প্রয়োজন সম্মিলিত প্রতিরোধ
ইদানীং হিন্দি আকাশ-সংস্কৃতির আগ্রাসন আমাদের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে স্বীয় সংস্কৃতি ও স্বাজাত্যবোধ থেকে ক্রমেই দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। আমাদের শিশুরা বাংলা শেখার আগেই হিন্দি শিখছে, হিন্দি কার্টুন দেখে পুলকিত হচ্ছে, হিন্দি গান গাইছে, হিন্দি চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকাদের পোশাক ও বেশভূষা অনুকরণ করছে।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের অনিবার্য পরিণতি এটি—এ কথা স্বীকার করতেই হবে।
দুর্ভাগ্যবশত স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পর আজ আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সেই মূল ভিত্তি বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির ক্রমাগত আঘাতে বিপর্যয়ের সম্মুখীন।
সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার অংশ হচ্ছে হিন্দির আগ্রাসন। হিন্দিকে এ উপমহাদেশের সর্বজনীন ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে অর্ধশতাব্দী ধরে এ সুদূরপ্রসারী আগ্রাসী তৎপরতা চালানো হচ্ছে। হিন্দির আগ্রাসন এরই মধ্যে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে বেশ গেড়ে বসেছে। হিন্দির আগ্রাসনে বিপর্যস্ত হওয়ার আগে আমাদের জেগে উঠতে হবে। মনে রাখতে হবে, ‘সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রাজনৈতিক ও সামরিক আগ্রাসনের চেয়ে অনেক বেশি জাতিবিনাশী।’ তাই একদা যেভাবে এ দেশের জনগণ পাকিস্তানি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে আমাদের স্বাতন্ত্র্য ও স্বকীয়তা রক্ষা করেছিল, তেমনি দৃঢ়তা ও আপসহীন মনোভাব নিয়ে বাঙালি জাতি এই আগ্রাসন রুখতে পারবে কি না, সে প্রশ্ন আজ জাতির সামনে।
এ প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বাংলা ও বাঙালির সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা সুরক্ষায় গোটা জাতির এক হওয়ার সময় ও সুযোগ এসেছে।
বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোয় ইংরেজি ছাড়া অন্য সব বিদেশি ভাষার প্রোগ্রাম বাংলায় ডাবিং করে প্রচার করতে হবে।
হিন্দি ছবি আমদানির চক্রান্ত রুখতে হবে। কুরুচিপূর্ণ বিদেশি অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধ করতে হবে।
সরকারি-বেসরকারি ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে বাংলা গান পরিবেশন করতে হবে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম যেন বাংলা ভাষাতেই বিনোদনের খোরাক পায়। এ ক্ষেত্রে মিডিয়া ও দেশি ব্যান্ডশিল্পীদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।
দেশে তৈরি সব বিজ্ঞাপনচিত্রে দেশীয় মডেল ও কলাকুশলীদের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।
একদা উর্দু গান এবং পাকিস্তানি ছায়াছবি এভাবেই আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে গ্রাস করতে বসেছিল, যার বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়ে লড়েছি এবং বিজয়ী হয়েছি। আজ সময় এসেছে, ঠিক একইভাবে হিন্দির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।
এস এম আজাদ হোসেন
বন্ধু-১০ Email:smazadh@yahoo.com
দুর্ভাগ্যবশত স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পর আজ আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সেই মূল ভিত্তি বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির ক্রমাগত আঘাতে বিপর্যয়ের সম্মুখীন।
সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার অংশ হচ্ছে হিন্দির আগ্রাসন। হিন্দিকে এ উপমহাদেশের সর্বজনীন ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে অর্ধশতাব্দী ধরে এ সুদূরপ্রসারী আগ্রাসী তৎপরতা চালানো হচ্ছে। হিন্দির আগ্রাসন এরই মধ্যে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে বেশ গেড়ে বসেছে। হিন্দির আগ্রাসনে বিপর্যস্ত হওয়ার আগে আমাদের জেগে উঠতে হবে। মনে রাখতে হবে, ‘সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রাজনৈতিক ও সামরিক আগ্রাসনের চেয়ে অনেক বেশি জাতিবিনাশী।’ তাই একদা যেভাবে এ দেশের জনগণ পাকিস্তানি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে আমাদের স্বাতন্ত্র্য ও স্বকীয়তা রক্ষা করেছিল, তেমনি দৃঢ়তা ও আপসহীন মনোভাব নিয়ে বাঙালি জাতি এই আগ্রাসন রুখতে পারবে কি না, সে প্রশ্ন আজ জাতির সামনে।
এ প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বাংলা ও বাঙালির সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা সুরক্ষায় গোটা জাতির এক হওয়ার সময় ও সুযোগ এসেছে।
বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোয় ইংরেজি ছাড়া অন্য সব বিদেশি ভাষার প্রোগ্রাম বাংলায় ডাবিং করে প্রচার করতে হবে।
হিন্দি ছবি আমদানির চক্রান্ত রুখতে হবে। কুরুচিপূর্ণ বিদেশি অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধ করতে হবে।
সরকারি-বেসরকারি ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে বাংলা গান পরিবেশন করতে হবে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম যেন বাংলা ভাষাতেই বিনোদনের খোরাক পায়। এ ক্ষেত্রে মিডিয়া ও দেশি ব্যান্ডশিল্পীদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।
দেশে তৈরি সব বিজ্ঞাপনচিত্রে দেশীয় মডেল ও কলাকুশলীদের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।
একদা উর্দু গান এবং পাকিস্তানি ছায়াছবি এভাবেই আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে গ্রাস করতে বসেছিল, যার বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়ে লড়েছি এবং বিজয়ী হয়েছি। আজ সময় এসেছে, ঠিক একইভাবে হিন্দির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।
এস এম আজাদ হোসেন
বন্ধু-১০ Email:smazadh@yahoo.com
No comments