী হস্তান্তরের বিষয়টি অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনেই নিশ্চিত করতে হবে। অবশ্য অনেক কংগ্রেস সদস্যই ওবামার পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন।
No comments